ঢাকা: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রশিক্ষণ বিভাগের প্রধানের পদ থেকে ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদকে অপসারণ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে নতুন দায়িত্বের অংশ হিসেবে তিনি বোয়িং-৭৭৭ এর লাইন পাইলট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) এ সংক্রান্ত নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিমান কর্তৃপক্ষ।
ক্যাপ্টেন সাজিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, স্ত্রী সাদিয়া আহমেদসহ অন্যদের অনৈতিক সুবিধা দেওয়াসহ কয়েকটি অভিযোগে বিমান কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, পাইলট নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট অপারেশন্স পরিচালক ক্যাপ্টেন সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে গত সোমবার তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। অপর দুই সদস্য ফ্লাইট সেফটি বিভাগের প্রধান ক্যাপ্টেন ইনাম তালুকদার ও ডেপুটি চিফ অব ট্রেনিং তাপস আহমেদ। কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। সে ধারবাহিকতায় ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত এলো।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তড়িঘড়ি করে ১৪ জনকে বৈমানিক হিসেবে নিয়োগ দেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। গত এক বছরে এসব বৈমানিকদের প্রশিক্ষণ ও বেতন মিলিয়ে বিমানের খরচ হয় কয়েক কোটি টাকা। একাধিক বৈমানিকের জাল সনদ জমা, লাইসেন্সিং পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। যাতে ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদের সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ ওঠে।
সে সময় নিয়োগপ্রাপ্ত পাইলটদের মধ্যে সাদিয়া ইসলাম বিমানের চিফ অব ট্রেনিং ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদের স্ত্রী। অভিযোগ আছে সাজিদের চেষ্টা-তদবিরেই নিয়োগ পান তার স্ত্রী। সাম্প্রতিক এক তদন্তে জানা যায়, সাদিয়া ইসলাম নিয়োগের সময় জাল শিক্ষা সনদ জমা দিয়েছেন। ওই জাল সনদ অনুযায়ী তিনি এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন বিজ্ঞান শাখা থেকে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজ থেকে মানবিক শাখা থেকে দ্বিতীয় বিভাগে পাস করেছেন।
জাল সনদ প্রসঙ্গে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম সাংবাদিকদের বলেন, কেউ যদি তথ্য গোপন করে ও সেটি যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনিয়ম করে পার পেয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৩
এমকে/আরবি