নড়াইল: নড়াইলের কালিয়ায় নৌকাডুবির ঘটনায় তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর নবগঙ্গায় ভেসে উঠেছে মাহামুদ হোসেনের (৪৫) মরদেহ।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সকালে ১০টার দিকে উপজেলার বড়দিয়া ফেরিঘাট এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মাহামুদ হোসেন ছোট কালিয়া গ্রামের মৃত খালেক শেখের ছেলে।
উপজেলার বড়দিয়া নৌ-ফাঁড়ি পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ নিয়ে ওই দুর্ঘটনায় নিহত ২ জন ও নিখোঁজ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
এর আগে গত ১ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফা অভিযান চালিয়ে খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থল থেকে বাবুপুর গ্রামের বাসিন্দা ও হামিদপুর ইউপির গ্রাম পুলিশ লাবু শেখ (৩০) ও জোকারচর গ্রামের খানজে শেখের (৪৫) মরদেহ উদ্ধার করে। তৃতীয় দফায় ২ জানুয়ারি বিকেলে রয়েল শেখের (২৮) মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরি দল।
নড়াইল ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. মাহাবুব আলম বাংলানিউজকে বলেন, নদীগর্ভে নিখোঁজ সকলের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে উদ্ধার অভিযানেরও সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাহিরডাঙ্গা গ্রামের এনামুল হকের মেয়ে নাজমা বেগম (২৫) গত শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) দাদির মৃত্যুর খবর শুনে দেড় বছরের শিশু সন্তানসহ আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে স্বামীর বাড়ি বাবুপুর থেকে বাহিরডাঙ্গা গ্রামে রওনা হন। বাবার বাড়িতে যাওয়ার পথে রাত ৮টার দিকে নবগঙ্গা নদীর বাহিরডাঙ্গা-চরবাহিরডাঙ্গা খেয়াঘাটে নৌকাডুবিতে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় নাজমা বেগম ও তার দেড় বছরের শিশু সন্তান নাসিম হোসেনের। এসময় নৌকার মাঝিসহ ১৫ জন যাত্রীর মধ্যে ৯ জন প্রাণে বেঁচে গেলেও মৃত নাজমার ছোট ভাই ও ভগ্নিপতিসহ নদীগর্ভে নিখোঁজ হন ৪ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২২
এনএস