ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি

শারমীনা ইসলাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০১২
ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি

বিশ্বব্যাপী পুরো অক্টোবর মাসকে ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা মাস হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও সাধারন মানুষের মধ্যে এই প্রাণঘাতী রোগের প্রতিকার এবং প্রতিরোধের বিষয়গুলো ছড়িয়ে দিতে এ্যাপোলো হাসপাতাল বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।

আমরা কি জানি, প্রতি ৮ জন নারীর মধ্যে ১ জন ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়? পরিসংখ্যানটি আসলেই ভয়াবহ। আমাদের দেশে ক্যান্সারে যতো নারীর মৃত্যু হয় তার দ্বিতীয় কারণ ব্রেস্ট ক্যান্সার নামের নীরব ঘাতক!!

এ রোগ নিয়ে জনগণকে সচেতন করতে এ্যাপোলো হাসপাতালের পক্ষ থেকে সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রমগুলো তুলে ধরে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ডা: প্রসাদ মুগ্লিকার, সারাত জয়াসিঙ্গে, সাগুফা আনোয়ার ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা।

ব্রেস্ট ক্যানসার সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা জানান,

ব্রেস্ট ক্যান্সারের নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। তবে পরিবারের মা, খালা, ফুপু অথবা দাদি-নানির ব্রেস্ট ক্যান্সার থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

এছাড়াও খুব অল্প বয়সে মিনিসট্রেশন হওয়া, বেশি বয়সে মেনোপজে গেলে, বাচ্চা না হলে অথবা বাচ্চাকে বুকের দুধ না দিলে, ধুমপান করলে এবং শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমলে ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে বলে উল্লেখ করেন তারা।

ঝুঁকি নির্ণয়:

সম্প্রতি নারীদের ব্রেস্ট ক্যান্সারের বি আর সি এ(১ এবং ২)জিন পরীক্ষার মাধ্যমে ঝুঁকি পরিমাপ করা যায়। বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এই পরীক্ষা করানো হয়।

লক্ষণ:

ব্রেস্টে চাকা অনুভব করা, আকারে পরিবর্তন, নিপল কুচকে যাওয়া, রক্ত অথবা পুজ বের হওয়া।

রোগ নির্ণয়:

শতকরা ৫০ শতাংশ রোগী নিজেরাই ওপরের লক্ষণ বুঝে ডাক্তারের কাছে আসেন।

ব্রেস্টে ব্যথা হলে অনেকেই ক্যান্সারের ভয় পান। তবে ৯০ শতাংশ ব্রেস্ট ক্যান্সারের ক্ষেত্রে কোনো ব্যথা থাকে না।  

রোগের ধাপ:

চিকিৎসা বিজ্ঞানে ব্রেস্ট ক্যান্সারকে ৪ টি ধাপে ভাগ করা হয়। প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপে রোগ ধরা পড়লে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব।

চিকিৎসা:

কেমো থেরাপি এবং সার্জারির মাধ্যমে ব্রেস্ট ক্যান্সারের চিকিৎসা করা হয়। আমাদের দেশেই এ রোগের উন্নত চিকিৎসা সম্ভব।

সচেতনতা:

৩০ বছরের পর থেকে প্রতি মাসে ১ বার নিজেই লক্ষণগুলো পরীক্ষা করে দেখতে হবে। আর ব্রেস্টের কোনো ধরনের পরিবর্তন দেখা দিলে অবহেলা না করে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

যদিও নারীদের ব্রেস্ট ক্যানসার বেশি হয়। তবে সংখ্যায় কম হলেও পুরুষরাও কিন্তু এই রোগের ঝুঁকিমুক্ত নয়।

আর তাই আমাদের সচেতনতাই পারে এই ঘাতক রোগে মৃত্যুর হার শূণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে। এজন্যই বিভিন্ন কর্পোরেট হাউজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং তথ্যদান কেন্দ্রে এ্যাপোলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গো উইথ পিংক শিরোনামে প্রচারণা শুরু করেছে।

ছবি: জনি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।