ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

অলস সময়ে মায়েদের বিনোদন

প্রীতি ওয়ারেছা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১১
অলস সময়ে মায়েদের বিনোদন

সন্তানের স্কুল শুরু হলে একটা বাড়তি চাপ এবং একইসাথে যে দায়িত্ববোধ অভিভাবকের মাথায় কাজ করে তা হল সন্তানকে নিয়ে স্কুলে আনা নেওয়া করা। বাবা মা দুজনেই কর্মজীবী হলে তারা নিজেরা কষ্ট করে হলেও সময় সমন্বয় করে নেন।



আর যে পরিবারের মা বাইরে কাজ করেননা সেখানে তিনিই সন্তানকে স্কুলে আনা নেওয়ার দায়িত্ব পালন করেন। সন্তানকে স্কুলে বসিয়ে মায়েরা স্কুল করিডোরে কিংবা ফুটপাতে বসে গল্প করে সময় পার করেন। আজ আমরা মায়েদের সেই অলস সময়ের কথা বলব।

রাজধানী শহর থেকে শুরু করে জেলা শহরগুলোতেও নিরাপত্তার অভাবে সন্তানকে একা ছাড়েন না অভিভাবকরা। আবার স্কুলের দূরত্ব বাসার কাছাকাছি না হওয়ায়, যাতায়াত ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে, অথবা যাওয়া আসার মধ্যবর্তী সময় সংকুলান না হওয়ার জন্যও মায়েরা স্কুলে বসে অলস সময় পার করেন।

আমাদের দেশের বাস্তবতায় একজন গৃহিণীর বিনোদন ব্যবস্থার খুব অভাব। স্কুলের অলস সময়টুকু তাদের জন্য হয়ে ওঠে উত্তম বিনোদন মূহুর্ত। তারা অন্যান্য মায়েদের সাথে সখ্যতা এবং চিন্তা চেতনার আদান প্রদান করতে পারেন।

মনোবিজ্ঞানী ডঃ মেহতাব খানম এই বিষয়ে বলেন-এটা গৃহিণীদের জন্যে প্রতিদিনের রিচার্জমেন্ট। এই সময়টুকুতে দেখা যায় তারা একে অন্যের কাছে থেকে এনার্জি পেয়ে থাকেন।

তিনি আরও বলেন-আমার নিজের সন্তানকে নিয়ে স্কুলে যাতায়াত করার সময় আমি এই নিরেট আনন্দের অভাববোধ করতাম। কাজের চাপে আমি নিজে এই আনন্দ উপভোগ করতে পারিনি।

রিচার্জমেন্টের পাশাপাশি কৌশল করে চললে এই সময়টুকু তাদের জন্য আর্থিকভাবেও অনন্য হয়ে উঠতে পারে।

  •   সমমনা কয়েকজনকে সাথে নিয়ে সমিতির মাধ্যমে মাসিক টাকা জমাতে পারেন।
  •   স্কুলের আশেপাশে কোন রান্নার কিংবা কুটির শিল্পের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান থাকলে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।
  •   স্কুলের স্বল্প সময়ের জন্য উপযোগী পছন্দমত কোন ছোট ব্যবসা করতে পারেন।
  •   অনেকেই নিজের তৈরি পোশাক এবং ফাস্ট ফুড যেমন কাবাব, সিঙ্গাড়া, সামুচা প্যাকেটজাত করে বিক্রি করতে  পারেন।


আপনি প্রশিক্ষিত হলে আরও একধাপ এগিয়ে চিন্তা করতে পারেন। আপনার তৈরি পোশাক মার্কেটিং এর জন্য কোন ফ্যাশন হাউজের সঙ্গে যোগাযোগ করে যুক্ত হতে পারেন। ফুড এন্ড বেভারেজের ক্ষেত্রে মানসম্মত খাদ্য সরবরাহের আশ্বাসে বিভিন্ন দোকানে যুক্ত হতে পারেন। নিজের মনমত আরও অনেককিছুই করতে পারেন।

মায়েদের ছোট এই আয় থেকে নিজেদের চাহিদা মেটাতে পারবেন আর পরিবারে আরও একটু স্বচ্ছলতা যোগ হবে। তখন দেখবেন সময়টাকে আর অলস মনে হবে না।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।