ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়ায় টাকা মেরে ২ স্বদেশির চম্পট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৯ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৫
মালয়েশিয়ায় টাকা মেরে ২ স্বদেশির চম্পট ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়া:  মালয়েশিয়ায় এক সুপারশপের ক্যাশ কাউন্টার থেকে চার লাখ ষাট হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত (ছিয়ানব্বই লাখ ষাট হাজার টাকা) চুরি করে ধরা পড়েছিলেন তিন বাংলাদেশি কর্মচারী কবির, ফারুক ও জাহিদ। এদের মধ্যে প্রথম জন চুরির টাকা ফেরত দিয়ে স্বদেশি মালিকের সঙ্গে আপোস রফায় এলেও ‍চম্পট দিয়েছেন বাকি দু’জন॥

তাদের সবার বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরায়।



স্বদেশি মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন নাসিরের সুপারশপে কাজ করতেন ফারুক, জাহিদ ও কবির।   রাতে তারা দোকান বন্ধ করার সময়ে সিসি ক্যামেরার সুইচ বন্ধ করে ক্যাশ থেকে টাকা সরিয়ে ফেলতেন। বিষয়টি টের পেয়ে গত ১ জুলাই রাতে তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন নাসির উদ্দিন।

কিন্তু প্রবাসে বাংলাদেশের সম্মান বিনষ্টের ভয়ে তাদের পুলিশে না দিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে টাকা ফেরত চান নাসির উদ্দিন।

জালিয়াতি ধরা পড়ার পর ওই ৩ বাংলাদেশি চুরির দায় স্বীকার করে টাকা ফেরত দিতে সম্মত হন। তাদের মধ্যে কবির ক্ষমা চেয়ে ৫২ হাজার রিঙ্গিত নিয়ে নাসির সঙ্গে সমঝোতা করেন। মালিক নাসির তাকে ক্ষমা করে চাকরিতে বহাল রাখেন।

কিন্তু  জাহিদ ও ফারুক টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিলেও সুযোগ বুঝে পালিয়ে যান। ফলে নাসির উদ্দিন নাসির নিরুপায় হয়ে কুয়ালালামপুরের দাং ওয়াঙ্গি থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি বাংলাদেশ দূতাবাসকেও অবহিত করেন। তার পক্ষ থেকে অপরাধীদের ধরিয়ে দিতে পারলে উপযুক্ত পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়।

বাংলানিউজকে নাসির বলেন,  ২০ বছর ধরে আমি মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছি। প্রথম ১০ বছর চাকরি করলেও পরে নিজেই আল ফাতেক ক্যাপিটাল এসডিএন বিএসডিএন মিনি মার্কেট নামে নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা শুরু করি। দোকানের কর্মচারী হিসেবে আমি আমার এলাকার ফারুক, কবির ও জাহিদকে ভিসা দিয়ে নিয়ে আসি। আমি তাদের প্রতি মাসে দেড় হাজার রিঙ্গিত বেতন দিলেও তারা প্রতি মাসে ৫/৬ হাজার রিঙ্গিত দেশে পাঠাতো।

নিজের দেশের সম্মানের কথা চিন্তা করে প্রথমে মামলা করেননি জানিয়ে নাসির বলেন, প্রবাসে আমরা দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছি। প্রতি মাসে বিভিন্নভাবে ৮০ হাজার রিঙ্গিত দেশে রেমিট্যান্স পাঠাই। আমার ছোট দুটি ভাই ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়াতে পড়াশোনা করছে।

ফারুকের বাড়ি রায়পুরা থানার কাটাঘাট বাজার ইউনিয়নের রাজাবাড়ি গ্রামে। তার বাবার নাম মোহাম্মাদ ইদ্রিস আলী। জাহিদের বাড়ি রায়পুরার ভল্লবপুর ইউনিয়নে চরশুবুদ্ধীতে। তার বাবার নাম হাসান আলী।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৫
জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মালয়েশিয়া এর সর্বশেষ