ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বিবার্তা-জাগরণ টিভির অফিসে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩
বিবার্তা-জাগরণ টিভির অফিসে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিবার্তা২৪ডটনেট ও জাগরণ আইপি টিভির কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও চুরির ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠান দুটির সুহৃদ ও স্বজনেরা।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিবার্তা ও জাগরণ টিভির সুহৃদ ও স্বজনদের উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তারা এ দাবি জানান।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলার চেয়ে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো হামলার অভিযোগ থানায় না নেওয়া। সন্দেহভাজনদের কথা উল্লেখ করে মামলা করতে গেলেও তিনদিনে মামলা গ্রহণ করা হয়নি। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি অবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।

জাগরণ টিভির প্রধান সম্পাদক এফ এম শাহীন বলেন, জামায়াতের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি নেতা পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলামের নির্দেশে বিবার্তা-জাগরণ অফিসে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলা দেশের জন্য অশনি সংকেত।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম বলেন, আজকে বিবার্তা ও জাগরণ আইপি টিভির কার্যালয়ে হামলা হয়েছে। কালকে যে আরেকটি গণমাধ্যমের উপর হামলা হবে না, তার কি নিশ্চয়তা? এ দায়ভার কে নেবে? আর আজকে পুলিশ প্রশাসনও পরিকল্পিতভাবে একটি পক্ষ নিচ্ছে! ভাবা যায়? আমরা কোথায় আছি? অবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হব।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য শাহনাজ পলি বলেন, এ রকম একটি জঘন্য ঘটনার প্রেক্ষিতে আমাদের বিচারের দাবিতে দাঁড়াতে হবে, সেটাও কখনো কল্পনা করতে পারিনি। অথচ বলা হয়, গণমাধ্যম নাকি সমাজের আয়না। কিন্তু সেই আয়নাকে কীভাবে তছনছ করা হচ্ছে, সেটা কে দেখবে? শুধু তাই নয়, এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হয় না! পুলিশের কাজ কি? আমি এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় বিবার্তা ও জাগরণ টিভির অফিসে হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার না করা হলে প্রয়োজনে থানা ঘেরাও হুঁশিয়ারি দেন সাংবাদিক নেতারা।

এ সময় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, বাংলা একাডেমীর পরিচালক ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু, সিনিয়র সাংবাদিক শাহনেওয়াজ দুলাল, সাংবাদিক নেতা শেখ মুহাম্মদ জামাল হোসাইন (শেখ জামিল), রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মোমিন মেহেদী, জয় বাংলা সাংবাদিক মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর খান বাবু, লায়ন মোহাম্মদ কেফায়েত উল্লাহ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি আবির রায়হান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩
এসসি/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।