ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বাঁশের বাঁশিই জীবিকা আরাফাতের

বদরুর আলম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২২
বাঁশের বাঁশিই জীবিকা আরাফাতের আরাফাত

হবিগঞ্জ: প্রাণ কাড়া সুরের বাঁশি আর বাজাইয়োনা, ঘরে রইতে পারি না বন্ধু সইতে পারি না, পাগল করা সুরে বাঁশি বাজাইয়োনা, তুমি যাদু মাখা সুরে বাঁশি বাজাইয়ো না। ‘মায়ের গায়ে বিয়ের শাড়ি’ চলচ্চিত্রের এ গানটি ভেসে আসছিল আরাফাত মালিতার (৪০) বাঁশি থেকে।

ব্যস্ত রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে বাঁশি বাজাচ্ছিলেন আরাফাত। বাঁশের বাঁশির সুর ভাসছিল চারদিকে। কয়েকশ’ মানুষ তা শুনছিলেন তন্ময় হয়ে। তিনি কখনও তুলছিলেন বিচ্ছেদের সুর, কখনও আনন্দের।

গত শনিবার এ দৃশ্যের দেখা মেলে হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বুল্লা বাজার সংলগ্ন হজরত শাহ বায়েজিদ (রহ.) এর বার্ষিক ওসর উপলক্ষে অনুষ্ঠিত মেলায়।

আরাফাত কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার গোপালনগর গ্রামের বাসিন্দা। তার বাঁশিতে যেন জাদু আছে। এ বাঁশি বাজিয়ে আর বিক্রি করে ১৫ বছর ধরে সংসার চালাচ্ছেন তিনি।

কথা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি সারা বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠিত মেলায় বাঁশি বিক্রি করি, ১৫ বছর ধরে এ পেশায় জড়িত। এতে প্রতিমাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় হয়। যা দিয়ে চলে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ ৪ সদস্যের পরিবার। বৈচিত্রময় এ পেশা থেকে মনের খোড়াক মেলে।

আরাফাত জানান, তার কাছে ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৭০০ টাকা দামের পর্যন্ত বাঁশি রয়েছে। কুমিল্লা থেকে বাঁশ সংগ্রহ করে নিজের হাতে বাঁশি তৈরির পর সেগুলোতে রঙ করেন। বাঁশি তৈরির কাজে স্ত্রীর সহযোগিতা পান তিনি।

স্রোতা মো. নূর ইসলাম বলেন, আরাফাতের বাঁশির সুরে মায়া আছে। অনেক জায়গায় এমন বাঁশি বিক্রেতা দেখেছি, কিন্তু আরাফাতের মত মধুর সুরে কাউকে বাঁশি বাজাতে দেখিনি। তিনি যখন বাঁশিতে সুর তুলেন, আশপাশের সবাই এসে তার চারদিকে জড়ো হয়ে থাকেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২২
জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।