ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মালয়েশিয়া

‘ক্লিন রেকর্ড’র এজেন্সি শ্রমিক পাঠাবে মালয়েশিয়ায়

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৫
‘ক্লিন রেকর্ড’র এজেন্সি শ্রমিক পাঠাবে মালয়েশিয়ায় ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: সরকারের পাশাপাশি যেসব ‘অতীত রেকর্ড ভালো’ এমন যেকোনো রিক্রুটিং এজেন্সি মালয়েশিয়ায় সব সেক্টরে কর্মী পাঠাতে পারবে। আর সেসব কর্মীদের অভিবাসন খরচ হবে ৪২ হাজার টাকা।



বাংলাদেশ সফররত মালয়েশিয়া প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মঙ্গলবার দিনব্যাপী বৈঠকে উভয় দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এমনই সিদ্ধান্তে এসেছেন বলে জানা যায়। আর সরকারের পাশাপাশি রিক্রুটিং এজেন্সিকে কর্মী পাঠানোর সুযোগকেই বলা হচ্ছে ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতি। বৈঠকে যার খসড়া চূড়ান্ত হয়ে গেছে। চলতি মাসের মধ্যেই উভয় দেশ এ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করবে।

বৈঠক সূত্রে আরও জানা যায়, সম্ভাব্য মালয়েশিয়ার এ শ্রমবাজারে বায়রার সদস্য ছাড়াও সরকারের লাইসেন্সপ্রাপ্ত যেকোনো রিক্রুটিং এজেন্সিই মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে পারবে।

এদিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসিও সাংবাদিকদের বলেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ধরে নেন এখন উন্মুক্ত। ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে সব সেক্টরে দেশটিতে কর্মী যাবে।

যেসব রিক্রুটিং এজেন্সির শ্রমিক পাঠানোর  ক্যাপাবলিটি (সক্ষমতা) আছে, যাদের ব্যবসার অতীত রেকর্ড ভালো তারাই কর্মী পাঠাতে পারবে। আর প্রতি কর্মীর সেদেশে যেতে অভিবাসন খরচ হবে ৪২ হাজার টাকা। ’

এছাড়া জিটুজি’ পদ্ধতিতে যাওয়ার জন্য নাম নিবন্ধন করা ১৪ লাখ লোকের বাইরে যে কেউই  রেজিস্ট্রেশন করে মালয়েশিয়ায় যেতে পারবে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী জানান, বিশেষ কোনো কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পাচ্ছে না। এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

তবে বৈঠক সূত্র জানায়, মালয়েশিয়ায় কর্মীদের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেশটির বিতর্কিত সিনারফ্লাক্সই পাচ্ছে। তবে বাংলাদেশে ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব কারা পাচ্ছে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এটি ঠিক করবে।

প্রবাসী কল্যাণ সচিব ড. ইফতেখার হায়দার জানান, ‘মঙ্গলবারের বৈঠকে খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। দুই দেশ নিজেদের মন্ত্রিসভায় তা তুলবে। সেটি পাস হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে চুক্তি স্বাক্ষর হবে। এ মাসের মধ্যেই সব প্রক্রিয়া মিটতে পারে।

এর আগে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির নিজ কক্ষে তার সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করে মালয়েশিয়ার সফররত প্রতিনিধি দল। এরপর মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সারাদিন ‘জিটুজি প্লাস’ চুক্তির খসড়া চূড়ান্তে বৈঠকে বসেন উভয় দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

মালয়েশিয়া সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মহাসচিব দাতো শরিফুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ঢাকায় অবস্থিত দেশটির হাইকমিশনার নরলিন ওথম্যান ছাড়াও সেদেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব খন্দকার ইফতেখার হায়দারের নেতৃত্বে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার শহিদুল ইসলাম, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক বেগম শামসুন্নাহারসহ ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেন।

মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানির রূপরেখা চূড়ান্ত করতে সোমবার ঢাকায় পৌঁছেন দেশটির সরকারের পাঁচ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার রাতেই তাদের ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে। তবে মালয়েশিয়া প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের সংগঠন বায়রার কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো বৈঠক হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৫
জেপি/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মালয়েশিয়া এর সর্বশেষ