ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

পণ্যের মান ও গ্রাহকদের আস্থায় বাড়ছে হারবাল পণ্যের বাজার

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২০
পণ্যের মান ও গ্রাহকদের আস্থায় বাড়ছে হারবাল পণ্যের বাজার

দেহ সুস্থ রাখার জন্য কী ধরনের পুষ্টি গ্রহণ করতে হবে ও প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে সে ব্যাপারে মানুষ এখন অনেক বেশি সচেতন হয়ে উঠছে। চুল ও ত্বক আমাদের দেহের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

তাই চুল ও ত্বকের বাড়তি যত্ন নেওয়া অত্যন্ত প্ৰয়োজন। চুলের ও ত্বকের যত্নে কী ধরনের পণ্য ব্যবহার করতে হবে তা নিয়ে আগে থেকেই ভাবতে হবে, কেননা এখন ব্যবহার করা পণ্য পরবর্তী সময়ে যেনো আমাদের ক্ষতির কারণ না হয়ে দাঁড়ায়, সেটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

নিয়মিত চুলে তেল দেওয়া এই উপমহাদেশের মানুষের ঐতিহ্যগত অভ্যাস। আমাদের চুলে তেল দেওয়া দাদী, নানী, মা ও বড় বোনদের কাছ থেকে দেখে শেখা। তারাই আমাদেরকে চুলে তেল দেওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বলেন। সেই অভিজ্ঞতা ও বিশ্বস্ততার ওপর ভিত্তি করেই চুলে তেল দেওয়া এই প্রজন্মের কাছে সমাদৃত। চুলের পুষ্টি যোগানো, চুল পড়া বন্ধ করা, চুলের গোড়া শক্ত করে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা, চুলে খুশকি দূর করা, চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা ইত্যাদির জন্য তেল খুবই উপকারী। অনেক তেল ব্যবহারকারীরা বিশ্বাস করেন যে চুলে তেল মালিশ করলে মাথা ঠাণ্ডা হয় এবং এর ফলে চুল সোজা, নরম এবং উজ্জ্বল হয় যা চুলের বিভিন্ন স্টাইল করতে সহায়তা করে।  
 
চুলের আর্দ্রতা ও ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের পণ্য ব্যবহার করা হয়। সাধারণত বাইরে কোথাও যাবার আগে ত্বকে প্রসাধনী ব্যবহার করা হয়। চুলের ও ত্বকের জন্য পণ্য ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করার ফেসওয়াস, সাবান, শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনারগুলো আমাদের ত্বক ও চুলকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে কি না তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়। যেহেতু প্রত্যেকের ত্বকের ও চুলের ধরণ ভিন্ন সেহেতু পণ্য ব্যবহার করার আগে তা আমাদের জন্য উপকারী কিনা তা যাচাই করে নেওয়া উচিত।  

প্রাকৃতিক উপাদান ও ভেষজ উপাদানের পুষ্টিগুণ  ত্বক ও মাথার চুলের জন্য উপকারী । এটি ত্বকের পিএইচ লেভেল ঠিক রাখে  ও চুলের ফাইবার ভেঙ্গে যাওয়া থেকে রক্ষা করে এবং দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষা নিশ্চিত করে। প্রাকৃতিক উপাদান আপনার চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্যকর অবস্থা ধরে রাখতে সাহায্য করে। যেহেতু উপাদানগুলোর উৎস প্রাকৃতিক, তাই প্রাকৃতিক/ হারবাল উপাদান সমৃদ্ধ পণ্য চুল ও ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক উপাদান মুক্ত। রাসায়নিক উপাদান সমৃদ্ধ পণ্যগুলোতে থাকা উপাদান কিছু মানুষের অ্যালার্জি হতে পারে। প্রাকৃতিক পণ্যগুলিতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে না এবং ত্বক ও চুলের ক্ষতি কমিয়ে দেয়।

দিন দিন প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ পণ্য প্রসাধনী ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ব্রাহ্মী, আমলা, অ্যাভোকাডো, অ্যালোভেরা এবং বাদাম সমৃদ্ধ পণ্য ব্যবহারকারীদের চাহিদার শীর্ষে উঠে এসেছে। গোল্ডেন ন্যাচারাল, বিউটি কেয়ার ও হার্বগানিক ব্র্যান্ডের হারবাল সাবান ও ইনিস্ফ্রি, সিম্পল ব্র্যান্ডের ফেসওয়াস ও হারবাল নিউট্রেশন ল্যাব, নাইলি, কুমারিকা ব্র্যান্ডের হারবাল তেল ও ইভল্ভ, হারবাল অ্যাসেন্স, ভাইটাল ব্র্যান্ডের হারবাল শ্যাম্পু বিশ্বব্যাপী হারবাল পণ্যের বাজারে ভালো অবস্থানে রয়েছে।   

এই উপমহাদেশেও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হারবাল পণ্যের চাহিদা রয়েছে। ত্বকের প্রসাধনী ও চুলের তেলের বাজার বিভিন্ন হারবাল ব্র্যান্ডের উপস্থিতিতে অত্যন্ত শক্তিশালী। শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে কুমারিকা এই উপমহাদেশে হারবাল তেল ব্যবহারকারীদের চাহিদায় ভালো অবস্থানে রয়েছে। পণ্যের গুণগত মান, বাজারে পণ্যের দীর্ঘ সময়ের উপস্থিতি এবং ব্যবহারকারীদের আস্থা ব্র্যান্ডগুলোকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাজারে টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে।

আমাদের দেহ সুস্থ রাখতে যেমন খাদ্য প্রয়োজন একইভাবে চুল সুন্দর ও প্রাণবন্ত রাখার জন্য চুলের পুষ্টির প্রয়োজন। চুলের পণ্যগুলো সরাসরি মাথার ত্বকে এবং তারপরে চুলের বাকি অংশে যায়। এর মূল উদ্দেশ্য চুলকে শক্তিশালী করা এবং চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা। দুর্ভাগ্যবশত যাদের ইতিমধ্যে চুল পড়া শুরু হয়েছে তাদের জন্য হারবাল উপাদান সমৃদ্ধ তেল একটি আশীর্বাদ।  

হারবাল উপাদান ব্রাহ্মী মাথার ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে এবং চুলকে এর গোড়া থেকে শক্তিশালী করে চুল পড়া হ্রাস করে। আমলার পুষ্টিগুণ চুল পড়ে যাওয়া রোধ করে, অসময়ে চুল পাকা রোধ করে, মাথার ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রেখে চুলকে করে ঝলমলে ও চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বাদাম চুল মজবুত ও ঘন করার পাশাপাশি চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়। মাথার ত্বক মসৃণ রাখতেও বাদাম বেশ কার্যকর।  অ্যালোভেরার নির্যাস চুলের ডগা ফাটা রোধ করে ও চুল পড়া বন্ধ করার জন্য এটি আদর্শ উপাদান। এ সকল হারবাল উপাদান সমৃদ্ধ তেল চুলের প্রতি যত্নশীল যে কারো জন্য হতে পারে বিশ্বস্ত সঙ্গী। এ সবগুলো হারবাল উপাদান সমৃদ্ধ তেল শ্রীলংকার কুমারিকা। বাংলাদেশে হারবাল উপাদান সমৃদ্ধ তেলের যাত্রা শুরু হয় কুমারিকার মাধ্যমে। এটি শতভাগ প্রাকৃতিক নির্যাস থেকে তৈরি একটি হারবাল তেল।  

বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে চুলের ও ত্বকের যত্ন নেওয়া দিন দিন বাড়ছে। এ সকল পণ্যে প্রাকৃতিক উপাদান এবং ভেষজ উপাদানের অন্তর্ভুক্তি বাজার বৃদ্ধির জন্য ভালো। হারবাল পণ্যে গুনগত মান বজায় রাখার মাধ্যমে দিন দিন ব্যবহারকারীদের পছন্দের তালিকায় উঠে এসেছে ও বাজারে ভালো অবস্থান তৈরি করে নিচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২০
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।