কাঁধ ছাপিয়ে চুল কোমর ছুঁয়ে যাক এমন ইচ্ছা কমবেশি অনেক নারীই রয়েছে। অনেকের আবার চুল সহজে লম্বা হতে চায় না।
লেবুপানি খান
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খান। তবে এই পানীয় কিন্তু শুধু ওজন কমায় না। একসঙ্গে চুলও লম্বা করে। চুল হোক কিংবা ত্বক, যত্ন নিতে হলে ভেতর থেকে আর্দ্র থাকা চাই। সেই ক্ষেত্রে এই পানীয় বেশ উপকারী। প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে খেলে উপকার পাবেন।
অবসাদ দূর করুন
সকাল থেকেই যদি মনে উদ্বেগের মেঘ ঘুরে বেড়ায়, তার প্রভাব শুধু শরীরে নয়, চুল এবং ত্বকের ওপরেও পড়ে। বিশেষ করে মাথায় চুল বাড়াতে মানসিক অবসাদ অন্যতম বাধা। তাই মন থেকে সব উদ্বেগ একেবারে দূরে সরিয়ে রাখুন। আনন্দ থাকার চেষ্টা করুন।
সুষম খাবার
পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে অনেক সময়ে চুল বড় হতে চায় না। আর সব ধরনের পুষ্টির অন্যতম উৎস হলো স্বাস্থ্যকর খাবার। তাই সকালের নাস্তায় রাখতে হবে পুষ্টিকর কিছু খাবার-দাবার। শাকসবজি, ফল, ওসের মতো খাবার সকালের দিকে বেশি করে খান।
শরীরচর্চা মাস্ট
সকালের শরীরচর্চার বহুমুখী উপকারিতা রয়েছে। স্বাস্থ্যের যত্ন তো হচ্ছেই, সেই সঙ্গে রূপচর্চাও হচ্ছে। চুল বড় করতে নিয়মিত শরীরচর্চার কোনো বিকল্প নেই। শরীরচর্চা করলে সারা শরীরের রক্ত চলাচল ভালো থাকে। ফলে এমনিতেই চুল লম্বা হতে শুরু করে।
ঘরোয়া উপায়ে তেল
চার কাপ নারিকেল তেল, আধ কাপ শুকনো আমলকি, ১ কাপ শুকিয়ে রাখা জবা ফুলের পাপড়ি, আধ কাপ শুকনো মেথি। প্রথমে কড়াইতে তেল গরম করুন। তাতে আমলকি, মেথি এবং জবা ফুলের পাপড়ি দিয়ে দিন। সবকিছু তেলের সঙ্গে মিশে গেলে একটি পরিষ্কার পাত্রে নামিয়ে ১২-১৪ ঘণ্টা রেখে দিন। তার পরে চুলে মেখে ভালো করে মাসাজ করুন। কয়েক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করুন। সপ্তাহে ২ দিন এই তেল ব্যবহার করতেই পারেন। চুল লম্বা করার এর চেয়ে ভালো উপায় আর নেই।
মাথায় তেল মালিশ
প্রথমে চিরুনির সাহায্যে চুলের জট ছাড়িয়ে নিন। এবার বিছানায় টান টান হয়ে শুয়ে পড়ুন। বিছানার ধার থেকে চুল ঝুলিয়ে মাথা বাইরের দিকে খানিকটা বার করে রাখুন। শুরুতে আঙুলের সাহায্য মাথার ত্বকে খানিকক্ষণ মালিশ করুন। তারপর পছন্দ মতো তেল আঙুলের সাহায্যে মাথার ত্বকে ধীরে ধীরে মাখতে থাকুন। মিনিট পাঁচেক মাখলেই হবে। খুব বেশি ক্ণ এভাবে মাথার ঝুলিয়ে রাখার প্রয়োজন নেই। ঘাড় বা মাথার সমস্যা থাকলে খুব সাবধানে মাথায় মালিশ করবেন। নাহলে পেশি কিংবা স্নায়ুতে চোট লাগতে পারে।
বংশগত সমস্যা
পরিবারে কারও যদি চুল পড়ার সমস্যা আগেই থেকে থাকে, তা হলে কৈশোরেই চুল ঝরা শুরু হতে পারে। ছেলেদের টাক পড়ে যাওয়ার নেপথ্যেও অনেক ক্ষেত্রে পারিবারিক ইতিহাস জড়িয়ে থাকে।
সঠিক পুষ্টির অভাব
শুধু শরীর নয়, চুল এবং ত্বক ভালো রাখতেও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। শরীরে পুষ্টির ঘাটতি চুল পড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। কিছু উপাদান চুল মজবুত এবং শক্তিশালী করে তোলে। জিঙ্ক, আয়রন, প্রোটিন, ভিটামিনে সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে চুল ঝরা আটকাতে।
যন্ত্রের ব্যবহার
কম বয়সে চুলের সাজ নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেখা যায় অনেককেই। স্ট্রেটনার, ড্রায়ার, কার্লারের অত্যধিক ব্যবহারে চুল অঝোরে ঝরতে থাকে। এছাড়াও চুল রং করা কিংবা আঁটসাঁট করে চুল বাঁধাও ক্ষতির অন্যতম কারণ।
চুলের প্যাক
দুটি কলা, ২ চা চামচ দই এবং ১ চামচ মধু— এই তিন উপকরণেই চুল হবে গোড়া থেকে মজবুত এবং ঝলমলে। প্রতিটি উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে থকথকে মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে। তারপর চুলে বিলি কেটে গোড়ায় মাস্ক লাগাতে হবে পুরু করে। ২০-৩০ মিনিট রাখতে হবে। তারপর শ্যাম্পু করে নিতে হবে। সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করলেই চুল হবে ঝলমলে।
এই প্রতিবেদনটি সাধারণ তথ্যের জন্য আরও বিস্তারিত জানতে হলে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪
এএটি