ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

বসের জন্য টিপস

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৬ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৩
বসের জন্য টিপস

যারা নতুন দায়িত্ব পেয়ে অফিসের বস হয়েছেন আর প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা অথবা এর বেশি সময় অফিসে কাটান তাদের জন্য এই লেখা।

সারা দিনের হাজারো কাজের চাপেও নিজের ক্যারিয়ার এবং স্বাস্থ্যের প্রতি ২৪ ঘণ্টাই একটি প্রতিশ্রুতি থাকা উচিৎ।

যেহেতু আমাদের দিনের অধিকাংশ সময় কর্মক্ষেত্রে থাকতে হয়, তাই অফিস টাইমে স্বাস্থ্য রক্ষার বিষয়গুলো উপেক্ষা করা ঠিক নয়। অফিসে কিছু টিপস অনুসরণ করে সুস্থ থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করুন:

হাঁটুন
ঘণ্টার পর ঘণ্টা কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করা আমাদের শরীরের জন্য যেন একটি আধুনিক অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা আমাদের সঠিক রক্ত চলাচলে বাধা দেয়, চোখের জন্যও ক্ষতিকর। প্রতি ঘণ্টায় একবার আপনার ডেস্ক ছেড়ে ওঠার অভ্যেস করতে হবে। ছোট কাজগুলো যেমন বোতলে পানি আনা, কোনো জরুরি কাগজ ফটোকপি করা অথবা পাশের রুমে কাজ করতে থাকা সহকর্মীর খোঁজ নিতে পারেন। একটু হাঁটাও হবে আর কাজগুলোও খুব সহজে হয়ে যাবে।

পানি পান
প্রতিদিন যে কম করে হলেও ২ লিটার পানি পান করতে হয়, কর্মক্ষেত্রে যখন থাকি এটা অনেকেই ভুলে যাই। অতএব, আপনার ডেস্কের ওপর একটি পানির বোতল রাখুন এবং মাঝে মাঝে এক চুমুক পানি পান করুন দেখবেন দিনের শেষ পর্যন্ত বোতলের সব পানি শেষ।

চোখের পলক ফেলা
অনেক সময় কাজের চাপে আমরা দীর্ঘ সময় চোখের পলক ফেলতেও ভুলে যাই। সমস্ত দিন কম্পিউটারের পর্দায় তাকিয়ে থাকার ফলে আমাদের চোখ ক্লান্ত এবং শুষ্ক হতে পারে। চোখ যেন শুকিয়ে না যায় তা নিশ্চিত করতে প্রতি আধা ঘণ্টা পরপর খুব ধীরে ধীরে ১০ বার চোখ বন্ধ করুন আর খুলুন।

কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ
কর্মদক্ষতা বাড়াতে কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ডেস্ক এবং চেয়ার উচ্চতা অবশ্যই কাজ করার জন্য আরামদায়ক হতে হবে এবং সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যও রক্ষা করতে হবে। দীর্ঘ সময় চেয়ারে বসে থাকলে ব্যাকপেইন হতে পারে। এজন্য চেয়ার নির্বাচনে সর্তক থাকতে হবে।

কফি ব্রেক থেকে বিরতি
আজকাল কিছু অফিসকর্মী দিনে বহুবার কফি মেশিনের কাছে গিয়ে কফি পান করেন। কিন্তু গবেষণায় দেখা যায় খুব বেশি ক্যাফিন আমাদের শরীরের জন্য ভালো নয়। অতিরিক্ত কফিপানে রাতে ঘুম না হওয়া, এসিডিটিসহ পানিসল্পতা দেখা দিতে পারে। এজন্য মাঝে মাঝে আপনার কফি পানে ব্রেক নিন এবং এই বিরতিতে অফিসের নিচে একজন বন্ধুর সঙ্গে হাঁটতে যেতে পারেন।

স্বাস্থ্যকর নাস্তা
সন্ধ্যা পযর্ন্ত অফিসে থাকলে বিকেলে সিঙ্গারা, সমুচা, চিপস না খেয়ে সাথে ফল এবং বাদাম রাখুন। দিনে যে কোনো একটি ফল খাওয়ার কথা সব সময় বলা হলেও অনেক ক্ষেত্রেই সময়ের অভাবে বাড়িতে ফল থাকলেও নিয়মিত খাওয়া হয় না। তাই এটাই হতে পারে নিয়ম করে ফল খাওয়ার উপযুক্ত সময়।

তাপমাত্রা পার্থক্য
বাড়ি থেকে অফিসে আসার পথে অনেকেই বাসে, রিকশায় অথবা হেঁটে আসি। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে এসেই এসির খুব ঠাণ্ডায় থাকাটা অস্বাস্থ্যকর। এজন্য অফিসে পৌঁছে কিছুক্ষণ লবিতে দাঁড়িয়ে শরীরের তাপমাত্রার মানিয়ে নিন।

অসুস্থ হলে
আপনি যদি অসুস্থ হন, তাহলে ঘরে থেকে বিশ্রাম নিন। বিশেষ করে রোগটি যদি হয় সংক্রামক, তবে আপনার কাছ থেকে অন্যরাও অসুস্থ হতে পারে। আর তা হলে আপনার সঙ্গে বাকিদেরও অফিস বন্ধ করতে হবে।  

আলো-বাতাস
অফিসে প্রাকৃতিক আলো এবং বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা  নিশ্চিত করুন।

সহযোগিতা
নতুন দায়িত্ব পেয়েই সব কাজ একাই করতে পারি, এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সবার সঙ্গে আলোচনা করুন। সবার সহযোগিতা চান, এতে অন্যরা নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করবে আর দেখবেন কাজ কত সহজেই হয়ে যাবে।

চাপমুক্ত কর্মক্ষেত্র
সারাক্ষণ অতিরিক্ত মানসিক চাপ নিয়ে কাজ করাটা সবার জন্যই কষ্টের। আর এতে সবচেয়ে ভালো কাজটি অফিসকে দেয়াও সব সময় সম্ভব হয় না। আপনি যদি অফিসের নেতৃত্বের অবস্থানে থাকেন, তবে কাজের পরিবেশ ইতিবাচক, বন্ধুত্বপূর্ণ ও প্রফুল্ল রাখুন। এটা শুধু আপনার সহকর্মীদের সুখীই করবে না, কাজও হবে দ্বিগুণ।

বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার
অনেকের মুখেই শুনে থাকি অফিস কলিগ কখনো বন্ধু হয় না, কথাটা কিন্তু ঠিক নয়। আমরা সব সময় একসঙ্গে কাজ করি সবার মধ্যে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সুসম্পর্ক তৈরি করতে হবে। আর আপনি যার পাশে বসে এতো দিন কাজ করেছেন, একটি প্রমোশনের পরই তার সঙ্গে বসের মতো ব্যবহার না করে বন্ধুত্বটাই ধরে রাখুন।





বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।