ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মেট্রোরেলে যাত্রীদের করণীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২২
মেট্রোরেলে যাত্রীদের করণীয়

ঢাকা: দেশের প্রথম সম্পূর্ণ বিদ্যুৎচালিত গণপরিবহন মেট্রোরেল। একেবারেই স্বয়ংক্রিয় ভাবে চলবে এই ট্রেন।

এখানে টিকিট ব্যবস্থাও পুরোপুরি কম্পিউটারাইজড। ঢাকা শহরের চিরচেনা যানজট এড়াতে মেট্রোরেলের বিকল্প বর্তমানে আর কিছু নেই। তবে এ যাত্রায় অংশ নিতে হলে কিছু ধাপ পার হতে হবে।

জানা গেছে, দেশের প্রথম মেট্রোরেলের জন্য উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে কমলাপুর পর্যন্ত থাকছে মোট ১৭টি স্টেশন, প্রথম দফায় ২৮ ডিসেম্বর চালু হচ্ছে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত। এর সবগুলো স্টেশনই তিনতলা।

মেট্রো স্টেশনের একেবারে উপরে অর্থাৎ তৃতীয় তলায় থাকছে প্লাটফর্ম। স্টেশনের তৃতীয়তলায় প্ল্যাটফর্মে পৌঁছানোর আগেই কয়েকটি ধাপ আসবে যাত্রীর সামনে। প্রথমত যাত্রীকে সড়ক থেকে সিঁড়ি বা চলন্ত সিঁড়ি কিংবা এস্কেলেটরে করে যেতে হবে দোতলায়; যেটিকে বলা হয় কনকোর্স এলাকা।

যেভাবে টিকিট কাটতে হবে
কনকোর্সের কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। কনকোর্সের কাউন্টার পর্যন্ত যেতে টিকিট লাগে না। মেট্রোরেলের দুই ধরনের টিকিট আছে। মাত্র একবার ব্যবহার করা যাবে এমন টিকিট অথবা দীর্ঘ মেয়াদী এমআরটি পাস ব্যবহার করা যাবে। এসব টিকিট বিক্রয় প্রতিনিধি এবং স্বয়ংক্রিয় টিকিট বিক্রয় মেশিন থেকে সংগ্রহ করা যাবে। তবে যারা স্বয়ংক্রিয় মেশিন থেকে টিকিট কাটাতে ঝামেলা মনে করে তারা চাইলে বিক্রয় প্রতিনিধির সাহায্য নিতে পারবে।

যে ভাবে প্লাট ফর্মে প্রবেশ করতে হবে
টিকিট কাটার পর ট্রেন ধরতে ঢুকতে হবে পেইড জোনে। সেজন্য অটোমেটেড প্রবেশ পথে নির্ধারিত জায়গায় টিকিট ছোঁয়ালে খুলে যাবে দরজা। এই এলাকা হচ্ছে পেইড জোন। পেইড জোনে নির্দেশিত পথে কিছুটা হেঁটে সিঁড়ি কিংবা এস্কেলেটর ব্যবহার করে যেতে হবে তৃতীয় তলায়, সেখনেই প্ল্যাটফর্ম। তৃতীয় তলায় প্লাটফর্মে ওঠার জন্য বয়স্ক ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা লিফটও ব্যবহার করতে পারবেন।

প্ল্যাটফর্ম আর ট্রেনের মাঝামাঝিতে থাকবে ‘প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর (পিএসডি)’। নিরাপত্তার জন্য পিএসডি’র পাশে না দাঁড়িয়ে থাকতে হবে হলুদ দাগের বাইরে। সেখানেই অপেক্ষা করতে হবে ট্রেনের জন্য। ট্রেন স্টেশনে আসার পর আগে যাত্রী নামতে দিতে হবে, পরবর্তীতে ট্রেনে উঠতে হবে।

ট্রেনে চড়ার পর ট্রেনে আসন ফাঁকা থাকলে সেখানে বসতে পারবেন যে কেউ। তবে আসন গ্রহণের ক্ষেত্রে বয়স্ক ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলছে মেট্রোরেলের পরিচালনা কর্তৃপক্ষ।

ট্রেন কোথায় অবস্থান করছে এবং গন্তব্য আর কতদূর, সব দেখানো হবে ডিসপ্লেতে। ট্রেনে চড়ার পর যাত্রীকে ডিসপ্লে ও রুট ম্যাপে খেয়াল রাখতে হবে। মাইকে কিছুক্ষণ পরপর বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় ঘোষণা করা হবে কোন স্টেশনে এল, সামনে কোন স্টেশন। ফলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা তা শুনে নামার প্রস্তুতি নিতে পারবেন।

গন্তব্যে পৌঁছে প্ল্যাটফর্মে নেমে আগের মতো সিঁড়ি, এস্কেলেটর কিংবা লিফট ধরে যাত্রীকে নেমে আসতে হবে দোতলায় অর্থাৎ কনকোর্স লেভেলে। স্টেশন থেকে বের হওয়ার জন্য দোতলায় আবারও পাওয়া যাবে অটোমেটেড দরজা। যাত্রী যদি এমআরটি পাসধারী হন, নির্ধারিত জায়গায় টিকিট ছোঁয়ালেই খুলে যাবে দরজা। আর একক যাত্রার টিকিটধারীকে নির্ধারিত জায়গায় টিকিটটি ফেলতে হবে। অটোমেটেড দরজা খুলে গেলেই যাত্রী বেরিয়ে যেতে পারবে পেইড জোন থেকে।

গন্তব্য পর্যন্ত পৌঁছানোর পর একক যাত্রার টিকেটের ক্ষেত্রে যদি যাত্রী অতিরিক্ত পথ ভ্রমণ করে ফেলেন, তাহলে সে যাত্রী স্টেশন থেকে বের হতে পারবেন না। এক্ষেত্রে ‘বাড়তি ভাড়া আদায়’ কক্ষে গিয়ে অতিরিক্ত ভ্রমণ করা দূরত্বের ভাড়া পরিশোধ করাতে হবে। এরপরই যাত্রী কেবল বের হওয়ার সুযোগ পাবেন। এরপর দোতলার পেইড জোন থেকে বেরিয়ে সিঁড়ি, এস্কেলেটর কিংবা লিফট ব্যবহার করে যাত্রী নিচের সড়কে চলে আসতে পারবেন। এভাবেই মেট্রো স্টেশন ব্যবহার করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২২
ইএসএস/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।