ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

মানবতার সেবায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৪ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৪
মানবতার সেবায় ছবি: নূর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বাপটিস্ট মিশন ইন্ট্রিগ্রেটেড স্কুল। মিরপুর দশ নম্বর গোল চত্তরের পাশে অবস্থিত স্কুলটি অন্য সব স্বুলের মতোই শিশুদের হৈচৈ আর কলতানে মূখর।

শুধু একটু পার্থক্য আর তা হচ্ছে, এরা অন্য শিশুদের মতো পৃথিবীর আলো দেখতে পায় না। এই স্কুলে ৬৬ জন অন্ধ মেয়ে শিশু পড়াশোনা করে। এদের সব খরচও চলে স্কুলে বিভিন্ন দাতার দেওয়া সাহায্যের মাধ্যমে।

এই শিশুদের জন্য 'বাংলানিউজ সোশ্যাল সাভির্স' (বিএনএসএস) ও হোপ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে বুধবার দিন ব্যাপী বাপটিস্ট মিশন ইন্ট্রিগ্রেটেড স্কুলে দাঁতের চেকআপ করানো হয়। স্কুলে শিশুদের চেকআপ করেন মান্ডি ডেন্টাল কলেজের উপাধ্যক্ষ দন্ত বিশেষজ্ঞ সালাহউদ্দিন আল-আজাদ দন্ত বিশেষজ্ঞ তানিয়া ইসলাম ও কানাডা প্রবাসী দন্ত বিশেষজ্ঞ রিনি সাখওয়াত।

শিশুদের প্রাথমিক চেকআপ শেষে যাদের দাঁতে বড় সমস্যা রয়েছে তাদের সুচিকিৎসার দায়িত্ব নেন সালাহউদ্দিন আল-আজাদ ও তানিয়া ইসলাম দম্পতি।

বাংলানিউজ ও হোপ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনকে এমন উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মমতা বৈরাগী।

এই উদ্যোগকে সফল করতে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন জিন্নাহ ইসলাম, ডাক্তার ওসমান গণি, ডাঃ সালাউদ্দিন, ডাঃ তানিয়া, রিনি সাখওয়াত, পপি, রুবেল আর বাপটিস্ট মিশন ইন্ট্রিগ্রেটেড স্কুলের টিচাররা। আর পুরো আয়োজন সমন্বয় করেছেন বাংলানিউজের লাইফস্টাইল এডিটর ও বিএনএসএস আহ্বায়ক শারমীনা ইসলাম।

এবার ওদের নিয়ে কিছু কথা, ওরা চোখে দেখতে পায় না। তারপরও ওদের মানসিক শক্তি দেখে আমরা সত্যি মুগ্ধ। প্রথমে ভাবতে খুব খারাপ লাগছিল, ওরা কখনো মা কেমন তার চেহারাই দেখতে পেল না। লাল-সবুজ কতো রং অথচ ওদের কাছে রং-এর কোনো মূল্য নেই! এতোগুলো অন্ধ মেয়ের কাছে যেতে নিজে সত্যি বলতে কিছুটা নার্ভাস ছিলাম আমরা। কিন্তু ওরা এতো সহজে আমাদের আপন করে নিল...পরে যতক্ষণ ছিলাম মনে হয়নি ওরা আমাদের থেকে একটুও আলাদা।

সমাজের দুঃস্থ ও আর্তপীড়িত মানুষের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে বাংলানিউজের নিজস্ব ত্বত্তাবধানে পরিচালিত হচ্ছে 'বাংলানিউজ সোশ্যাল সাভির্স' (বিএনএসএস) সামাজিক সেবা কর্মসূচি।   

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।