ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

ঘরের কাজ হবে আনন্দে

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪২ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৬
ঘরের কাজ হবে আনন্দে

ঘরের কাজ করার সময় কম বেশি সবারই প্রতিনিয়ত টুকটাক ঝামেলা পোহাতে হয় । কিন্তু একটু বুদ্ধি খাঁটিয়ে চটজলদি উপায়ের মাধ্যমে এসব টুকটাক সমস্যা সমাধান করা যায় এক নিমিষেই।



* ময়দার তৈরি খাবার তেলে ভাজার আগে তেলে এক চিমটি লবণ দিন। এতে তেল খরচ কমে যাবে।
* সেদ্ধ আটার রুটি বানাতে পানিতে সামান্য তেল দিন। রুটি নরম হবে।
* রুটি জাতীয় খাবার যেমন পাউরুটি, স্যান্ডউইচ ইত্যাদি বেশি সময় নরম রাখতে পরিষ্কার কাপড় দুধে ভিজিয়ে নিংড়ে নিয়ে রুটি জাতীয় খাবার মুড়ে   রাখলে বেশি সময় নরম থাকবে।
* দুধ পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমাতে জ্বাল দেওয়ার আগে গরম পানি দিয়ে পাত্রটিকে ধুয়ে ফেলুন।
* মাংস সেদ্ধ হতে দেরি হলে কয়েক দানা মেথি অথবা কয়েক টুকরো কাঁচা পেঁপেও রান্না করা মাংসে দিয়ে দিতে পারেন।
* মাঝে মধ্যে ফ্লাক্সের ভিতর দুর্গন্ধ হয়। এক চামচ চিনি ফ্লাক্সে রেখে দিন দুর্গন্ধ দূর হবে।
* মোম যাতে বেশি সময় ধরে জ্বলে, তাই একে রেফ্রিজারেটরে রাখতে পারেন।
* প্রেসার কুকারের মরিচা দূর করার জন্য লেবুর খোসা দিয়ে ভালো করে ঘষে এতে গরম পানি দিয়ে ঘণ্টা খানিক রাখুন। মরিচা দূর হয়ে যাবে।
* আয়নাতে পানির দাগ শুকিয়ে বসে গিয়ে বাজে দেখায়। খবরের কাগজ ভিজিয়ে পরিষ্কার করে নিন।
* বাথরুমের দুর্গন্ধ দুর করতে বাথরুম ব্যবহার করার পর খানিকক্ষণ মোম জ্বালিয়ে রাখলে দুর্গন্ধ হবে না। এছাড়া মানিপ্লান্ট গাছ রাখলেও দুর্গন্ধ কম হয়।
* ঘরের মেঝে অথবা টাইলস ময়লা হয়ে গেলে কলার খোসা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এবং পরের দিন সেই পানি দিয়ে মেঝে বা টাইলস্ মুছে ফেলুন, মেঝে পরিষ্কার হয়ে যাবে।

এভাবে অল্পসময়ের মধ্যে চটজলদি উপায়ের মাধ্যমে আমরা ঘরের সমস্যার সহজ কিছু সমাধান করতে পারি।

বন্ধুরা এসব ছোট সমস্যার বাইরেও আমাদের সংসারের নানা কাজ থাকে। স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই কাজের প্রয়োজনে সারাদিন বাইরে থাকতে হয় আর বাসায় কাজের লোক থাকে না, সেদিন এমন এক কলেজ শিক্ষিকা বলছিলেন, “বাড়িতে ফিরতে ভয় লাগে। মনে হয় কাজগুলো সব বড় বড় চোখ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আর এর মধ্যে কোনো অতিথি আসবে শুনলে যেন কান্না পায়”।

আসলেই যারা এমন অবস্থায় পড়েননি, তারা বুঝবেন না এমন পরিস্থিতিতে কেমন হয়। কিন্তু কাজ দেখে ভয় পেলে আরও কাজ জমে যাবে তখন এগুলো পরিষ্কার করতে বেশি কষ্ট হবে। আবার একসঙ্গে অনেক কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারি, তখন হয় আরেক বিপদ...

এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হবে ধৈর্য নিয়ে, বুদ্ধি খাটিয়ে। প্রথমেই সাপ্তাহিক কাজের তালিকা একটি তালিকা করতে হবে।
যা হতে পারে এমন:

শনিবার: শনিবার বিছানার চাদর এবং পোশাক ধোয়া, সেই কাপড় শুকিয়ে ভাঁজ করা
রবিবার: থালা-বাসন পরিষ্কার। জুতার তাক গোছানো।
সোমবার: ধুলা পরিষ্কার করে ঘর ঝাড়ু দিতে হবে। রেফ্রিজারেটরের ওপরে, টেলিভিশন, খাটসহ সব ফার্নিচার মুছতে হবে।
মঙ্গলবার: বাথরুম পরিষ্কার। ১ টি বাথরুম পরিষ্কারে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের বেশি সময় লাগবে না। বেসিন, সিংকও এদিন পরিষ্কার করতে হবে।
বুধবার: রান্নাঘর, যেগুলো কাজে না লাগে সেগুলো ফেলে দিতে হবে। ফ্রিজের জমানো খাবার, মশলা সবজি সব ফেলতে হবে। রান্নাঘরের তাক, ফ্রিজ, মশলার পাত্র, হাড়ি-পাতিল, ফিল্টার, ওভেন পরিষ্কার করতে হবে।
বৃহস্পতিবার: মেঝে ও ফ্যান পরিষ্কার। পেঁয়াজ কাটা, মশলা ব্লেন্ড করা
শুক্রবার: বিশ্রাম

অফিসের কাজ সংসারের কাজ সবই করতে হবে। তবে সব কাজ একা করতে যাবেন না দুজন মিলে কাজগুলো ভাগ করে নিন। বিরক্তি নিয়ে কাজ না করে দুজন গল্প করতে করতে কাজগুলো গুছিয়ে ফেলুন। দেখবেন ঘরও পরিষ্কার থাকবে। সঙ্গে মনও থাকবে ফুরফুরে...

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।