দুর্গাপূজার সময় তো চলেই এলো। শেষ মুহূর্তে পূজার শপিং করতে ব্যস্ত সবাই।
চোখের নিচের কালি মুছতে অনেকেই নানা ট্রিটমেন্টের সাহায্য নেন। সেগুলো বেশ খরচসাপেক্ষও। তাই ট্রিটমেন্ট ভুলে ঘরে পড়ে থাকা শসা দিয়েই ভ্যানিশ করতে পারেন ডার্ক সার্কেল। ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা শসা গোল গোল করে কেটে নিন। তারপর তা চোখের ওপর দিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। এভাবে নিয়মিত শসার ব্যবহারে ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাবে কালচে দাগ। এই দিকে চোখের ফোলা ভাব কমাতেও বেজায় কার্যকরী এই টোটকা।
টি-ব্যাগে হদিশ মেলে ক্যাফেইন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের। এসব উপাদান রক্তনালি সংকুচিত করে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। তাই টি ব্যাগ দিয়েই ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে পারেন। সেজন্য প্রথমে গ্রিন টি বা ব্ল্যাক টি-র দুটি ব্যাগ ফ্রিজে রেখে দিন। ১৫ মিনিট পর সেই টি ব্যাগ দুটি বের করে চোখের ওপর রাখুন। এই উপায়ে নিমেষে কমবে চোখের নিচের কালি ও ফোলা ভাব।
ঘরে আলু আছে তো? তাহলে পূজার আগে তা দিয়েই ডার্ক সার্কেল দূর করতে পারেন। আলুতে হদিশ মেলে প্রাকৃতিক উৎসেচক ও স্টার্চের। তাই এর ছোঁয়াতেই চোখের নিচের কালি হয় হালকা। পাশাপাশি চোখের ফোলাও কমে। এজন্য আলু গোল গোল করে কেটে চোখের ওপর দিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে নিন। আর পার্থক্য দেখুন নিজে চোখেই। এদিকে আরও ভালো ফলাফল পেতে আলুর টুকরো দুটি কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন। তাতে চোখের ফোলা ভাব আরও দ্রুত কমবে।
ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে নাইট স্কিনকেয়ার রুটিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রাতে সিটিএম রুটিন মেনে চললে ত্বকও সদা হাসবে। এদিকে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এত কিছু করছেন। তখন আর এক মিনিট সময় দিন চোখের নিচের কালি মোছার জন্য। এক ফোঁটা আমন্ড অয়েল চোখের নিচে বুলিয়ে নিন। সেভাবেই শুয়ে পড়ুন। সকালে উঠে ধুয়ে নিলেই কেল্লাফতে। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ এই তেলের ছোঁয়ায় চোখের নিচের ত্বক হবে কোমল। মিলিয়ে যাবে কালচে দাগও।
কাঁচা দুধে রয়েছে ল্যাকটিক অ্যাসিড। এই উপাদান ত্বককে ভেতর থেকে এক্সফলিয়েট করে। দূর হয় মৃত কোষ। ফলে ঝলমলে ত্বক বেরিয়ে আসে। তাই কাঁচা দুধ দিয়েও আপনি ডার্ক সার্কেল দূর করতে পারেন। এজন্য কটন প্যাড দুধের মধ্যে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। তারপর তা দুই চোখের ওপরে রাখুন। ১৫ মিনিট পর সরিয়ে নিন। এতেই ডার্ক সার্কেল কমবে। দূর হবে ফোলা ভাবও।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪
এএটি