ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

এক বছর পেরিয়ে জুমজুম ডট কম

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৬
এক বছর পেরিয়ে জুমজুম ডট কম

ঢাকা: ২০১৫ সালে জুলাইয়ে যাত্রা শুরু করে সফলতার সঙ্গে দেখতে দেখতে এক বছর পার করলো বাংলাদেশের প্রথম ফ্যাশন ই-কমার্স সাইট জুমজুম ডট কম।  

শুরুর দিকে জুমজুমকে পাড়ি দিতে হয়েছে অনেক কঠিন পথ, তবে এই এক বছরে স্টার্টআপটির অর্জনও কিন্তু কম নয়।

তারপরও কাস্টমারদের এক ক্লিকেই ফ্যাশন পণ্য কেনার প্লাটফর্ম হিসেবে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে গেছে এ ই-কমার্স স্টার্টআপটি।

পার্টনারশিপ বাড়িয়ে অপারেশন খরচ নিয়ন্ত্রণ এবং কাস্টমারদের বাজেটের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করে নিজেদের আরও সমৃদ্ধ করেছে জুমজুম।

জুমজুমের এক বছরের যাত্রা সম্পর্কে স্টার্টআপটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফায়াজ তাহের জানান, কাস্টমারদের উন্নত সেবা এবং মানসম্মত পণ্য সরবরাহ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের ফ্যাশন রিটেইল ব্যবসায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে জুমজুম। সারা বিশ্বের তুলনায় বাংলাদেশে অনলাইনে কেনাকাটা এখনও অনেক কম। তারপরও দেশীও ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে কাজ করে জুমজুম দেশের কাস্টমারদের কাছে সহজেই পৌঁছে যাচ্ছে।  

ফ্রিল্যান্স ফ্যাশন ডিজাইনার, বুটিক শপের মালিক কিংবা ছোট ই-কমার্স প্লাটফর্মদের হাব হিসেবে কাজ করছে জুমজুম। এমনকি কয়েকদিন আগেও রাইজ ব্র্যান্ডের প্রিমিয়াম ডেনিম এবং চিনোসও জুমজুমের সাইটেই প্রোডাক্ট লঞ্চ হয়েছিল।  

তাছাড়া অনলাইন বুটিক শপ আনস্টিচ, দ্যা আপিয়ারেলস, কাট প্রাইসের মতো অনলাইন প্লাটফর্মের পণ্যও জুমজুমে পাওয়া যাচ্ছে।

নিজস্ব সাইটে নিয়মিতই হালনাগাদ হচ্ছে জুমজুমের ফ্যাশন পণ্য। সেই সঙ্গে ফেসবুক পেজ এবং ব্লগ সাইটেও সরব থাকছে প্লাটফর্মটি। নিয়মিত কাস্টমারদের জন্য ডিসকাউন্ট এবং ক্যাশ ব্যাক অফারও দিচ্ছে জুমজুম।

শুধু নিজেরা ব্যবসা করেই নয়, জুমজুম কাজ করছে বাংলাদেশে একটি ই-কমার্স বান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে। কাস্টমারদের প্রতিক্রিয়া এবং অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে জুমজুম প্রতিনিয়তই নিজেদের আরও উন্নত করে যাচ্ছে। তাছাড়া বাংলাদেশের মানুষকে আরও বেশি ই-কমার্স প্লাটফর্ম ব্যবহারেও উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছে তাদের বিভিন্ন ক্যাম্পেইন।

জুমজুম ফ্যাশন ব্লগ সাইটে গিয়ে যেকেউ শুধু ফ্যাশন টিপসই নয়, সেই সঙ্গে চলতি ট্রেন্ড, বিভিন্ন উপলক্ষে ছাড়ের খবরও জেনে নিতে পারছে।

জুমজুমের কার্যক্রম সম্পর্কে হেড অফ অপারেশনস রিফাত আহমেদ জানান, এ এক বছরে অনেক কঠিন পথ পেরিয়ে আমাদের টিম নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। তাছাড়া আমরা খুব ভাগ্যবান যে, মার্কেটিংয়ে আসিফ হোসেন, সাপ্লাই চেনে জুবায়ের আহমেদ এবং কাস্টমার সার্ভিসে ইমরান আজিজের মতো বেশ কিছু উদ্যোমী তরুণদের সঙ্গে নিয়ে ব্যবসা চালাতে পারছি। আমাদের লক্ষ্য সবসময় কাস্টমারদের সেরা সেবা নিশ্চিত করে সবার পছন্দের ই-কমার্স প্লাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া।

অনলাইন সাইট ছাড়াও কাস্টমারদের ট্রায়াল দিয়ে পণ্য কেনার সুবিধা দিতে মিরপুর এবং উত্তরায় অফলাইন শপের যাত্রা শুরু করছে জুমজুম। বাংলাদেশের প্রায় ৯০% মানুষ এখনও দোকান ঘুরেই পণ্য কিনতে পছন্দ করে। তাদের কথা মাথায় রেখে এ অফলাইন শপগুলোকে সাজানো হয়েছে।

এক বছর ধরে জুমজুমের অপারেশন অনলাইন প্লাটফর্মে কাজ করার ক্ষেত্রে সবার আগে ব্যবসা এবং কাস্টমারদের ধরণ বুঝে কাজ করতে হয়।

অল্প রিসোর্স দিয়েও ই-কমার্স ব্যবসা কিভাবে গুছিয়ে করা যায় সেটাই দেখিয়ে দিয়েছে জুমজুম। সঠিকভাবে ডেলিভারি ম্যানেজম্যান্ট, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এবং কাস্টমার সার্ভিস পরিচালনা করে নিজেদের ব্যবসা এগিয়ে নিচ্ছে জুমজুম।

ছোট ফ্যাশন আইডিয়া নিয়ে কাজ শুরু করা জুমজুম নিজেদের আরও বড় করার স্বপ্ন দেখছে। নতুন নতুন ব্র্যান্ডের পণ্য এনে সাইটটিকে আরও অনেক সমৃদ্ধ করার পরিকল্পনা করছে জুমজুম। তাছাড়া নিয়মিত কাস্টমারদের জন্য নতুন একটি ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ প্রোজেক্ট হাতে নিয়েছে তারা। লেটেস্ট ট্রেন্ডের প্রোডাক্ট নিয়ে সব কাস্টমারদের কাছেই পৌঁছে যেতে চায় এ ফ্যাশন ই-কমার্স সাইট জুমজুম।

জুমজুম
জুমজুম বাংলাদেশের প্রথম সারির ফ্যাশন ই-কমার্স সাইট। জুমজুমের যাত্রা শুরু থেকেই ফ্যাশন প্রেমীদের জন্য নিজস্ব পণ্য ছাড়াও নামী-দামী ব্র্যান্ডের পণ্য বিক্রি করে আসছিল। জুমজুম সম্পর্কে আরও জানতে ভিজিট করুন,  http://www.zuumzuum.com/  or https://www.facebook.com/ZuumZm/timeline

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৬
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।