ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মালয়েশিয়া

পান্ডার প্রাসাদে ভ্রমণ

মাহমুদ খায়রুল, কুয়ালালামপুর করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৪
পান্ডার প্রাসাদে ভ্রমণ

মালয়েশিয়া:  ৪০ বছর কূটনেতিক সম্পর্কের প্রতি ধন্যবাদস্বরূপ চীনা সরকার মালয়েশিয়া সরকারকে গত মে মাসে দু’টি ফুটফুটে পান্ডা উপহার দেয়। তাদের নাম রাখা হয়েছে শিং শিং ও লিয়াং লিয়াং।

স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ১ আগস্ট থেকে দর্শনার্থীর জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে পান্ডাদুটোকে।

মালয়েশিয়ার জাতীয় চিড়িয়াখানায় এখন খেলায় মেতে আছে শিং শিং ও লিয়াং লিয়াং। তাদের থাকার জন্য যে স্থান তৈরি করা হয়েছে তাকে প্রাসাদ না বললে ভুল বলা হবে। শুধু তাই নয়, সভ্য মানুষের জীবন যাপনের জন্য যেসব আধুরিক সুযোগ সুবিধার প্রয়োজন তার সব ব্যবস্থাই করা হয়েছে এ পান্ডাছানা দু’টোর জন্য।   আছে স্বাস্থ্য উপযোগী খাবার তৈরির আলাদা কক্ষ, এক্সরে রুম, পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র, রান্নাঘর ইত্যাদি।

পান্ডাদুটি দেখাশুনার জন্য রাখা হয়েছে প্রায় ৩০-৪০ জন কর্মচারী। ঠিক যেনো আগের দিনের রাজ দরবারে দাস-দাসির মতো। যেখানে রাজা-বাদশাদের ফাই ফরমাশ খাটার জন্য অনেক দাস-দাসি রাখা হতো।

পান্ডাদুটোকে দেখাশুনা করে এমন এক মালয়েশিয়ান কর্মী বাংলানিউজকে জানান, পান্ডা বেশ সংবেদনশীল। এগুলোকে মানুষের বাচ্চার মতো দেখাশুনা করতে হয়। স্বাস্থ্য খুব তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে যেতে পারে, তাই প্রতিদিন স্বাস্থ্য চেকাপ করা হয়।

এছাড়া স্বাস্থ্যকর খাবার সরবরাহ না হলে পান্ডার পেট খারাপ হয়। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে পান্ডার শরীর খারাপ হতে পারে, তাই ঘুমের সময় আমরা দর্শনার্থীদের শব্দ করতেও মানা।

মজার মজার খাবার খেয়ে বেশ আনন্দে সময় কাটাচ্ছে শিং শিং ও লিয়াং লিয়াং। দেখলাম দুপুরের খাবার হিসেবে তাদের পরিবেশন করা হল বাম্বু কেক অর্থাৎ বাঁশের কেক। নিমিষেই মধ্যাহ্নভোজ সেরে চলে গেলা দিবা নিদ্রায়।

আর কিছু না হলেও চিরিয়াখানার অন্যান্য প্রাণীদের তুলনায় বেশ রাজকীয় পরিবেশে আছে তারা।

মালয়েশিয়ার নাগরিকেরা মনে করছেন, পান্ডার পেছনে যে পরিমাণ টাকা খরচ করছে তাদের সরকার তা দিয়ে দেশের বিভিন্ন বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করা যেত।

নানা মতের লোক থাকলেও এবং এ নিয়ে বেশ বিতর্কের জন্ম হলেও চিড়িয়াখানার প্রধান আকর্ষণ এখন শিং শিং ও লিয়াং লিয়াং। তাদের জন্য চিড়িয়াখানার প্রবেশ টিকিটের মূল্যই বেড়ে গেছে।

আগে বিদেশি দর্শনার্থীদের চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গুনতে হতো ৭২০ টাকা। এখন গুনতে হবে প্রায় ২০০০ টাকা!

খরচ একটু বেশি হলেও আপনি মুগ্ধ হবেন পান্ডার প্রাসাদ দেখে। যারা মালয়েশিয়ায় ঘুরতে আসবেন তারা সময় করে এখানে ‘ঢু’ মারতে একদমই ভুলবেন না।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মালয়েশিয়া এর সর্বশেষ