পাথরঘাটা(বরগুনা): বরগুনার পাথরঘাটায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষরা ১০টি বসত ঘরে আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ঘর মালিকরা আগুন দিতে বাধা দিলে প্রতিপক্ষরা অন্তত ৩০ জনকে পিটিয়ে আহত করে।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের পশ্চিম হাড়িটানা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন- আবুল বাসার, হালিমা, আকলিমা, মাসুমা, আসমা, মমতাজ, মদিনা, সোহরাব, খলিল, ইসমাইল, ইব্রাহিম, সেকান্দার, কুদ্দুস, হারুন মাঝি, কালা, কাওসার।
আহত আবুল বাসার জানান, ২১ বছর ধরে তাদের এবং হারুন মাঝি গংদের সঙ্গে আদালতে মামলা চলছিল। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে মামলার রায় হয় আবুল বাসারের পক্ষে। উকিল কমিশন রায়ের পক্ষে জমি বুঝিয়ে দিলে ওই জমিতে তারা ঘর তোলেন। সেই
থেকে ১০টি পরিবার সেখানে দুই মাস ধরে বসবাস করছে।
তিনি জানান, সকালে হারুন মাঝি পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দেড় শতাধিক লোক এনে ওই ঘরগুলোতে আগুন লাগিয়ে দেন। এতে ঘরগুলো সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এ সময় ঘরগুলোতে বসবাসকারীরা বাধা দিলে ৩০ জনকে দেশীয় অস্ত্র পিটিয়ে আহত করা হয়। ঘটনার প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রতিপক্ষ হারুন মাঝি বলেন, বরগুনা জজকোর্ট থেকে তাদের পক্ষে রায় হয়েছে। কিন্তু আমরা হাইকোর্টে আপিল করার আগেই তারা ওই জমিতে জোরপূর্বক দখল নিয়ে ঘর তুলেছে। তাই সেই ঘরগুলো আমরা ভেঙে দিয়েছি।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, প্রত্যেকের শরীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহআলম হাওলাদার বলেন, বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। তারা মামলা করলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৩
আরএ