ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

ই-কমার্স-বিজনেস করার কথা ভাবছেন? 

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০
ই-কমার্স-বিজনেস করার কথা ভাবছেন? 

মহামারি করোনায় সাধারণ কাজের সুযোগগুলো যখন কমে আসছিল, আমাদের দেশে কাজ হারানোয় ক্ষতির প্রভাব অনেকটাই রুখে দিয়েছে অনলাইন প্লাটফর্ম।  
চাকরি খোঁজার পরিবর্তে ঘরে ঘরে এখন চলছে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রস্তুতি।

যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ই-কমার্স-বিজনেস করবেন। তখন যে বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে: 

ডোমেইন নির্বাচন
ব্যবসার সঙ্গে মিল রেখে নাম নির্বাচন করতে হবে। কারণ নাম আপনার ব্যবসার পরিচয় বহন করবে। আপনার ব্যবসার ধরনের সঙ্গে মিল রেখে ডোমেইন নির্বাচন করা উচিৎ। সঠিক নাম নির্বাচন ব্যবসার ওপর ভালো এবং মন্দ প্রভাব ফেলে। খুব সহজে বোঝা যায় এমন নাম নির্বাচন করতে হবে, তাহলে সবাই নাম পরে বুঝতে পারবে যে আপনার ব্যবসার ধরণ এবং পণ্য সম্পর্কে।
 

হোস্টিং নির্বাচন
ই-কমার্স ওয়েবসাইটের জন্য সঠিক হোস্টিং নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আপনি যে হোস্টিং ব্যবহার করবেন সেটি অবশ্যই ভালোমানের হওয়া জরুরি। হোস্টিং  নির্বাচনের ক্ষেত্রে মেমোরি, ডিস্ক স্পেস, ব্যান্ডউইথ এবং সাপোর্টের কথা মাথায় রেখে হোস্টিং নির্বাচন করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার হোস্টিংয়ের মান যদি খারাপ হয় তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের গতি কমে যাবে। সেক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা সমস্যার সম্মুখীন হবে, এটা আপনার ব্যবসার ওপর একটা খারাপ প্রভাব ফেলবে।

প্লাটফর্ম নির্বাচন
ই-কমার্স বিজনেসের ক্ষেত্রে প্লাটফর্ম অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা রাখে। কারণ একটি ওয়েবসাইটকে সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে যে কোনো একটি প্লাটফর্ম ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। ই- কমার্স ওয়েবসাইটের জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের প্লাটফর্ম ব্যবহার করে থাকি। এই প্লাটফর্মগুলো বিভিন্ন ফিচারের সমন্বয়ে গঠিত আমাদের প্রয়োজনে আমরা বিভিন্ন প্লাটফর্ম এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করি।  
 

জনপ্রিয় কয়েকটি প্লাটফর্ম হল- Wordpress (Woocomerce), Magento, Open Cart, Zen Cart,  Pestashop,  X-Cart,  OsCommerce
 

পেমেন্ট সিস্টেম
ই-কমার্স ওয়েবসাইটের জন্য পেমেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যে কোনো পণ্য ক্রয় থেকে শুরু করে সেই পণ্যটির মূল্য কীভাবে গ্রহণ করবেন অথবা ক্রেতা কিভাবে সেই মূল্য পরিশোধ করবে সেটি আগেই ঠিক করে নিতে হবে। পেমেন্ট অনেক ধরনের হতে পারে। আমাদের দেশে ক্যাশ অন ডেলিভারির মাধমেই বেশি লেনদেন সম্পন্ন হয়। এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং, ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার, ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন হয়ে থাকে। একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে আপনার ওয়েবসাইট অবশ্যই মূল্য পরিশোধের জন্য একাধিক মাধ্যম থাকা জরুরি। কারণ ক্রেতা যেন খুব সহজে যেন মূল্য পরিশোধ করতে পারেন।
 

প্রোডাক্ট ডেলিভারি
যে কোনো পণ্য অর্ডার থেকে শুরু করে কত সময়ের মধ্যে এবং কোন মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্যটি ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন তা অবশ্যই পরিকল্পনা করে নিতে হবে। নিজেদের ডেলিভারি ব্যবস্থা না থাকলে বিভিন্ন ডেলিভারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করে আপনি আপনার পণ্য সরবরাহ করতে পারেন। আপনি যদি আপনার পণ্যটি সঠিকভাবে এবং সঠিক সময়ের মধ্যে পৌঁছাতে না পারেন তাহলে আপনার ব্যবসার উপর খারাপ প্রভাব পড়বে। ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে মূলত ক্রেতারা পণ্য অর্ডার করে সঠিক সময়ে পণ্যটি হাতে পাওয়ার জন্য। তাই যে কোনো পণ্য সঠিকভাবে মান যাচাই করে তারপর ক্রেতার হাতে তুলে দিন। লক্ষ্য রাখুন যেন পণ্য সরবরাহে কোনো ভুল না হয় এবং সঠিক পণ্যটি ক্রেতার হাতে পৌঁছায়।
 

সেবা
ই-কমার্স ওয়েবসাইট প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের ফোন এবং জিজ্ঞাসার সম্মুখীন হতে হয়। পণ্য বিক্রয় পরবর্তী সেবা নিশ্চিত করতে ক্রেতাকে সঠিক তথ্য সরবরাহ করা আবশ্যক। এমন অনেক পণ্য থাকে যা বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তন করার প্রয়োজন হতে পারে সেক্ষেত্রে পরিবর্তনের ক্ষেত্রে নিয়মকানুন সঠিকভাবে হওয়া জরুরি। ক্রেতাকে ভুল কোনো তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করা যাবে না, এর ফলে ব্যবসার ওপর একটা খারাপ প্রভাব পড়বে। সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে মোবাইল, টেলিফোন, ই-মেইল অথবা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সেবা নিশ্চিত করা যেতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।