ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

শেষ হলো ঢাকা ফ্যাশন উইক-২০১০

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৮ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১০
শেষ হলো ঢাকা ফ্যাশন উইক-২০১০

পছন্দের সমাহার আর অভিনব আয়োজনের মধ্য দিয়ে ২০ জুলাই রাতে ওয়েস্টিন হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঢাকা ফ্যাশন উইক-২০১০ এর সমাপনী রাউন্ড। দেশের খ্যাতনামা ডিজাইনারদের সেরা কাজগুলো দেখতে অনুষ্ঠানে এসেছিলেন দেশের অভিজাত ব্যক্তিবর্গ।



মারিয়ামা, যাত্রা, সাদাকালো, পায়রা, সামবারা এবং  মকুলসহ দেশের ৯টি ফ্যাশন হাউস এবং ডিজাইনার এই শোতে তাদের তৈরি ডিজাইনগুলো দর্শকদের সামনে তুলে ধরেন।

ঢাকা ফ্যাশন উইকের প্রেসিডেন্ট কৌশিকী নাসের বলেন, যুদ্ধবিগ্রহ আর ুধার বিশ্বে ডিজাইনাররা হলেন সত্যিকারের শিল্পী যাদের রয়েছে একটি ভিন্ন পৃথিবী সৃষ্টির ল্য। বিশ্ব এখন বৈচিত্র্য এবং অভিনবত্বের পূজারী। এই বছরের ঢাকা ফ্যাশন উইক আমাদের আবারো স্মরণ করিয়ে দেয় যে, আমাদেরও পছন্দ করার অধিকার আছে।

অটবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনিমেষ কুন্ডু, এএফপির কান্ট্রি হেড ক্যাট বারটন এবং সেলিম ওমরাহ খান এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন।

রোখসানা সালামের মারিয়ামা প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। চীন, আরব, ভারত ও উপমহাদেশের প্রচলিত ধারার আদলে মারিয়ামা সোনালি, নীল এবং বাদামি রংয়ের রেশমের বিভিন্ন শেডস এবং ডিজাইন প্রদর্শন করেন। মারিয়ামা কালেকশনগুলো প্রচলিত ডিজাইনগুলোর চেয়ে একটু ভিন্ন।

মানসা আর ফরচুনার উপস্থাপনার আসে স্যামবারার চোখ ধাঁধানো সব কালেকশনের উপস্থাপনা। এরপর উপস্থাপন করা হয় মাহমুদুল হাসান মুকুলের মিলেনিয়াম কালেকশনস।

প্রকৃতির ধারণায় শিরীন করিমের স্যামবারা তৈরি করেছে কিছু অসাধারণ ডিজাইন। গাছপালা, ফুল, প্রজাপ্রতি, ঝোপঝাড়সহ তার ডিজাইনে ছিলো নানা জ্যামিতিক উপস্থাপনা। ‘কলকা মোটিফে’ তার বেশ আগ্রহ রয়েছে। তার ডিজাইনের স্বাতন্ত্র্য হচ্ছে সহজ উপস্থাপনা। দৃষ্টিনন্দন কয়েকটি শাড়ি উপস্থাপনের মাধ্যমে শিরিন দর্শকদের বিমুগ্ধ করে ফেলেন। এসব শাড়ির নকশা, ব্লক এবং হাতের কাজে মসলিন, সিল্ক, কটন, আদি সিল্ক, আদি কটনের উপকরণ ব্যবহার করা হয়। তার সংগ্রহের মধ্যে ছিল প্রচলিত এবং অভিজাত ডিজাইনের পোশাক। সাদাকালো, মসলিন, হাফ সিল্ক, সিল্ক শাড়ি, সাদাকালো কটন পাঞ্জাবিসহ বেশ কিছু ডিজাইন উপস্থাপন করেন তিনি।

পাটের সোনালি দিন ফিরিয়ে আনার ল্েয ডিজাইনার উত্তম ঘোষ কিছু স্বতন্ত্র ডিজাইন তৈরি করে পাটের উপকরণ ব্যবহার করে। পাটের সুতায় বোনা কাপড়ে স্যুট, ওয়েস্টার্ন আউটফিট, মসলিন এবং জামদানি শাড়ি ছিল এবারের ঢাকা ফ্যাশন উইকের বিশেষ আকর্ষণ।

যাত্রার শৈল্পিক ফ্যাশনের উপস্থাপনা সমাদৃত হয় সবার কাছে। তাদের উপস্থাপনা ছিল অসাধারণ। সিলেটের মণিপুরী ডালাসের পারফমেন্সের সঙ্গে  যাত্রার বৈচিত্র্যময় ফ্যাশনের উপস্থাপনায় এক জাদুকরী আকর্ষণ সৃষ্টি হয়।

বৈচিত্র্যময় এবং পছন্দশীল বিশ্ব তৈরির ল্েয ঢাকা ফ্যাশন উইকের চূড়ান্ত পর্বে ছিল ‘পারফরমেন্স অব মুভমেন্ট’। এটি পরিচালনা করেন কৌশিকী নাসের।   বিভিন্ন সংস্কৃতি, ঐতিহ্যে, রুচি ও বিশ্বাসের বৈচিত্র্যময় সব পোশাকে মডেলরা হাজির হন দর্শকদের সামনে।

ঢাকা ফ্যাশন উইকের এবারের থিম ছিল সেলিব্রেশন অব চয়েস বা পছন্দকে উদযাপন। আমাদের সঠিক পছন্দ, জীবনযাত্রা, লাইফস্টাইলের ধারণা ক্যাট ওয়াকের মাধ্যমে উপস্থাপন করে দেশের খ্যাতনামা ১২জন মডেল। কেউ হিজাব, কেউবা টপস, শাড়ি, পাঞ্জাবি, টি-শার্ট পরে নানা রংয়ে নানা ঢংয়ে দর্শকদের সামনে উপস্থিত হন।

অটবি ছিল ঢাকা ফ্যাশন উইকের টাইটেল স্পন্সর। এই অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার ট্রেন্ডজ-নিউ এজ এবং একুশে টিভি। ম্যাগাজিন পার্টনার চারবেলা চারদিক, স্পা মেকআপ ও হেয়ার পার্টনার ওয়েস্টিন এবং মিউজিক পার্টনার বেঙ্গল মিউজিক। এই ইভেন্টের অফিসিয়াল ফটোগ্রাফার ডেভিড বারিকদার এবং পিআর পার্টনার মাস্টহেড পিআর।


বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৪৫৫, জুলাই ২১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।