ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়ায় ব্ল্যাকলিস্টে লিংকন ইউনিভার্সিটি

মাজেদুল নয়ন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৫
মালয়েশিয়ায় ব্ল্যাকলিস্টে লিংকন ইউনিভার্সিটি

কুয়ালালামপুর: কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে কোটার অতিরিক্ত বিদেশি শিক্ষার্থী  মালয়েশিয়ায় আনার অপরাধে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে লিংকন ইউনিভার্সিটিকে। এর ফলে আগামী চারমাসে আর কোন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এ প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন না।



গত ৩ মাসে প্রায় ২ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর ফাইল আটকে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর দেশি ও বিদেশি এজেন্টদের ধরলে এই ফাইল সংখ্যা ৫ হাজারের ওপর।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মূলত শিক্ষার্থীর নামে শ্রমিক আনার কাজে ব্যাবহৃত হয়  বিশ্ববিদ্যালয়টি। এ ধরনের অভিযোগে গত একবছরেই বেশ কয়েকবার প্রতিষ্ঠানটিকে সতর্ক করেছে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এদিকে গত অর্ধযুগ ধরেই বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় শিক্ষার্থীর নামে শ্রমিক পাঠানোর এজেন্টদের প্রথম পছন্দের তালিকায় রয়েছে লিংকন ইউনিভার্সিটি। ভুয়া সার্টিফিকেট, কাগজপত্র জমা দিয়েও ভর্তি করানো হয় এখানে। আর এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে শিক্ষার্থীরা মালয়েশিয়ায় এলেও এদের অনেকেই কোনোদিনই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পা রাখার সুযোগ পাননি।  

তবে অনিয়ন্ত্রিতভাবে যতো বিদেশি শিক্ষার্থী এনেছে লিংকন, তারা সত্যিকারের শিক্ষার্থী হলে ক্লাসের জন্য স্টেডিয়াম নেগারা ভাড়া নিতে হতো কর্তৃপক্ষকে।

সরেজমিন দেখা যায়, কেলানা জায়া এলআরটির পাশে সেলানগড়ে পেটালিং জায়ায় মায়াং প্লাজায় একটি ফ্লোরেই গড়ে উঠেছে এই ইউনিভার্সিটি। সেখানেই কয়েকটি লোক দেখানো ক্লাসরুম আর অফিস নিয়ে চলে জমজমাট শিক্ষার্থী ব্যবসা।

শুধু শ্রমিক নয়, এজেন্টদের প্রতারণার শিকার হয়ে অনেক শিক্ষার্থীও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ঝুঁকিতে রয়েছেন।

কুয়ালালামপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন এজেন্টের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখানে যে শিক্ষার্থী ভর্তি হন, তাকেই কর্তৃপক্ষ এজেন্ট বানিয়ে নেয়। নতুন শিক্ষার্থীকেই বলা হয়, পরে শিক্ষার্থী আনতে পারলে ১০ শতাংশ কমিশন দেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর কাগজপত্র যাচাই না করে, শুধু টাকার বিনিময়ে ভর্তি করায়। এ সুযোগে নিজের নাম লিখতে না পারা লোকও হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

লিংকন ইউনিভার্সিটির একজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, শুধু যে শিক্ষার্থীর ছদ্মাবরণে শ্রমিক আসছে তাই নয়, মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রতারিত করেও এ প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসছে দালালরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অর্থেই চলছে লিংকন ইউনিভার্সিটি। শিক্ষার্থীরা এক বছরে কষ্ট করে যা আয় করেন, পরের বছরের ভিসা রিনিউর জন্যে সে অর্থ জমা দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্ট‍া, এপ্রিল ১৩, ২০১৫
এমএন/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মালয়েশিয়া এর সর্বশেষ