ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চোরাই-ভেজাল স্বর্ণ কেনা-বেচা করলে ব্যবস্থা নেবে বাজুস

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৩
চোরাই-ভেজাল স্বর্ণ কেনা-বেচা করলে ব্যবস্থা নেবে বাজুস

বাগেরহাট: এক ভরি স্বর্ণ ও রূপা নিয়ে যারা ব্যবসা করেন, তারাও বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সদস্য হবেন। সব সদস্য একই মর্যাদা পাবেন সংগঠনের কাছে।

হয়রানিমুক্ত স্বর্ণ ব্যবসা পরিচালনার জন্য কাজ করছে বাজুস। তবে ব্যবসা করতে হবে সততার সঙ্গে।  

২১ ক্যারেট বললে ২১ ক্যারেটই দিতে হবে। সৎ স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের পাশে সব সময় থাকবে বাজুস। কোনো স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অহেতুক হয়রানি করলে, এবং জেনে-বুঝে চোরাই ও ভেজাল স্বর্ণ কেনা-বেচা করলে তাদের বিরুদ্ধে বাজুস সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।  

শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাগেরহাট জেলা শাখা আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

শহরের কামারপট্টী এলাকায় অবস্থিত বাজুস বাগেরহাট জেলা শাখা চত্বরে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন- বাজুসের সহ-সভাপতি ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন। বাজুস বাগেরহাট জেলা শাখার প্রেসিডেন্ট শ্যামল কুমার সরকারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- বাজুসের ল অ্যান্ড মেম্বারশিপ বিষয়ক স্টান্ডিং কমিটির সদস্য সচিব মো. রিপনুল হাসান, ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য পবিত্র চন্দ্র ঘোষ, বাজুস খুলনা বিভাগীয় সভাপতি রকিবুল ইসলাম চৌধুরী, বাজুস বাগেরহাটের উপদেষ্টা সঞ্জয় কুমার বখসী, সাধারণ সম্পাদক নিলয় কুমার ভদ্র প্রমুখ।

দুপুর ১২টায় কোরআন তিলওয়াতের মধ্য দিয়ে বাজুসের মতবিনিময় সভা শুরু হয়। পরে বাজুস কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি প্রায়ত আনিসুর রহমান দুলালের রুহের মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাজুসের সহ-সভাপতি ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন বলেন, বাজুস এখন আর আগের জায়গায় নেই। এই সংগঠন এখন অনেক শক্তিশালী। বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর বাজুসের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে সংগঠনে আমূল পরিবর্তন এসেছে। সংগঠনের কার্যক্রম বৃদ্ধির জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সদস্যদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে আমাদের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর খুবই আন্তরিক।  

এছাড়া বাংলাদেশে স্বর্ণ ব্যবসার প্রসারের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে স্বর্ণ রিফাইনিং ফ্যাক্টরি করা হচ্ছে। যা খুব শিগগিরই চালু হবে। এই ফ্যাক্টরি চালু হলে মেড ইন বাংলাদেশ লেখা স্বর্ণের বার বাজারজাত করা হবে। শুধু দেশে নয়, বিদেশেও যাবে বাংলাদেশের স্বর্ণ। স্বর্ণখাত থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। এজন্য সবাইকে বাজুসের সদস্য হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে ব্যবসা করার আহ্বান জানান স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের এই নেতা।

মতবিনিময় সভায়, বাগেরহাট জেলা সদর ও বিভিন্ন উপজেলার স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় বাজুসের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের কাছে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন তারা। বাজুস নেতারাও সদস্যদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।