ঢাকা, বুধবার, ১৪ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন, সিলেট রেলস্টেশনে যাত্রীদের ভোগান্তি 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২৩
অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন, সিলেট রেলস্টেশনে যাত্রীদের ভোগান্তি 

সিলেট: ট্রেনের টিকিট ক্রয়-বিক্রয়ে কালোবাজারীদের দৌরাত্ম ঠেকাতে অনলাইনে চালু হয়েছে নতুন নিয়ম। তবে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের টিকিট কিনতে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।

অনেকে রেজিস্ট্রেশন করতে জানেন না। আর যারা রেজিস্ট্রেশন করতে জানেন, তারাও সার্ভারে জটিলতায় টিকিট পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আর নতুন এই সিস্টেমের সঙ্গে পরিচিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক যাত্রী।

ট্রেনের টিকিট কিনতে আসা ষাটোর্ধ্ব জুনেদ আহমদ বলেন, ‘কাউন্টার থেকে কইল (বললো) ভোটার আইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে আসতে। আরেকজনের সহযোগিতায় তিন বার রেজিস্ট্রেশন করলেও উল্টাপাল্টা ম্যাসেজ দেয়। এক ঘণ্টা ধরে স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছি। এই বৃদ্ধ বয়সে সিস্টেম বুঝি না।  

তাঁর মতো টিকিট কাটতে গিয়ে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে নির্বাক দাঁড়িয়ে ছিলেন ষাটোর্ধ্ব আরেক যাত্রী রমজান আলী। হাতে বাটন মোবাইল ফোন। সঙ্গে নেই আইডি কার্ড। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমার মতো বুড়োরা টিকিটের জন্য এসে ফিরে যাচ্ছেন। আমরা পড়ালেখা জানি না।  

রাসেল আহমদ নামের এক যাত্রী বলেন, সরকার হয়তো এই সিস্টেমটা উন্নত দেশের মতো করেছে। কিন্তু প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমাদের দেশের মানুষ অভ্যস্ত না। অনেকে পড়ালেখাও জানেন না, তারা কী করবেন? তাদের সহযোগিতা করার জন্যও কেউ নেই রেলস্টেশনে। নতুন এই সিস্টেমের সঙ্গে পরিচিত হতে হলে এবার যাত্রীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে! হয়তো এক সময় মানুষ দেখতে দেখতে শিখে যাবে।

বুধবার (০১ মার্চ) বিকেলে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে সরেজমিন দেখা যায়, বিগত দিনের মতো টিকিট কিনতে কাউন্টারের সামনে নেই যাত্রীদের দীর্ঘ সারি। স্টেশনে পাশে সাটানো ফেস্টুনের নতুন নিয়মের দিকে চোখ সবার। মোবাইল হাতে অ্যাপ ডাউনলোড করে টিকিট কাটার চেষ্টায় ব্যস্ত সবাই। কিন্তু সার্ভারে প্রবেশ করতে পারছিলেন না।  

সাধারণ যাত্রীরা স্টেশন ব্যবস্থাপক ও মাস্টারের খোঁজে গেলেও তাদের কক্ষে ঝুলছিল তালা। আর টিকিট কাউন্টারে বসা কর্তব্যরতরা নতুন নিয়মের সাইনবোর্ড দেখিয়ে যাত্রীদের সরিয়ে দিচ্ছেন।  

এ বিষয়ে জানতে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ব্যবস্থাপক নুরুল ইসলামকে কল দিলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আর স্টেশন মাস্টার এ.এন.এম রাসেলের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২৩
এনইউ/এসআইএস 
  
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।