ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মালয়েশিয়া

‘ভালো আছে জোহর বাহরুর বাংলাদেশ’

জাকারিয়া মন্ডল, সিনিয়র আউটপুট এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৬
‘ভালো আছে জোহর বাহরুর বাংলাদেশ’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ভালো আছে জোহর বাহরুর বাংলাদেশ কমিউনিটি। গোটা মালয়েশিয়ার অর্ধেক বাংলাদেশি তো এখানেই। কিন্তু বাংলাদেশিদের মধ্যে এখানে বিভক্তি কম। এক সংগঠনের একাধিক কমিটি নেই। রাজনীতি নিয়েও নেই প্রকট কোনো দ্বন্দ্ব।

জোহার বাহরু (মালয়েশিযা) থেকে: ভালো আছে জোহর বাহরুর বাংলাদেশ কমিউনিটি। গোটা মালয়েশিয়ার অর্ধেক বাংলাদেশি তো এখানেই।

কিন্তু বাংলাদেশিদের মধ্যে এখানে বিভক্তি কম। এক সংগঠনের একাধিক কমিটি নেই। রাজনীতি নিয়েও নেই প্রকট কোনো দ্বন্দ্ব। এখানকার বাংলাদেশিরা নামেও ভালো, কাজেও ভালো।

জালান সুতেরায় এক রেস্তোরাঁর বাইরে খোলা জায়গায় বসে এমন দাবিতে একাট্টা হলেন মো. জাকির হোসেন, মোহাম্মদ ফাহিম মহিউদ্দিন ও শরীফ খান।

কিন্তু তারা মনে করেন, কুয়ালালামপুরের চেয়ে অনেক দূরে বলে এই কমিউনিটির খবর কম জানে মানুষ। অথচ কেবল শ্রমিক তো নয়, ব্যবসা-বাণিজ্যেও বেশ ভালো করছে জোহার বাহরুর বাংলাদেশিরা। এই বিদেশ বিভূঁইয়ে বাংলাদেশি মালিকানায় অন্তত গোটা পাঁচেক গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিও তো গড়ে উঠেছে। ফার্নিচার ব্যবসাতেও ভালো করছে বাংলাদেশিরা। আর গ্রোসারি শপ আছে হাজার হাজার বাংলাদেশির।

তাছাড়া এখানকার শ্রমিকদের অবস্থাও মালয়েশিয়ার আর সব রাজ্যের তুলনায় ভালো। এদের বেতন ভালো, থাকার জায়গা বেশ পরিচ্ছন্ন। নিজেদের মধ্যে মারামারিতে জড়ায় না।

অনেক বছর ধরেই জোহর বাহরুতে আছেন জাকির, ফাহিম, শরীফরা। দুই যুগও পার হয়ে গেছে কারো কারো। বাংলাদেশিদের মতো তাই এই মালয়েশিয়াও এখন তাদের দেশ। তাদের মতে, এই জোহর প্রদেশে অন্তত ৭ লাখ বাংলাদেশির বাস। প্রয়োজন আরও হাজার হাজার কর্মীর।

এখানে কাজ আছে, কর্মী নেই। বাংলাদেশিরা তাই চাইলে জোহর বাহরুতে এসে নিজের কাজ খুঁজে নিতে পারেন বলে মনে করেন তারা। এজন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ আর সহযোগিতা দিতে মোটেও আপত্তি নেই তাদের।

এ বিষয়ে জোহর বাহরুতে স্থায়ী হয়ে যাওয়া এই তিন বাংলাদেশি মনে করেন, বাংলাদেশের মানুষ কর্মী হিসেবে ভালো। নিজেদের কিছু আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে দেশের বাইরে আর কোনো দেশ তাদের সঙ্গে টেক্কা দিতেই পারবে না। তবে এজন্য নিজেদের একতাটাও জরুরি। সবাই এক থাকলে অনেক কিছু পাওয়া যায়। আর বাংলাদেশের মানুষ তো অনেক কিছুই পারে।

কথায় কথায় মাঝরাত পেরোয় ঘড়ির কাঁটা। আড্ডাটার ইতি টানতে হয় তাই। যদিও তখনো ব্যস্ত জোহর বাহরুর রাস্তা। রেস্তোরাঁগুলো খোলা। রাস্তার পাশের পার্কিং স্পেসগুলো খালি হয়নি তখনও।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৬
এসআরএস/এমজেএফ/জেডএম/

আরও পড়ুন
** সীমান্ত শহরের শ্রমিক হাটে
** লাখ টাকায় কোটিপতি হোন আপনিও
** বিনা ভাড়ায় ঘুরুন কুয়ালালামপুরে
** শিকারি কুমিরের সঙ্গে কোলাকুলি
**আকাশের হেলান দিয়ে মসজিদ ভাসে ওই​
** প্রলয় নৃত্যে হতবাক দর্শক
**নরমুণ্ডু শিকারী মুরুত গাঁওয়ে​
** মুসলিম বাজাউরাই বিত্তশালী বোর্নিওতে
**কলসির ভেতর লুনদায়েহ কবর
**লঙহাউজের রুঙ্গুস রাণী​
**বনের ভেতর দুসুন গাঁও
** এক বাজারেই পুরো বোর্নিও
**বোর্নিওতে কী পেতে পারে বাংলাদেশ
** সুলু সাগর তীরের হেরিটেজ ট্রেইলে
** সূর্য ভাল্লুকের সঙ্গে লুকোচুরি
** ওরাংওটাং এর সঙ্গে দোস্তি
** অচেনা শহরের আলোকিত মানুষ
** সাড়ে ৫ হাজার ফুট উঁচু রাস্তা পেরিয়ে
**সাত ঘণ্টাতেই শেষ রাজধানী চক্কর
** সিগনাল হিলে আকাশ ভাঙা বৃষ্টি
** চীন সাগরে মেঘ-সুরুযের যুদ্ধ
** মালয় তরুণীর বিষাদমাখা রাতে
** জিভে জল আনা বাহারি সি-ফুড
** চীন সাগর পেরিয়ে ওরাংওটাংদের দেশে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মালয়েশিয়া এর সর্বশেষ