ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

বিশ্বের দ্বিতীয় ধনকুবের ইলন মাস্কের লাইফ ও স্টাইল

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২০
বিশ্বের দ্বিতীয় ধনকুবের ইলন মাস্কের লাইফ ও স্টাইল

সেলিব্রেটিদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমাদের যেমন আগ্রহ থাকে তেমনি, বিশ্বের সেরা ধনীদের বিষয়েও জানতে চাই। বিশ্বের অন্যতম ধনী ইলন মাস্কের লাইফস্টাইল কেমন জানতে চান? বিভিন্ন মিডিয়ার খবর থেকে জানা যায়, ইলন মাস্কের ব্যক্তিগত জীবন যেন সিনেমাকেও হার মানায়।

কীভাবে? আসুন জানি-সম্প্রতি ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার ইনডেক্স জানায় ‘মাইক্রোসফ্‌ট’ সংস্থার কর্ণধার বিল গেটসসহ বিশ্বের ৫০০ জন কোটিপতিকে টপকে বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় দু’নম্বরে জায়গা পাকা করে নিয়েছেন টেসলা কর্ণধার ইলন মাস্ক।

মহামারি করোনাকালে সবই যখন নিম্নগামী, তখন বছরের শুরুতে এলন মাস্ক ছিলেন ধনীদের তালিকার ৩৫ নম্বরে। আর বছর শেষে উঠে এসেছেন ২ নম্বরে। এত দ্রুত সেরা ধনকুবেরদের টপকে আসতে তাকে সাহায্য করেছে টেসলা মোটরের উত্তরোত্তর ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারের দাম। বর্তমানে এলনের মোট সম্পদের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৭৯০ কোটি ডলার। একটু পিছিয়ে পড়ে গেটসের সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৭৭০ কোটি ডলারে।

ছোটবেলায় অনেকেই ইলনকে স্পেশাল চাইল্ড (অটিস্টিক) বা বিশেষ শিশু ভাবতেন। কারণ তিনি সব সময় এতটাই কল্পনাতে বুঁদ হয়ে থাকতেন যে কারও ডাকে সাড়াও দিতেন না।

এক বার তাকে চিকিৎসকের কাছেও নিয়ে যেতে হয়েছিল সে জন্য। অন্য শিশুদের মতো তার স্বাভাবিক আচরণ না থাকার জন্য চিকিৎসক তার ব্রেন থেরাপির পরামর্শও দেন। পরীক্ষা করিয়ে নিতে বলেছিলেন তার শ্রবণ শক্তিরও।

ইলন যখন মাত্র ১০ বছরের, তার মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়ে যায়। সে এই সময়টায় মন খারাপ করে বসে না থেকে প্রোগ্রামিং শেখেন। আর এর  দু’বছরের মধ্যে মাত্র ১২ বছর বয়সেই নিজের তৈরি সফটওয়্যার গেম ‘ব্লাস্টার’ বিক্রি করেছিলেন। এটাই ছিল তার জীবনের প্রথম উপার্জন।

ইলনের জন্ম ১৯৭১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায়। উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি কানাডায় যান ১৯৮৯ সালে। পরে ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন পদার্থবিদ্যায় পিএইচডি করার জন্য। কিন্তু সেই পড়াশোনা মাঝপথেই থামিয়ে দেন। মাত্র দু’দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তার পরই নিজের প্রথম সফটওয়্যার কোম্পানি ‘জিপ ২’ খোলেন। এরপর একে একে গড়ে তোলেন অনলাইন ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস কোম্পানি ‘পেপাল’ ও ‘স্পেসএক্স’। পরবর্তীতে নাসার সঙ্গে যুক্ত হয়ে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠাতে শুরু করে তার সংস্থা। ২০০৪ সালে তিনি টেসলা মোটরের সিইও হন।

তার ব্যক্তি জীবন নিয়েও চলে বেশ আলোচনা। কারণ তিন বার বিয়ে করলেও তিন স্ত্রীর সঙ্গেই বিচ্ছেদ হয়েছে ইলনের। তৃতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় ২০১৬ সালে। তার পর থেকে প্রেমিকা গ্রিমসের সঙ্গেই রয়েছেন তিনি। তিন স্ত্রী এবং এক প্রেমিকার থেকে মোট ৭ সন্তানের বাবা হয়েছেন তিনি। তিনি সন্তানদের নামও রেখেছেন প্রোগ্রামিংয়ের ভাষায়। যেমন তার এক ছেলের নাম রেখেছেন X AE A-12 মাস্ক।

ধনী পরিবারে বেড়ে ওঠা প্রযুক্তি প্রিয় এলনের প্রথম শখ কম্পিউটার। এরপর গাড়ি, বিশ্বের সব বিলাসবহুল অভিজাত ব্র্যান্ডের গাড়ি রয়েছে তার সংগ্রহে।

এছাড়া তিনি খেতে পছন্দ করেন, তার ঘুমের রুটিন সব সময় ঠিক থাকে। রাত একটার মধ্যে বিছানায় যান আর সকাল ৭টায় ওঠার জন্য অ্যার্লামের প্রয়োজন হয়নি কোনোদিনই।

জুতা, ঘড়ি বা পোশাকের বিষয়েও বেশ সৌখিন ও সচেতন ইলন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২০
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।