ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

যেমন হবে বিশেষ শিশুর ঘর

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০১৯
যেমন হবে বিশেষ শিশুর ঘর বিশেষ শিশুর ঘর

আজ (২ এপ্রিল) ১২তম অটিজম সচেতনতা দিবস। অটিজম কোনো অভিশাপ বা অপরাধ নয়। একজন অটিস্টিক শিশুকে যদি উপযুক্ত পরিবেশ করে দেয়া হয় তবে সেই শিশুটিই হবে আমাদের জন্য আশীর্বাদ। 

একটু লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, অটিস্টিক শিশুদের ক্ষেত্রে তাদের উপযুক্ত স্কুল বা পুনর্বাসন কেন্দ্র রয়েছে কিন্তু তা খুব সীমিত পর্যায়ে। এর বাইরে এই বিশেষ শিশুটি  একটা লম্বা সময় ধরে যে নিজ ঘরে থাকে তখন তার জন্য উপযোগী তেমন কোনো ব্যবস্থাই থাকেনা।

তাই প্রতিটি স্বাভাবিক মানুষের মতো এই বিশেষ শিশুটির জন্যও আবশ্যিক হয়ে দাঁড়ায় ‘উপযুক্ত পরিবেশ’।

মূলত নিজের ঘরে একজন অটিস্টিক শিশুর জন্য যদি তার ধরণ অনুযায়ী আবহ তৈরি করতে হয়। তবে ঘরের মেঝে থেকে শুরু করে ঘরের দেয়াল ও দেয়ালের রং, কৃত্তিম ছাদ (ফলস সিলিং), আসবাব, কৃত্তিম আলো (লাইটিং), সাউন্ড সিস্টেম, ফেব্রিক, পর্দা সব কিছুতেই নজর রাখতে হবে।  

ঘরের দেয়াল ও মেঝে করে নিতে হবে নরম আবরণে ঢাকা। কোনো কারণে দেয়ালে ধাক্কা লাগলে বা মেঝেতে পড়ে গেলেও যেন ব্যথা না পায়।  

দেয়ালের রং নির্বাচনের সময় অবশই খেয়াল রাখতে হবে তা যেনো  ম্যাট ফিনিশ এবং শিশা মুক্ত থাকে (নন গ্লসি - লিড ফ্রি)। আর  প্রাকৃতিক আলো এবং রোদ সবসময় তাদের জন্য সহনশীল নাও হতে পারে। তাই জানালায় ব্যাবহার করতে হবে ব্ল্যাক আউট রোলার ব্লাইন্ড। এতে করে প্রাকৃতিক আলোর যথাযথ ব্যবহার সুবিধা ও ইচ্ছে অনুযায়ী করতে পারবে।

বিশেষ শিশুর ঘরপাশাপাশি অটিস্টিক শিশুদের জন্য কৃত্তিম আলোর এক বিশাল ভুমিকা রয়েছে। তাই তাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে রুমে ব্যবহার করা হয় বাবল টিউব লাইট। এই লাইটিং তাদের মনসংযোগে সাহায্য করে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত উদ্দীপনাকে শিথিল করে।  

ল্যাম্পশ্যাড জাতীয় জিনিশ না রাখাই সবচেয়ে ভালো। আর অন্যান্য বৈদ্যুতিক সব কিছুই শিশুর হাতের নাগালের বাইরে ঢাকা অবস্থায় থাকে সেই ব্যবস্থাও করতে হবে। এর পাশাপাশি প্রয়োজন তাদের মুড, আগ্রহ এবং পছন্দের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবস্থা রাখা।  

শিশুর বয়স, মাপ এবং গড়ন অনুযায়ী তার ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন পরিকল্পিত আসবাব। আসবাব নির্বাচন করতে হবে পলিশ এবং  নরম কাপড়ে মোড়ানো (সফট ফেব্রিকেটেড)। এতে করে তাদের দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকি থাকবে না।  

বিশেষ শিশুদের জন্য সবার আগে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আর ছোটবেলা থেকেই নিজের কাজগুলো করতে শেখালে তাদের মধ্যেও আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠবে।  

লেখা: সোহেলী সায়মা সেঁজুতি
ইন্টেরিওর আর্কিটেক্ট
ছবি: আর্কিডেন ইন্টিরিওর 

বাংলাদেশ সময়: ১০২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৯
এসআইএস 

 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।