ঢাকা: রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে ভবন বিস্ফোরণের পর আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের। এ সময় তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ একটা অস্বাভাবিক দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
বুধবার (৮ মার্চ) ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, গত বছরের ৪ জুন চট্টগ্রামের বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণে ৫০ জন নিহত হয়েছিলেন৷ গুরুতর আহত হয়েছিলেন প্রায় ৬০ জন। এদিকে গত ৪, ৫ এবং ৭ তারিখে একাধিক অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এরইমধ্যে খবর পেলাম সিদ্দিক বাজারের এ ভবনের বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
আমরা সব সময় বলেছি এ ধরণের ঘটনা ঘটার পর তদন্তপূর্বক রহস্য উদঘাটন করতে হবে। যাতে পরবর্তীতে এ ধরণের ঘটনা না ঘটে। কিন্তু, চট্টগ্রামের ঘটনার পর কি তদন্ত হলো? আমরা সেটি জানতে পারলাম না। সরকার কি পদক্ষেপ নিলো, সেটাও জানলাম না। শেষ পর্যন্ত এটা ধামাচাপ পড়ে যাবে। কেননা ওই ঘটনার সঙ্গে সরকারি দলের মানুষ জড়িত ছিল। আমরা দাবি করছি যে ঘটনাগুলো ঘটছে, সেগুলো তদন্ত করে সঠিক রহস্য উদঘাটন করে দেশবাসীকে জানান কি হচ্ছে। কার ব্যর্থতা আছে, সেটাও জনগণের জানা দরকার।
বিরোধী দলীয় এ উপনেতা বলেন, কোনো ধরণের কেমিক্যাল রাখার জন্য লাইসেন্স দরকার। এ লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত দেওয়া হয়, সেগুলো পরিপূর্ণ করেই লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে কিনা সেটিও দেখা দরকার।
দুর্নীতি ও দলীয়করণের কারণে এ ধরণের ঘটনার পর বরাবরই পাশ কাটিয়ে যাওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, তাদের দলের লোক এবং দুর্নীতি এ দুইয়ের কারণে কোনো কিছুই হচ্ছে না। আজ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই, ইজ্জতের নিরাপত্তা নেই, সম্পত্তিরও নিরাপত্তা নেই। আমরা এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় প্রথম ব্যর্থতা সরকারের। সরকার কেনো এটা দেখতে পারল না। এরপর এ ধরণের ঘটনা কেনো ঘটল জানা দরকার। আমরা জানতে চাই- এ ধরণের ঘটনা কিভাবে হচ্ছে, কেনো হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনা ঘটবে না! সে নিরাপত্তাও দাবি করছি সরকারে কাছে। কোথাও কোনো শৃঙ্খলা নেই, সব জায়গাতেই অব্যবস্থাপনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২৩
এমকে/জেডএ