ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বরিশালে তিন দিনব্যাপী পৌষ মেলা শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
বরিশালে তিন দিনব্যাপী পৌষ মেলা শুরু

বরিশাল: বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরে বরিশালে আয়োজন করা হয়েছে তিন দিনব্যাপী পৌষ মেলার। জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ বরিশালের আয়োজনে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জগদীশ সারস্বত গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে এই মেলার উদ্বোধন করেন সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।

তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মের মাঝে এমন আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলার সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে হবে।   সেই সঙ্গে যে কোনো প্রয়োজনে পাশে থাকার কথাও জানান তিনি।

বিগত সময়ের ধারা ধরে রেখে এমন আয়োজন করতে পেরে খুশি জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ বরিশাল শাখার নেতৃবৃন্দ। আর শহুরে পরিবেশের মাঝে এমন একটি মেলার আয়োজনে খুশি নগরবাসী। তারা বলেছেন এমন আযোজন বারবার হোক।

মেলার মাঠের চারপাশে হরেক রকম পিঠার দোকানে ভরা। এসব দোকানে নকশী পিঠা, পাকান, রসালো রোল,পাটিসাপটা, মালপোয়াসহ নানা নামের পিঠার পসরা সাজানো হয়েছে। দেখেই মনে হয় নগরজীবনে গ্রামীণ সভ্যতার স্বাদ পাইয়ে দেওয়ার এ এক ভিন্নধর্মী সংস্কৃতিমনা চেষ্টা।

উদ্বোধনের আগে থেকেই মেলা প্রাঙ্গনে দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। যারমধ্যে শিশু ও কিশোরদের উপস্থিতি ছিল সর্বাধিক।  

মিতা নামে এক নারী তার ১০ বছরের সন্তান মৌরিকে নিয়ে এসেছেন মেলায়। তিনি জানান, শহুরে ও যান্ত্রিক জীবনে সবকিছু কৃত্রিম হয়ে যাচ্ছে। তাই মেলায় এসেছি সন্তানকে বিভিন্ন ধরনের পিঠার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মেলন পরিষদ বরিশালের সভাপতি কাজল ঘোষের সভাপত্বিতে ও সাইফুর রহমান মিরনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক অ্যাডভোকেট এস এম ইকবাল, শিশু সংগঠক পংকজ রায় চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শুভঙ্কর চক্রবর্তী, জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ বরিশাল শাখার সাধারণ সম্পাদক সুখেন্দু শেখর সরকার।

আয়োজকরা জানান, মেলায় ২২টি স্টল দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণকে সাজানো হয়েছে। যেখানে বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আগতরা পিঠার দোকান সাজিয়েছেন। আঞ্চলিক ঐতিহ্যের সঙ্গে সেসব দোকানে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন পিঠা। এছাড়া চটপটি-ফুচকাসহ মুখরোচক খাবারের দোকানও রয়েছে মেলায়।   সেই সঙ্গে মাটির তৈজসপত্র, গহনা, শাড়ি ও শিশুদের খেলনাও পাওয়া যাচ্ছে মেলায়। শিশুদের বিনোদনের জন্য রয়েছে বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে থাকা  নাগরদোলা।

উল্লেখ্য পঞ্চমবারের মতো আয়োজনে শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এ মেলা প্রতিদিন বিকেল ৪ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত সবার জন্য উম্মুক্ত থাকবে আগামী ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত। আর প্রতিদিন সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গণে থাকছে আলোচনা সভা, আবৃত্তি, সংগীত, নৃত্য ও নাটক মিলিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, জানুয়া‌রি ২০, ২০২৩
এমএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।