ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

টিভি কিউ : নির্বাচিত অনুষ্ঠান

এটিএন বাংলায় ছন্নছাড়া | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫১ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০১০

এটিএন বাংলায় ৫ জুলাই সোমবার রাত ০৮টায় প্রচারিত হবে ধারাবাহিক নাটক ছন্নছাড়া-এর ১৯তম পর্ব। রচনা করেছেন নজরুল ইসলাম, পরিচালনা করেছেন হাসনাত করিম পিন্টু।

নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন হুমায়ুন ফরিদী, চ্যালেঞ্জার, রহমত আলী, তরু মোস্তফা, রুনা খান, তারিক স্বপন, সুজানা, সুভাশীষ ভৌমিক, ওয়ালী উল হক রুমি, জুয়েল, ইকবাল, দিপু, পুষ্পিতা, তাসমী এবং জাহিদ হাসান।


গল্প : সংসারে কিছু মানুষ থাকে যাদের দুঃখ-কষ্ট বা সুখ-আনন্দ কোনো কিছুই স্পর্শ করে না। তারা  নিজের মধ্যেই তৈরি করে নেয় আলাদা ভুবন। সেখানেই ডুব দিয়ে কাটিয়ে দিতে চায় একজীবন। সংসারের মধ্যে থেকেও সব ধরনের সামাজিকতা থেকে নিজেকে দূরে রাখে। সব মানুষের ভিড়ে তারা একেকজন আলাদা দ্বীপের মতোই বিচ্ছিন্ন । এরকম ছন্নছাড়া কিছু মানুষের গল্প নিয়েই নাটকটি এগিয়ে যায়।

চ্যানেল আইতে একক নাটক : একটি কালো বৃত্ত
চ্যানেল আইতে ৫ জুলাই সোমবার রাত ৭টা ৫০ মিনিটে প্রচার হবে একঘণ্টার বিশেষ নাটক একটি কালো বৃত্ত। সাগর জাহান রচিত নাটকটি পরিচালনা করেছেন চয়নিকা চৌধুরী। পারিবারিক ও সামাজিক গল্প অবলম্বনে নির্মিত এ নাটকে অভিনয় করেছেন মাহফুজ আহমেদ, অপি করিম, প্রিসিলা পারভীন প্রমুখ।


গল্প : নাটকের শুরুতে দেখা যাবে বীথির (অপি করিম) সাথে মাহিন (মাহফুজ) ও তার মার পরিচয় একটি দুর্ঘটনার মাধ্যমে। তারপর উভয় পরে সম্পর্কের সেতুবন্ধন। পর্যায়ক্রমে মাহিন তাকে পছন্দ করলেও বীথি নিজেকে আড়াল করে রাখার চেষ্টা করে। মাহিন নিজেকে বীথির সামনে মেলে ধরে। কিন্তু বীথি নিজের সম্পর্কে কিছুই বলে না। জানতে চাইলে এড়িয়ে যায়। বীথিকে মাহিনের রহস্যময় মনে হয়। এই রহস্যময় মেয়েটির অতীত অনুসন্ধানে নামে মাহিন।

বাংলাভিশনে ধারাবাহিক নাটক : ফিফটি-ফিফটি
বাংলাভিশনে ৫ জুলাই সোমবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে প্রচার হবে ধারাবাহিক নাটক ফিফটি-ফিফটি। ইফতেখার আহমেদ ফাহমির রচনা ও পরিচালনায় ধারাবাহিকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, পার্থ বড়–য়া, মোশাররফ করিম, আ খ ম হাসান, জয়রাজ, ডা. এজাজ, ফারুক আহমেদ, মিশু, জিলুর রহমান, তাজিন আহমেদ, মাসুদ আলী খান, মুনিরা মিঠু, অর্পনা, শখ, আনিকা প্রমুখ।


গল্প : পার্থ একটু গম্ভীর মানুষ। কম কথা বলে। দেশের ফিল্ম এবং টিভি মিডিয়ায় পরিচালক হিসেবে নামডাক আছে। তার বাসাকে সবাই ‘হাউজ’ বলে ডাকে। হাউজে তার সাথে কাজ করে সহকারী পরিচালক, সেট ডিজাইনার, ম্যানেজারসহ অনেকে। তার প্রধান সহকারী পরিচালক হাসান খুব চালাক প্রকৃতির মানুষ। পুরান ঢাকায় থাকার সময় এক কুচক্রের কবলে পরে তার জেলও হয়েছিল। জেল থেকে বের হয়ে সেই চক্রের প্রধান সুলতানকে খুন করে পালিয়ে এসেছে। এরকম অদ্ভুত বৈশিষ্ট্যের কয়েকজনকে নিয়েই একটি পরিবার বানিয়ে থাকছে পার্থ। হাউজের সবাই পরস্পরের পেছনে লেগে থাকে। কারো কোনো সমস্যা হলে আবার সবাই একত্র হয়ে আসে। এই হাউজেই তাদের ফিল্মের শুটিং হয়। এসব কিছু নিয়ে খুবই বিরক্ত ওপরতলার সেলিম সাহেবের পরিবার। সেলিম সাহেব অ্যাডভোকেট। তার পরিবারে আছে স্ত্রী তাজিন, মেয়ে আনিকা, বাবা মাসুদ আলী খান, দুই বোন অর্পনা ও শখ এবং ফুফু মনিরা মিঠু। পরিবারের শান্তির জন্য সেলিম সাহেব যা দরকার সব করতে প্রস্তুত। কিন্তু একেক সদস্যের একেকরকম চলাফেরা, ব্যবহার, কাজকর্ম দেখে তিনি হতাশ এবং কিছুটা বিরক্তও বটে! বুঝে উঠতে পারেন না, কোনটা আগে সামলাবেন, ওপরতলার পরিবার নাকি নিজের পরিবার? আর সেটা কীভাবে? এই দুই পরিবারের নানা সুবিধা-অসুবিধা, হাসি-কান্না, আনন্দ-ভালোবাসার মিশ্র কিছু অনুভূতি নিয়েই নাটক ফিফটি-ফিফটি! বাংলাভিশনে সপ্তাহের প্রতি সোম ও মঙ্গলবার রাত ৯ট ৪৫ মিনিটে প্রচার হচ্ছে ধারাবাহিক নাটক ফিফটি-ফিফটি।

একুশে টিভিতে ধারাবাহিক নাটক : ললিতা
একুশে টেলিভিশনে ৫ জুলাই সোমবার রাত ০৯টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হবে ধারাবাহিক নাটক ললিতা। আবদুস সালামের মূল গল্প অবলম্বনে ধারাবাহিক এই নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন জুয়েল মাহমুদ। একুশে টেলিভিশনের নিজস্ব প্রযোজনায় নির্মিত এ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন  সুমাইয়া শিমু, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, শিরিন আলম, আনিসুর রহমান মিলন, বন্যা মির্জা, ইলোরা গহর, প্রাণ রায়, মৌনতা, নাসিমা খান, কাজী আনিস, মিশা সওদাগর ও জয়রাজ।


গল্প : ঢাকার এফডিসির পাশের একটি বস্তি। এই বস্তিরই ললিতা নামের একটি মেয়ে সিনেমা দেখে আর  স্বপ্ন আঁকে, সে নায়িকা হবে। বস্তির সবার থেকে তার চলন-বলন একটু আলাদা। ললিতার চলাফেরা বস্তির বেশ কিছু মানুষের নজর কাড়ে। ললিতার কিশোরী মনের সরলতার দিকে তাদের নজর নেই, নজর তার দেহের প্রতি। একসময় ললিতাকে তার বাবা-মা জোর করে বিয়ে দেয় জেলফেরত আসামি রতনের সঙ্গে। রতনকে সাত্তার নামের এক মাদক ব্যাবসায়ী আয়ত্তে আনে। মাদকসেবী রতন ললিতাকে তুলে দেয় সাত্তারের হাতে। সাত্তার ললিতাকে বিক্রি করে দেয় দেহব্যবসার জগতের রানী সরলা বেগমের কাছে। কিন্তু প্রতিবাদী ললিতা একসময় নিজেকে মুক্ত করে পালিয়ে আসে। কিন্তু কোথাও সে আশ্রয় খুঁজে পায় না। চেনা বস্তি তার অচেনা মনে হয়।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৭১০, জুলাই ০৪ ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।