বিয়ের পর পর যে প্রশ্নটি অনেক বার শুনতে হয়, তা হলো, বয়স তো হয়ে যাচ্ছে, সন্তান কবে নেবে? পারিবারিক অনুষ্ঠান হোক কিংবা পাড়ার কোনো জমায়েত— একই প্রশ্ন ঘুরপাক খায় মুখে মুখে। বাইরে বেরোনোও যেন এক ত্রাস! কেবল মেয়েরাই নন, এমন নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় ছেলেদেরও।
একটা সময় ছিল, যখন বিয়ের এক-দু’বছরের মধ্যেই পরিবার বড় করতে চাইতেন বেশ কিছু দম্পতি। তবে এখন সময় বদলেছে। পেশা, পড়াশোনা, দাম্পত্যজীবন গুছিয়ে নিয়ে একটু দেরিতেই মা-বাবা হতে চান অধিকাংশ দম্পতি। এমন পরিস্থিতিতে পারিপার্শ্বিক চাপ থেকে দূরে থাকবেন কী করে, সে কথা ভেবেই নাজেহাল?
* যখনই কেউ এ ধরনের প্রশ্ন করবেন, চেষ্টা করুন সেই প্রসঙ্গটি এড়িয়ে চলতে। অন্য কিছু নিয়ে কথা বলুন তার সঙ্গে। তবে অভদ্রতা করে নয়, ভদ্রভাবেই তাকে বুঝিয়ে দিন এটি আপনার ব্যক্তিগত বিষয়, এই নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো কথা বলতে আপনি স্বচ্ছন্দ নন।
* আপনি যদি বাড়ির বড়দের সঙ্গে এই প্রসঙ্গে কোনো আলোচনা করতে স্বচ্ছন্দ না হন, তা হলে সে বিষয়টি তাদের স্পষ্ট করে বলুন। এই সিদ্ধান্ত যে একান্তই আপনার ও আপনার সঙ্গীর হবে, সেটা তাদের বুঝিয়ে বলুন। আপনার হাবেভাবেও তারা সেই কথা বুঝতে না পারলে সরাসরি কথা বলুন।
* যদি দেখেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা সন্তানধারণের জন্য চাপ তৈরি করছেন, তা হলে স্বামী-স্ত্রী মিলে তাদের সঙ্গে গোটা বিষয়টি আলোচনা করুন। সঙ্গীকেও নিজের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে বলুন।
* এক কানে শুনুন, অন্য কান দিয়ে বার করে দিন! এর থেকে ভালো কোনো পন্থা হয় না। মন শক্ত করুন। কোনো কথায় কান দেওয়ার প্রয়োজন নেই। নিজের মন শান্ত রাখতে পারলে দেখবেন, কোনো কিছুই আপনাকে আর অস্থির করবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৪
এএটি