ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

ঈদে ফয়’স লেক

মাহবুব আলম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১১
ঈদে ফয়’স লেক

ফয়`স লেক ! বন্দর নগরী চট্টগামের একটি উল্লেখযোগ্য বিনোদন কেন্দ্র। ঝরনার জলে স্নান ফোয়ারার জলে কুলকুচি এবং ঢেউয়ের তালে নাচানাচি আবার রাইড নিয়ে মাতামাতি এ সবই এক জায়গায়।



হ্রদ ও পাহাড়ের কুল ঘেষে নগরীর খুলশী এলাকায় গড়ে উঠেছে এমন বিনোদন কেন্দ্র। ফয়’স  লেকের এ বিনোদন কেন্দ্র হাতছানি দিয়ে ডাকে ভ্রমন পিয়াসু ব্যক্তিদের। নৈসর্গিক সৌন্দর্যমন্ডিত প্রকৃতির কাছে ছুটে যায় কর্মব্যস্ত মানুষ।

অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ও সি ওর্য়াল্ড নিয়ে গড়ে উঠেছে এ বিনোদন কেন্দ্র। ৩৩৬ একর জমির ওপর এই পার্ক ।

দুটি পার্কই হরেক রকম রাইডে ঠাসা। কনকর্ডের ব্যবস্থাপনা ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্কটির যাত্রা শুরু হয় ২০০৫ সালে। ২০ টিরও বেশী রাইড রয়েছে এখানে।

রাইডে ঘুরে আসা রাইয়ান নামের একজন বলেন,‘বাম্পার কার দিয়ে টোকাটুকির প্রতিযোগিতা করা যায়। আর পাশ দিয়ে সার্কাস ট্রেন ঝিকঝিক শব্দে চলে যায়। একটা অসাধারন রাইড এটি’।

এছাড়াও রংবেরংয়ের ঘোড়ার উপর বসে শিশু-কিশোরেরা কী মজাই না পায়! এই রাইডের নাম বেবি কেরাওসাল। তাদের জন্য রয়েছে আবার ভিডিও গেমসও। আর লাফালাফির জন্য বাগ বাউন্স ও হ্যাপি জ্যাম্প বাচ্ছাদের খুবই প্রিয়। ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে আসা একজন মা বাংলানিউজকে বলেন, নাগরিক জীবনে ও ছেলের পড়াশোনার চাপে যখন হাপিয়ে উঠি তখনই চলে আসি ফয়’স লেকে।

কারও যদি আকাশ ছোঁয়ার  ইচ্ছে হয় তবে উঠতে হবে ফেরিস হুইলে। এছাড়া  রেড ড্রাই স্লাইড, পাইরেট শিপ, ইয়েলো ড্রাই স্লাইড ইত্যাদি রাইডে চড়া যাবে। প্যাডেল বোট নামের একটি বৈঠাহীন নৌকা নিয়ে আঁকা বাঁকা হ্রদের ঝোপঝাড়ে  হারিয়ে যাওয়া যায় অনায়াসে। এখানে সাইকেল চালানো যায় পানির ওপরে।

হ্রদে পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘোরার জন্য রয়েছে ফ্যামিলি রোলার কোস্টার। পাহাড় আর বন-জঙ্গলে দু একটি হরিণ বিংবা বানরও দেখা যেতে পারে। আর পার্কে খাবার ছিটিয়ে দিলে কবুতর গুলো বসতে পারে আপনার হাতে ।

ফয়’স লেক বিপনন অফিস সূত্রে জানা যায়, পার্কের রাইডগুলোর জন্য জন প্রতি খরচ করতে হবে ৩০ থেকে ৬০ টাকা। তবে ১০/১৫ জনের বড় ইঞ্জিন নৌকার ২৫ মিনিটে ৭০০ টাকা। রাইড ছাড়া পার্কের প্রবেশ মূল্য ১৫০ টাকা।

এখানে পিকনিকের জন্য রয়েছে নানা অফার। শিক্ষার্থীদের পিকনিকের ক্ষেত্রে প্রবেশমূল্য ১০০ টাকা এবং কর্পোরেটের জন্য প্রতিজনের প্রবেশ ফি ১২০ টাকা। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
 
ফয়’স লেকে বাড়তি আনন্দের জন্য ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সি ওর্য়াল্ড নামের ওয়টার পার্ক। এখানে ওয়েব পুল, স্লাইড ওর্য়াল্ড, টিউব স্লাইড, ফ্যামেলী পুল, ড্যান্সিং জোন নামের রাইড রয়েছে।

কৃত্রিম ঢেউয়ের তালে তালে ঝর্ণার পানিতে নেমে পরুন। এই আনন্দ স্মৃতি বহুদিন মনে থাকবে। foys lake

গরম মৌসুমে ওয়ার্টার পার্কে দর্শনার্থীদের ভিড় বেড়ে যায় উল্লেখ করে কনকর্ডের সহকারী ব্যবস্থাপক (বিপনন) বিশ্বজিত জানালেন সি ওর্য়াল্ডে এক সঙ্গে দুইহাজারেও বেশী লোক নামতে পারে।

এতে প্রবেশের জন্য পৃথক পৃথক প্রবেশ ফি দিতে হবে। এখানে খাওয়া দাওয়ার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্নাকস, রেস্তোরা হোটেল।

এছাড়াও লেকে রয়েছে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত রিসোর্ট। এসব রিসোর্ট ও রেস্ট হাউজে রয়েছে অতিথিদেও জন্য রাত্রি যাপনের বিশেষ সুযোগ সুবিধা। এখানের অতিথিরা বিনা ফিতে পার্ক ও সি ওর্য়াল্ডের বিভিন্ন রাইড উপভোগ করতে পারেন। এসব রিসোর্টের ভাড়া ৭০০-৮০০টাকা।

আপনিও ঘুরে আসতে পারেন এই মনোমুগ্ধকর পর্যটন এরিয়াটি। ঈদের ছুটিতে আমন্ত্রণ ফয়’স লেকে।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।