ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

তেরে বিন লাদেন : সফল হলেও বিতর্কিত

জাবেদ ইকবাল: | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১০

ওসামা বিন লাদেন, নাম শুনলে কার না বুক কাঁপে। কিন্তু আর না, ওসামা বিন লাদেন শুনলে মানুষ শুধু হাসবে।

এমনকি হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে। হ্যাঁ, বলিউডের ছবি ‘তেরে বিন লাদেন’ ছবিটির এর কথা বলছিলাম। গত ১৬ জুলাই মুক্তি পাওয়া এই ছবি ভারত এবং ভারতের বাইরে বক্সঅফিস মাতিয়েছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ছবিটি আয় করেছে ৫০০ মিলিয়ন রূপি!

আর্শ্চয বিষয় হচ্ছে, এ ছবির পরিচালক, অভিনেতা থেকে শুরু করে টেকনিশিয়ান পর্যন্ত সবাই নতুন। কিন্তু কাহিনী ও চিত্রনাট্যের প্রোপট বেশ মজার। আলি এক তরুণ সাংবাদিক। একটি  টিভি নিউজ চ্যানেলে কাজ করে। কিন্তু সে আরো বড় কিছু করতে চায়। পাড়ি দিতে চায় স্বপ্নের দেশ আমেরিকায়। কিন্তু ভাগ্য খারাপ। বার বার তার ভিসা নামঞ্জুর হয়। হঠাৎ তার মাথায় অন্য বুদ্ধি খেলে। খুঁজে পায় মুরগি বিক্রেতা নুরাকে, যাকে দেখতে হুবহু আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের মত লাগে। নুরাকে সঙ্গে নিয়ে আলি তার সাাৎকার গ্রহণ করে বানায় ওসামা বিন লাদেনের ওপর নকল এক ভিডিও। আলি মনে করে, এই ভিডিও ফিল্মই হবে তার আমেরিকা যাবার টিকিট। ফাটাফাটি নিউজ হিসেবে এই ফুটেজ সে বিক্রি করে টিভি চ্যানেলও। কিন্তু নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষে সব পরিকল্পনা ভেসে যায়।

ছবির নায়ক আলি জাফর পাকিস্তানের তরুণ গায়ক। নিজের প্রথম ছবি সম্পর্কে এই অভিনেতা বলেন, আমার জন্য চরিত্রটা এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। পরিচালক কাহিনীর সঙ্গে চরিত্রটাকে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আশা করি দর্শকরা আনন্দ উপভোগ করবেন। পরিচালক অভিষেক শর্মা বলেন, আমি নিশ্চিত রসিক জর্জ বুশ নিজেকে এই ছবিতে খুঁজে পাবেন। তাছাড়া শঙ্কর মহাদেবনের সঙ্গীত ছবির বিশেষ আকর্ষণ।

ছবির নায়ক পাকিস্তানি হলেও ছবিটি পাকিস্তানে নিষিদ্ধ। পাকিস্তান সেন্সর বোর্ড মনে করে, ছবিটিতে পাকিস্তানি সমাজ ও ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে ঠাট্টা করা হয়েছে এবং লাদেনকে ভিতু ও অদ্ভুত মানুষ হিসেবে দেখানো হয়েছে। ফলে পাকিস্তানের কট্টরপন্থী ও মৌলবাদীরা ছবিটি নিয়ে প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠতে পারে। সেই ঝুঁকি নেওয়া ঠিক হবে না। ভারতেও কিছু কট্টরপন্থী মুসলিম সম্প্রদায় ছবিটি নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে ।

 পাকিস্তানে নিষিদ্ধ হলেও বহির্বিশ্বে ছবিটি দারুণ সাফল্য লাভ করেছে। যুক্তরাজ্য, আরব-আমিরাত এবং অস্ট্রেলিয়াতে ছবিটি এ পর্যন্ত প্রায় দুই লক্ষ ডলার আয় করেছে । আমেরিকা আর ইউরোপে ‘তেরে বিন লাদেন’-এর প্রতি অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।