ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

এ বছর চলে গেলেন যাঁরা

বিপুল হাসান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১০

বিদায়ী ২০১০ সালে শিল্প-সংস্কৃতি অঙ্গনের বেশ কজন গুণীজন আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। চিরবিদায় নিয়েছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা-অভিনেতা আজমল হুদা মিঠু, চলচ্চিত্র পরিচালক শিবলী সাদিক, ফ্যাশন ডিজাইনার ও নাট্যকার শাহরুখ শহীদ, চলচ্চিত্র আন্দোলনের পথিকৃৎ ও চলচ্চিত্রকার বাদল রহমান, ‘দেবদাস’ খ্যাত অভিনেতা বুলবুল আহমেদ, নাট্যাভিনেতা চ্যালেঞ্জার (তোফাজ্জল হোসেন), রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ও সংস্কৃতিব্যক্তিত্ব কলিম শরাফী প্রমুখ।



আজমল হুদা মিঠু

২০১০ সালের শুরুতে ০২ জানুয়ারি চিরবিদায় নেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অভিনেতা আজমল হুদা মিঠু। তিনি ছিলেন চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্য। স্বাধীন বাংলা বেতারে ‘জল্লাদের দরবার’ নাটকের সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আজমল হুদা মিঠুর মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। তিনি ২ ছেলে, ৩ মেয়ে রেখে যান । আজমল হুদা মিঠু ১৯৪৩ সালের ১৩ এপ্রিল  বগুড়ায় জš§গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৬৭ সালে চলচ্চিত্রে জড়িত হন। তার পরিচালিত উল্লেখযোগ্য ছবি দোস্তী, আমিই ওস্তাদ, ঝন্টু মন্টু দুই ভাই প্রভৃতি। অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে বাদশা, বাল্যবন্ধু, আনাড়ি, পায়েল, মুন্না আওর বিজলী, সংগ্রাম, রাতের পর দিন প্রভৃতি।

শিবলী সাদিক

৭ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অন্যতম সফল নির্মাতা শিবলী সাদিক। তিনি ছিলেন একাধারে চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রগ্রাহক ও চিত্রনাট্যকার। তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে এক মেয়ে রেখে যান। শিবলী সাদিকের জন্ম রাজশাহীতে ১৯৪১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি। চারুকলা থেকে একডেমিক পড়াশোনা শেষ করে তিনি ‘বসতবাড়ি’ নামে একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করেন। পরে ‘তালাশ’ ছবির সহকারী পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্রে নিবেদিত হন। তার পরিচালিত ছবির মধ্যে রয়েছে নোলক, শীত-বসন্ত, জীবন নিয়ে জুয়া, রেশমী চুড়ি, তিন কন্যা, ভেজা চোখ, নীতিবান প্রভৃতি। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাবেক মহাসচিব ও সভাপতি। ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

শাহরুখ শহীদ

ফ্যাশন ডিজাইনার ও নাট্যকার শাহরুখ শহীদ আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন ২৭ ফেব্রুয়ারি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৫ বছর। দেশীয় ফ্যাশন শিল্পের প্রসারে ছিল তার অবদান। ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের পাশাপাশি শাহরুখ শহীদ নাট্যকার হিসেবেও জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। তার লেখা ‘পাত্রী অবিবাহিত’, ‘ভূশ’, ‘তিনকন্যার কাব্য’ ইত্যাদি টিভিনাটক দর্শকনন্দিত হয়েছিল। দেশের বড় বড় ইভেন্টে তার ডিজাইনকৃত পোশাকের ছিল আলাদা কদর। সদা প্রাণোজ্জ্বল এই মানুষটির অকাল প্রয়াণে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে আসে শোকের ছায়া।

বাদল রহমান

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের পথিকৃৎ মেধাবী চলচ্চিত্রকার বাদল রহমান জীবনের অন্যপাড়ে চলে যান ১১ জুন।   একাত্তরের এই বীরযোদ্ধা স্বাধীনতার পর সহকারী প্রযোজক হিসেবে যুক্ত হন বিটিভিতে। ১৯৭৭ সালে সরকারি চাকরি ছেড়ে ভারতে পুনা ফিল্ম ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। কৃতিত্বের সঙ্গে সেখান থেকে ফিল্ম এডিটিংয়ের ওপর ডিপ্লোমা করে দেশে ফেরেন। প্রথমে কিছুদিন মূলধারার চলচ্চিত্রে সম্পাদনার কাজ করেছেন। ১৯৭৯ সালে নিজেই চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজে হাত দেন। তৈরি করেন বাংলাদেশের প্রথম শিশুতোষ ছবি ‘এমিলের গোয়েন্দাবাহিনী’। বাদল রহমান পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সবুজ পাতা, শিল্পী ও সূর্য, ছানা ও মুক্তিযোদ্ধা। ‘চলচ্চিত্রের ভাষা’ নামে তার লেখা একটি বই প্রকাশিত হয়েছে বাংলা একাডেমী থেকে। মৃত্যুর আগে তিনি বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর প্রযোজনায় বঙ্গবন্ধুর শৈশব নিয়ে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন। সুস্থ ছবি দেখা ও দেখানোর জন্য বাংলাদেশে সংঘটিত চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনকে শুরু থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন বাদল রহমান। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত পালন করেছেন বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটির সভাপতির দায়িত্ব। ফিল্ম  সেন্সর কমিটির সদস্য হিসেবে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের পে থেকেছে তার অবস্থান। তাই মূলধারার নির্মাতাদের কাছেও তিনি ছিলেন শ্রদ্ধার পাত্র।

বুলবুল আহমেদ

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ‘দেবদাস’ ও ‘মহানায়ক’ খ্যাত বুলবুল আহমেদ চিরবিদায় নেন ১৫ জুলাই। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০। তিনি স্ত্রী ডেইজি আহমেদ, দুই মেয়ে তিলোত্তমা ও ঐন্দ্রিলা এবং এক ছেলে শুভকে রেখে যান। বুলবুল আহমেদের মৃত্যুর খবরে চলচ্চিত্রাঙ্গনে নেমে আসে শোকের ছায়া।
১৯৪১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পুরান ঢাকার আগামসি লেনে জন্মগ্রহণ করেন বুলবুল আহমেদ। ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে এসএসসি, ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি, নটর ডেম কলেজ থেকে বিএ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করেন তিনি। ঢাকা কলেজে অধ্যয়নকালেই অভিনয়ে সম্পৃক্ত হন। পড়াশোনা শেষে বুলবুল আহমেদ চাকরিতে যোগ দেন তৎকালীন ইউনাইটেড ব্যাংকে (বর্তমান জনতা ব্যাংক)। তার আসল নাম তাবাররুক আহমেদ। বুলবুল তার ডাকনাম। ব্যাংকার হিসেবে তিনি ১৯৬৫ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত চাকরি করেন। ১৯৬৮ সাল থেকে তিনি টিভি নাটকে অভিনয়ে সম্পৃক্ত হন। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ইউসুফ জহিরের ‘ইয়ে করে বিয়ে’ ১৯৭২ সালে মুক্তি পায়।   চলচ্চিত্রে জনপ্রিয়তা পাওয়ায় ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে পুরোপুরি অভিনয়ে মনোনিবেশ করেন। বুলবুল আহমেদ অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে ‘সূর্যকন্যা’, ‘সীমানা  পেরিয়ে’, ‘রুপালি সৈকতে’, ‘মোহনা’ , ‘জীবন নিয়ে জুয়া’, ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’, ‘ভালো মানুষ’, ‘দেবদাস’, ‘মহানায়ক’, ‘কলমিলতা’, ‘এখনই সময়’, ‘দি ফাদার’, ‘স্মৃতি তুমি বেদনা’, ‘ওয়াদা’, ‘শহর  থেকে দূরে’, ‘বধূ বিদায়’, ‘অঙ্গার’, ‘সোহাগ’, ‘শুভদা’, ‘সময় কথা বলে’, ‘জন্ম  থেকে জ্বলছি’ সহ দেড়শতাধিক চলচ্চিত্র।

এছাড়া বুলবুল আহমেদ দুইশর বেশি টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন। ১৯৮৭ সালে নিজের প্রযোজিত ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’ ছবিটির মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে তিনি আত্মপ্রকাশ করেছিলেন ।

সাইফুদ্দীন আহম্মেদ

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা সাইফুদ্দীন আহম্মেদ ২৭ সেপ্টেম্বর পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। মৃত্যুকালে শিল্পীর বয়স হয়েছিল প্রায় ৮৪ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন। সাইফুদ্দীন আহমেদ জন্মগ্রহণ করেন আসামের ধুবড়িতে ১৯২৭ সালে। দেশবিভাগের পর ঢাকায় আসেন। ঢাকাই চলচ্চিত্রের প্রথম ছবি ‘মুখ ও মুখোশ’ দিয়ে তাঁর অভিনয়ের জীবনের সূচনা। অভিনীত ছবির মধ্যে রয়েছে জোয়ার, নাচঘর, চাওয়া-পাওয়া, ময়নামতি, বধূবিদায়, নীল আকাশের নিচে, এতটুকু আশা, সমাপ্তি, দহন, বড় ভালো লোক ছিল, মাসুম, চন্দ্রনাথ প্রভৃতি। শুধু চলচ্চিত্রেই নয়, তিনি একাধারে বেতার, টিভি ও মঞ্চেও অভিনয় করেছেন। সব ধরনের চরিত্রে অভিনয় করলেও কৌতুক অভিনেতা হিসেবেই সাইফুদ্দীন আহমেদ সবচে বেশি জনপ্রিয়তা পান।

চ্যালেঞ্জার

নাট্যাভিনেতা চ্যালেঞ্জার ১২ অক্টোবর চলে যান শেষ গন্তব্যে। একজন চরিত্রাভিনেতা হয়েও তিনি পেয়েছিলেন তুমুল জনপ্রিয়তা।   মৃত্যুকালে গুণী এই অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ব্রেন ক্যান্সারে ভুগছিলেন। জনপ্রিয় কথাশিল্পী ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের হাত ধরে চ্যালেঞ্জার অভিনয়ে আসেন। তার আসল নাম এএফএম তোফাজ্জল হোসেন (সাদেক)। চ্যালেঞ্জার নামটি হুমায়ূন আহমেদেরই দেওয়া। এ নামেই তিনি অভিনেতা হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। হুমায়ূন আহমেদের ‘হাবলঙ্গের বাজারে’ নাটকের মধ্য দিয়ে চ্যালেঞ্জারের অভিনয় জীবন শুরু হয়। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটক হচ্ছে ‘উড়ে যায় বকপী’, ‘জুতা বাবা’, ‘সাদেক দফাদার’, ‘ওয়ারেন’, ‘ঢোলবাদ্যি’, ‘কালা কইতর’, ‘আমরা তিনজন’, ‘পক্ষীরাজ’, ‘খোয়াবনগর’ প্রভৃতি। প্রায় দুশ টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন চ্যালেঞ্জার। অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্রেও। অভিনীত চলচ্চিত্রের মধ্যে শহীদুল ইসলাম খোকনের ‘লালসবুজ’, হুমায়ূন আহমেদের ‘শ্যামল ছায়া’ ও ‘নয় নম্বর বিপদ সংকেত’, আমজাদ হোসেনের ‘কাল সকালে’ উল্লেখযোগ্য। অভিনেতা চ্যালেঞ্জার ১৯৫৯ সালে ঢাকার খিলগাঁওয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়েসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

কলিম শরাফী

রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ও সংগ্রামী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কলিম শরাফী মৃত্যুবরণ করেন ২ নভেম্বর। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল প্রায় ৮৬ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক ছেলে এক কন্যাসহ অগুনতি শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন। কলিম শরাফীর জন্ম ১৯২৪ সালের ৮ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায়।   ছাত্রজীবনে কলিম শরাফী মহাত্মা গান্ধীর ব্রিটিশবিরোধী ‘ভারত ছাড়’ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। এজন্য একাধিকবার তাকে কারাবরণও করতে হয়েছে। ‘পঞ্চাশের মন্বন্তর’-এ চারদিকে ক্ষুধাতাড়িত মানুষের জন্য হৃদয়ভেদী গান কণ্ঠে তুলে নিয়েছিলেন কলিম শরাফী।   ১৯৫০ সালে তিনি সপরিবারে ঢাকায় চলে আসেন। ক্যাজুয়াল আর্টিস্ট হিসেবে যোগ দেন রেডিওতে। টেলিভিশন চালু হলে কিছুদিন সেখানেও চাকরি করেছেন। চলচ্চিত্রের সঙ্গেও ছিল তার সম্পৃক্ততা। চলচ্চিত্র নির্মাণের পাশাপাশি সিনেমার প্লে-ব্যাকেও অংশ নিয়েছেন। একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধেও সম্পৃক্ততা ছিল কলিম শরাফীর। মুক্তিযুদ্ধের সময় লন্ডনে অবস্থান করে তিনি বাংলাদেশের পক্ষে গড়ে তোলেন জনমত।   ১৯৮৩ সালে ‘সঙ্গীত ভবন’ নামে একটি সঙ্গীত বিদ্যালয় গড়ে তোলেন জনাব শরাফী। এটি শান্তিনিকেতনে প্রশিণপ্রাপ্ত শিল্পীদের প্রতিষ্ঠান। ১৯৮৬ কলিম শরাফী একুশে পদক পান এবং ১৯৮৮ সালে পান নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদক। মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত কলিম শরাফী ছিলেন বাংলাদেশের প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের এক অগ্রসৈনিক এবং ঐক্যের প্রতীক।

আরো যাদের হারিয়েছি

২০১০ সালে পৃথিবী ছেড়ে যারা চলে গেছেন তাদের মধ্যে আরো রয়েছেন চলচ্চিত্র প্রযোজক জামিল চৌধুরী ( মৃত্যু : ১০ ফেব্রুয়ারি), চলচ্চিত্র প্রযোজক আবদুর রব প্রধান (মৃত্যু : ১৪ মার্চ), চিত্রগ্রাহক বেবী ইসলাম (মৃত্যু : ২৪ মে), সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার মজিদ খান (মৃত্যু : ১৬ জুন), অভিনেত্রী ডা. রওশন আরা (মৃত্যু : ২৪ জুন), চলচ্চিত্র প্রযোজক মজিদ মালিক (মৃত্যু : ১২ জুলাই), চলচ্চিত্র প্রযোজক শাহ আলম (মৃত্যু : ৪ সেপ্টেম্বর), বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চলচ্চিত্র পরিচালক নুর হোসেন বলাই (মৃত্যু : ১২ সেপ্টেম্বর), চিত্রনায়িকা সূচনা (মৃত্যু : ২০ নভেম্বর) প্রমুখ।


বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২১১০, ডিসেম্বর ২৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।