বাঙালির হেঁশেলে এখন স্টিল বা লোহার কড়াই অথবা পাত্রের বদলে জায়গা করে নিয়েছে ননস্টিকের বাসনপত্র। স্টিলের বাসন মাজা ঘষার ঝক্কি এড়াতে কাচের বাসনও ঠাঁই পেয়েছে বাঙালির খাবার টেবিলে।
* গরম পানি কখনওই বাসন ধোবেন না। অনেকেই ভাবেন, দ্রুত তেল-মসলার দাগ তুলতে গরম পানিই ভালো। কিন্তু বেশি গরম পানি বাসনে ঢাললে তা খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে। পাশাপাশি গরম পানি হাতে লাগতে লাগতে, ত্বকও শুষ্ক ও খসখসে হয়ে উঠবে।
* বাসন চকচকে করতে অতিরিক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না। বাসন মাজার তরল সাবান সামান্যই লাগে। তাতেই বাসন ভালো পরিষ্কার হয়। কিন্তু অতিরিক্ত সাবান রোজ ব্যবহার করতে থাকলে বাসন দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে। মনে রাখবেন, তারের জালি দিয়ে ঘষে ঘষে ননস্টিকের বাসন মাজবেন না। তা হলে ওপরের পরত উঠে যাবে খুব তাড়াতাড়ি। নরম স্পঞ্জ বা কাপড় দিয়েই এই ধরনের বাসন মাজতে হবে।
* নোংরা স্পঞ্জ দিয়ে বাসন মাজেন না তো? কাচের বাসন হোক বা ননস্টিকের, সব সময়ে পরিষ্কার স্পঞ্জ দিয়ে বাসন ধুতে হবে। পুরনো স্পঞ্জ নোংরা হয়ে গেলে বা ছিঁড়ে গেলে, তা আর ব্যবহার করবেন না।
* তেল-মসলা বা খাবারের উচ্ছিষ্ট সমেত বাসনপত্র রান্নাঘরের বেসিনে রেখে দিলে, সেখানে ব্যাক্টেরিয়ার উৎপাত হবেই। বিভিন্ন রকম জীবাণুও জন্মাবে। তাই কখনওই বাসন ওইভাবে বেসিনে ফেলে রাখবেন না। যদি অপরিষ্কার বাসন বেসিনে থাকে, তা হলে আগে বেসিন পরিষ্কার করতে হবে, তার পর বাসন ধুতে হবে।
* বাসন ধোয়ার পরে তা শুকনো কাপড়ে মুছে তবেই তুলতে হবে। এমন অভ্যাস অনেকেরই নেই। জল সমেতই বাসন স্টিলের র্যাকে বা ক্যাবিনেটে তুলে রাখেন অনেকে। এতে বাসন খুব তাড়াতড়ি নষ্ট হয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২৪
এএটি