ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

পাইরেসি প্রতিরোধে শিল্পীদের মাঠে নামতে হবে: কুমার বিশ্বজিৎ

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০১০

দেশের অডিও সেক্টরে বর্তমানে চলছে একধরণের অস্থীরতা । লগ্নিকৃত টাকা উঠে না আসায়  প্রযোজকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে নতুন অ্যালবাম প্রকাশের প্রতি অনীহা।

একে একে বন্ধ হয়ে গেছে ৮টি অডিও-ভিডিও প্রযোজনা সংস্থা। বন্ধ না হলেও আরো ৬টি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রকাশনা বন্ধ রেখেছে।

এদিকে শিল্পীদের মধ্যেও যথোপযুক্ত রয়্যালিটি না পাওয়া দেখা দিয়েছে হতাশা । এসব কিছুর মূলে আছে পাইরেসি। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, পাইরেসি বন্ধ না হলে গানবাজনাই বন্ধ হয়ে যাবে। আসছে ঈদে উপলক্ষে অডিও অ্যালবাম প্রকাশ নিয়ে এখন যেখানে শিল্পী-মিউজিশিয়ানদের ব্যস্ত সময় কাটানোর কথা, সেখানে অনেক কষ্ট করে বের করা অ্যালবামটি আদৌ রিলিজ করা যাবে কিনা তা নিয়েই সময় শঙ্কিত।

অডিও প্রযোজকদের সম্মিলিত সংগঠন মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমআইবি) এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সম্প্রতি পাইরেসি রোধে একটি যৌথসভায় বসেছিল। পাইরেসি রোধে তারা কিছু কর্মপন্থা ও নীতিমালা তৈরি করেন। সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে সরকারের তথ্য, সংস্কৃতি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে পাইরেসি রোধে গোয়েন্দা তৎপরতা সহ সর্বাত্বক সহযোগিতা চাওয়া হবে।

মিউজিক ইন্ডাস্টিজ ওনার্স এসোসিয়্রেমন অব বাংলাদেশ (্এমআইবি) এর সভাপতি নন্দিত গায়ক কুমার বিশ্বজিৎ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, এমআইবি’র পক্ষ থেকে গত ৬মাসে প্রসাশনের সহায়তায় পাইরেসির বিরুদ্ধে প্রায় ৫শ’ সফল অভিযান পরিচালিত হয়েছে। কিন্তু তাতেও কোনো সুফল আসে নি। এরকম ঝটিকা অভিযানের ফলে সাময়িকভাবে কিছু লোককে আটক করা হয়। যারা খুচরা পর্যায়ের বিক্রেতা। পাইরেসির মূল হোতার রয়ে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। পুলিশি অভিযানের কারণে হয়তো অবৈধ অডিও ব্যবসায়ীদের বড়জোর ২/৩দিন পর ব্যবসা থেকে বিরত রাখা যায়। তারপর তারা আবারও ব্যবসা শুরু করে। কুমার বিশ্বজিৎ আরো জানান, সম্প্রতি অডিও-ভিডিও পাইরেসি বন্ধের জন্য গঠিত সরকারের টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক মেজর মাসুম আহমেদ, সরকার ও প্রশাসনের উচ্চতর পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। ইন্টারনেটে ফ্রি ডাউনলোড, পেনড্রাইভ, মোবাইল ফোন, এফএম রেডিও’র পাশাপাশি পাইরেসির আরেকটি নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে নন-ব্র্যান্ডের ট্যাক্সবিহিন নি¤œমানের সিডি-ডিভিডি। পাইরেসির আঘাতে অডিও-ভিডিও শিল্পের এই নাজুক পরিস্থিতিকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন সরকারের উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারকরা। সভায় পাইরেসি রোধে কঠোর আইন প্রণয়ণের জন্য একটি সুপারিশ মন্ত্রীপরিষদ  বিভাগে পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কুমার বিশ্বজিৎ আরো বলেন, পাইরেসি বন্ধের ব্যাপারে সরকারের আন্তরিকতায় কোনো ঘাটতি নেই । এ বিষয়ে সরকারের উদ্যোগকে প্রশংসা জানাই। তবে এর সঙ্গে এখন ব্যাপক গণসচেতনতা তৈরির জন্য শিল্পীদের এখন মাঠে নামতে হবে। নয়তো আমাদের গান পাইরেসির কাছে পরাজিত হবে।  

বাংলাদেশ সময় ১৯৫০, আগস্ট ০৭,২০১০।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।