নওগাঁ: হিমেল বাতাস আর কুয়াশায় নাকাল জেলার মানুষজন। তীব্র শীতে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা।
রোববার (১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ১ ডিগ্ৰি রেকর্ড করা হয়েছে।
নওগাঁ বদলগাছি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক বিষয়টি জানিয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে বেলা ১১টা পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে পুরো জেলা। পরে সূর্যের দেখা মিললেও তীব্রতা বা প্রখরতা তেমন দেখা যায় না। রাত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফের নামে ঘন কুয়াশা। সেই সঙ্গে থাকে মৃদু বাতাস।
এদিকে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষজন। হিমেল বাতাস আর কুয়াশায় বেশি সমস্যায় পড়েছেন দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। শীত ও হিমেল হাওয়ায় কাজে যেতে পারছেন না তারা। এছাড়া দিনের বেলায়ও যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
সদর উপজেলার শৈলগাছী ইউনিয়নের শফিকুল ইসলাম সকালে বোরো ধানের জমি তৈরি করতে মাঠে নেমেছেন। তিনি বলেন, মনে হচ্ছে বরফ গলা পানিতে নেমেছি। ঠাণ্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসছে।
কৃষি শ্রমিক সহিদুল ইসলাম বলেন, হাড়কাঁপানো শীত। সবাই কষ্টে আছেন। অনেকে খড় জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
সদর উপজেলার বরুনকান্দি এলাকার নির্মাণ শ্রমিক আফছার বলেন, শীতে বাড়ির থেকে বের হওয়াই কঠিন। এ শীতে কাজ করব কেমন করে? শীতের জন্য বেকার বসে আছি।
ইকরতাড়া গ্রামের বাসিন্দা মুকুল বলেন, কয় দিন থাকি খুব শীত পড়বের নাগছে। নদীর পাশে হামার বাড়ি। রাত হইলে নদীর ঠাণ্ডা বাতাস শিনশিন করি নাগে।
নওগাঁর বদলগাছি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, আজ সকাল ৯টায় নওগাঁয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। তবে ঘন কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিলছে। পরে আবহাওয়া আরও নিম্নমুখী হতে পারে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২৩
এসআইএ