ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

ভুটান ঘুরে আসি...

মো: আব্দুল হাই | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৩
ভুটান ঘুরে আসি...

ভ্রমণের নেশা আমাদের অনেকেরই রয়েছে। যারা ভুটান বেড়াতে যেতে চান তাদের জন্য রইল কমপ্লিট গাইড লাইন।

আর যারা যাচ্ছেন না, তারাও এই ভ্রমণের গল্প থেকে ভুটানে বেড়ানোর জায়গা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন।

দক্ষিণ ভুটানের সীমান্ত শহর ফুন্টসোলিং। ভারত-ভুটান সীমান্তে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের বিবর্ণ মলিন শহর জয়গাঁ থেকে সামান্য এগিয়ে ড্রাগনের ছবি আঁকা সুদৃশ্য ভুটান গেট অতিক্রম করলেই ছবির মত সুন্দর শহর ফুন্টসোলিং। সড়কপথে ভুটান প্রবেশের প্রথম শহর। সমুদ্র সমতল থেকে প্রায় ১৩০০ ফুট উচ্চতায় চারপাশে পাহাড় বেষ্টিত ফুন্টসোলিং এর সৌন্দর্য  চোখ ধাঁধিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।

আধুনিক স্থাপত্যে তিব্বতীয় নিদর্শন  ভুটানের  ফুন্টসোলিং শহর: ফুন্টসোলিং ভুটানোর দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। এখানে কোন জং (বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুদের আশ্রম) নেই। বিখ্যাত কোন প্রাচীন সাম্রাজ্য নেই এবং পর্যটকদের জন্য নির্দিষ্ট কোন দ্রষ্টব্যও নেই। তথাপি ফুন্টসোলিং পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটি শহরের পরিচ্ছন্ন শান্ত এবং নিরাপদ পরিবেশের জন্য। সর্বোপরি এর অত্যন্ত আকর্ষণীয় নিসর্গের জন্য। পাহাড়ের ঢালে ঢালে গড়ে ওঠা আধুনিক স্থাপত্যের সঙ্গে তিব্বতী ষ্টাইলের স্থাপত্যের মিশেল ফুন্টসোলিং এর দিগন্ত রেখাকে অন্যন্য বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত  করেছে।

ফুন্টসোলিং এর দ্বিতীয় যে বৈশিষ্ট্য আপনাকে মুগ্ধ করবে তা হচ্ছে দুটি ভিন্ন জনগোষ্ঠী ও সংস্কৃতির মিশ্রণ। একদিকে পশ্চিমবঙ্গের জয়গাঁ অংশে মিশ্র বর্ণের বাঙালিদের জনস্রোত অন্যদিকে সীমান্তের ওপারে মঙ্গঁলয়েড গড়নের হলুদ গাত্র বনের ভুটানিদের বিচরণ। একদিকে শাড়ি, লুঙ্গির ব্যবহার। অন্যদিকে ট্রাডিশনাল পোশাক “খো” পরিহিত ভুটানিদের শান্ত চলাচল। ভুটানের অন্যান্য শহরের চেয়ে ফুন্টসোলিং অনেক বেশি নগরায়িত। কিন্তু তারপরও প্রতিবেশী জয়গাঁ থেকে অনেক শান্ত ও পরিচ্ছন্ন শহর। স্যাটেলাইট ছবিতে ও জয়গাঁ ও ফুন্টসোলিং এই পার্থক্য ধরা পড়ে। জয়গাঁতে ছোট ছোট বিল্ডিং এর অপরিকল্পিত বেড়ে ওঠার বিপরীতে ফুন্টসোলিং-এ বড় বড় অট্টালিকার আধুনিক ও পরিকল্পিত সজ্জা আপনাকে মুগ্ধ করবে।

আন্ত: সীমান্ত বাণিজ্যের ও একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ দেখবেন ফুন্টসোলিং-এ। বলা যায় ভুটানি ও ইন্ডিয়ান ব্যবসায়ীদের মিলন ক্ষেত্র হচ্ছে ফুন্টসোলিং।

যা করবেন: পুরো শহর আপনি পায়ে হেঁটেই দেখে নিতে পারেন। তবে শহরের বাইরে যেতে চাইলে আপনাকে ট্যাক্সি নিতে হবে। রিজার্ভ কারেও যেতে পারেন। পাওয়া যাবে কিংস ট্রাভেল থেকে। যোগাযোগ- ০৯৮৩০৪-২৮৪০১ এবং ০৯৩৩১৯-৩৯৪৮৬।

যা যা দেখবেন: ভুটানের প্রধান জাতীয় মহাসড়কের শুরু ফুন্টসোলিং থেকে। শেষ হয়েছে পূর্বদিকের ৫৫৭ কি:মি: দূরবর্তী শহর ট্রাশিজাং-এ। রাস্তাগুলো সাপের মতো এঁকে বেঁকে ক্রমশ উঁচু পাহাড়ী পথ অতিক্রম করে থিম্পুর দিকে এগিয়ে গেছে। চলমান গাড়ির হেডলাইটের আলোয় রাতের রাস্তার এই অপূর্ব দৃশ্য আপনার কাছে স্বপ্নের মত মনে হবে।

শহরের নীচু দিয়ে বয়ে চলেছে পাহাড়ী নদী তোর্সা। তোরণ পেরিয়ে অদূরে বাসস্ট্যান্ড ঘিরে হোটেল, বাজার, দোকানপাট, রেস্তোরা, মিগ সিনেমা প্রভৃতি দিয়ে সাজানো। বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ব্লু-ড্রাগন হোটেলের পিছনে পার্ক ও সুন্দর কারুকার্য করা মন্দির ছাড়াও বিদেশি পণ্যের দোকানপাট রয়েছে পার্ককে ঘিরে। শহরের উত্তরে তোর্সা ও দূতী নদীর মাঝে উঁচু মালভূমিতে গড়ে ওঠা ইন্ডাষ্ট্রিয়াল এস্টেট দেখে নিতে পারেন। আরো যেসব স্থাপনা আপনার মনে মুগ্ধতা ছড়াবে সেগুলো যথাক্রমে: ভুটান গেট, আমো চু, জ্যাংঢো পালরি লাখাং, কার্বান্ডি মনাষ্ট্রি, খরবন্দী গুম্ফা প্রভৃতি। bhudda

ভুটান গেট: ভারত-ভুটান সীমান্তের শুন্য রেখায় অবস্থিত। পশ্চিমবঙ্গের জায়গাঁ পেরিয়ে থিম্পু গামী সড়কের ওপর অবস্থিত। ড্রাগনের ছবি সম্বলিত সুদৃশ্য বর্ণিল এই গেট অতিক্রম করেই আপনাকে ফুন্টসোলিং তথা ভুটানে প্রবেশ করতে হবে।

আমো চু: কুমির প্রজনন কেন্দ্র। বাস ষ্টেশনের পিছনে তোর্সা নদীর তীরে অবস্থিত। কোন বাহন ছাড়াই যেতে পারবেন।  

জ্যাংঢো পালরি লাখাং: নগর কেন্দ্রে অবস্থিত তিন তলা বিশিষ্ট এই মন্দির ভগবান বুদ্ধের দ্বিতীয় অবতার গুরু রিনপোকে উপস্থাপন করছে। গ্রাউন্ড ফোরের মুর্তিগুলো গুরু রিনপোর আটটি রুপের প্রকাশ করছে। পরবর্তী ফোরের চিত্রকর্মগুলো বুদ্ধের জীবন দর্শনের আটটি কর্মসূচীকে নির্দেশ করছে। সর্বোচ্চ তলার প্রধান মূর্তিটি অমিতাভার। মন্দির সংলগ্ন পাহাড়ী চুড়ায় অসংখ্য ‘তাহর্শিং’ অর্থাৎ লম্বা বাঁশের মাথায় ধর্মীয় বানি সম্বলিং রং বেরং এর পতাকা উড়তে দেখবেন আপনি। মন্দির সন্নিহিত এলাকার শান্ত পরিবেশ আপনাকে ভগবান বুদ্ধের অহিংসা বাণীকে স্মরণ করিয়ে দেবে।

কার্বান্ডি মনাষ্ট্রি: নি:সন্তান দম্পত্তিদের জন্য পবিত্র মন্দির। ভারতীয় তীর্থযাত্রীরা বিশ্বাস করেন এখানে এসে প্রার্থনা করলে সন্তান লাভ করা যায়। আপনি সন্তান প্রত্যাশী না হয়ে থাকলেও ক্ষতি নেই। মন্দিরের শোভা দর্শন আপনার পুরো ভ্রমণকে স্মরণীয় করে রাখবে।  

খরবন্দী গুম্ফা: শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে পাহাড়ী ঢালে অবস্থিত। ১৯৬৬ সালে রাজ পরিবারের হাতে নির্মিত। এখানে পিতলের তৈরি পদ্মসম্ভবের একটি বিশাল মূর্তি দেখতে পারেন। এছাড়াও রয়েছে প্রেয়ার হুইল, গুম্ফার পশ্চিমে ছোট বড় পাঁচটি চ্যার্তেন (চ্যার্তেন হচ্ছে বৌদ্ধ স্তূপ) এবং রাজমাতার প্রাসাদ।

ভ্রমণের সময়: পাহাড় বেষ্টিত শহর হলেও এখানকার আবহাওয়া উচ্চভূমির বিপরীত বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করে আছে। বর্ষায় প্রচুর বৃষ্টি ও শীতে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে নেমে যাওয়া এখানকার স্বাভাবিক প্রবণতা। তাই ফুন্টসোলিং ভ্রমণের উপযুক্ত সময় হচ্ছে মার্চ থেকে মে এবং সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যবর্তী সময়। এসময়ের ঝকঝকে নীলাকাশ ও স্বচ্ছ পরিবেশ পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ভুটান ভ্রমণের জন্য।  

যেভাবে যাবেন: বাসে (শিলিগুড়ি থেকে), বাংলাদেশি যাত্রীদের লালমনিরহাটের বুড়িমারী চেকপোষ্ট দিয়ে সীমান্ত অতিক্রম সুবিধাজনক। ভারতীয় অংশের চ্যাংড়াবান্ধা থেকে শিলিগুড়ির দুই ঘণ্টার দূরত্ব প্রাইভেট ট্যাক্সি অথবা শেয়ারড ট্যাক্সিতে যেতে পারেন। শিলিগুড়ি থেকে ফুন্টসোলিং যাওয়ার দুটি পথ রয়েছে। একটি বাসে সেভক ব্রিজ হয়ে অন্যটি আলিপুর দুয়ার ও হাসিমারা হয়ে ট্রেনে। হিলকার্ট রোডের শিলিগুড়ি বাস স্টেশন থেকে ভুটান সরকারের বাসগুলো ফুন্টসোলিং অভিমুখে প্রতিদিন সকাল ৭.৩০ ও দুপুর ১.৩০ মিনিটে ছেড়ে যায়। পৌঁছে ৩.৩০ ঘণ্টায়। দূরত্ব ১৫০ কি:মি:। ভাড়া ৫০ রুপি। বাস স্টেশনেই টিকিট পাওয়া যায়।

কলকাতা থেকে: কলকাতা থেকে ফুন্টসোলিং পর্যন্ত সরাসরি বাস সার্ভিস রয়েছে যা ভুটান সরকার পরিচালনা করে। ছাড়ে এসপ্লানেড থেকে প্রতি মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার ও শনিবার সন্ধ্যা ৭.০০ টায়। ফুন্টসোলিং এর ভুটান পোষ্ট থেকে আবার বাসগুলো প্রতি সোমবার, বুধবার ও শুক্রবার বিকাল ৩.০০ টায় কলকাতা অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। ১৮ থেকে ২৫ ঘণ্টার এই যাত্রাপথে খরচ হবে জনপ্রতি ৩৫০ রুপি। geat=3

ট্রেনে: শুধুমাত্র সড়কপথেই ভুটান যাওয়া যায়। তবে শহরটি ইন্ডিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত। কলকাতার শিয়ালদহ থেকে সরাইঘাট এক্সপ্রেস, উত্তরবাংলা এক্সপ্রেস, দার্জিলিং মেল, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস আর হাওড়া থেকে কামরুপ এক্সপ্রেস ধরে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন পৌঁছাতে সময় লাগবে ১২ ঘণ্টা। অত:পর নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ৪ ঘণ্টার ভ্রমণ শেষে হাসিমারা ষ্টেশন পৌঁছাবেন। এখান থেকে মাত্র ত্রিশ মিনিটের বাসপথে (১৮ কি:মি:) আপনি ফুন্টসোলিং পৌঁছে যাবেন। উল্লেখ্য যে, পর্যটকদের কাছে ফুন্টসোলিং তথা ভুটান পৌঁছানোর সবচেয়ে জনপ্রিয় অপশন হচ্ছে ট্রেনপথ।

প্রবেশ পদ্ধতি: পর্যটকদের জন্য ভিসা প্রদান প্রক্রিয়া ভুটান সরকার সরাসরি পরিচালনা করে না। তবে সঠিক সনদপত্র না থাকলে ভুটান প্রবেশের ক্ষেত্রে দর্শনার্থীরা প্রত্যাখ্যাত হবেন। বাংলাদেশি পর্যটকরা যে প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করতে পারেন।

ভুটান প্রবেশের পূর্বে অভারতীয়দের ক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান ইমিগ্রেশন অফিস থেকে পাসপোর্টে বহির্গমন ষ্ট্যাম্প লাগিয়ে নিতে হয়। তাই জয়গাঁ পৌঁছে বাস ড্রাইভারকে বলুন আপনাকে ইন্ডিয়ান ইমিগ্রেশন অফিসের সামনে নামিয়ে দিতে। অফিসটি ভুটান গেট থেকে হাঁটা দূরত্বে সিনেমা হলের নিকটে রাস্তার বাম দিকে অবস্থিত।

ভুটান গেটে অবস্থানরত ভুটানি বর্ডার গার্ডকে ইন্ডিয়ান ইমিগ্রেশন কর্তৃক প্রদত্ত ভিসা ছাড়পত্র প্রদর্শন করুন।

বর্তমান ভিসা ডকুমেন্ট, পাসপোর্ট, এক কপি ছবি এবং বিশ ডলার ভিসা প্রসেসিং ফি ভুটান গেটের অভ্যন্তরে অবস্থিত ইমিগ্রেশন অফিসে প্রদান করুন। অত:পর ছাড়পত্র ডকুমেন্টে প্রদত্ত সময়সীমা অনুসারে ভুটানি কর্তৃপক্ষ আপনাকে ভিসা দেবে।

যেখানে রাত্রিযাপন করবেন: বাসস্ট্যান্ডের কাছে অসংখ্য হোটেল রয়েছে। আপনার সাধ্য অনুযায়ী আবাস বেছে নিন। ভুটানে সুপেয় পানির সমস্যা রয়েছে। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে বিষয়টি মাথায় রাখুন। সাধারণ সুবিধা সম্বলিত হোটেলগুলোর মধ্যে ব্লু ড্রাগন, কুয়েঙ্গা, হিমালয়, প্যারাডাইস, হোটেল নামগে উল্লেখযোগ্য। একটু আয়েশী সময় কাটাতে চাইলে ড্রুক হোটেল আদর্শ। তবে ফুন্টসোলিং এর চেয়ে জয়গাঁতে অপোকৃত কম খরচে রাত্রিযাপন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার পছন্দ হতে পারে রুকমিনি গেষ্ট হাউস, হোটেল কস্তুরি, তিব্বতীয়ান গেষ্ট হাউস প্রভৃতি।

যেখানে খাবেন: ভারতীয় শহর জয়গাঁতে খেতে পারেন। এখানে ইন্ডিয়ান রেষ্টুরেন্টে সব ধরনের বাঙালি খাবার পাবেন। ফুন্টসোলিং এর ভুটানি রেস্টুরেন্টে খেতে চাইলে সাধারণ রেস্তোরা এড়িয়ে চলাই ভাল। পরিচ্ছন্ন পরিবেশে খেতে চাইলে ড্রক হোটেলের রেস্তোরায় যেতে পারেন। হোটেল গ্যালিং এ সহনীয় মূল্যে আকর্ষণীয় সব ইন্ডিয়ান ভেজিটারিয়ান রেসিপির স্বাদ নিতে পারবেন। আর টাশি কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সে অবস্থিত পেষ্ট্রি শপে কেক পেষ্ট্রির স্বাদ নিতে ভুলবেন না।

ফুন্টসোলিং ভ্রমণে প্রয়োজনীয় অন্যান্য তথ্য: পর্যটন তথ্য অফিস ভুটান পোষ্ট বিল্ডিং-এ অবস্থিত। টেলি: ৯৭৫-৫-২৫১-৩৯৩, এরিয়া কোড: ০৫, বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ: +৯৭৫৫

লেখক:
মো: আব্দুল হাই
সহযোগী অধ্যাপক, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ
সরকারি এমএম কলেজ যশোর।

https://www.facebook.com/nandanparkbd?hc_location=stream

https://www.facebook.com/bnlifestyle

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।