ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ কার্তিক ১৪৩১, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কুয়াকাটার তরমুজে সয়লাব খুলনার বাজার 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৩
কুয়াকাটার তরমুজে সয়লাব খুলনার বাজার 

খুলনা: মৌসুমী নানা ফলে ভরে উঠেছে খুলনার ফলের বাজার। গরমের মধ্যে স্বস্তি ও পুষ্টি পেতে তরমুজ, সফেদা, পেঁপে, আনারস, পেয়ারাসহ নানা রসালো ফল ঘরে নিচ্ছেন মানুষ।

তবে যে কোনো বছরের চেয়ে এবার ফলের দাম বেশি চড়া বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

পটুয়াখালীর কুয়াকাটার বিভিন্ন এলাকার আগাম তরমুজে সয়লাব হয়ে গেছে খুলনার বাজার। দাম নিয়ে অসন্তুষ্টি থাকলেও বাজারের বিভিন্ন প্রান্তে বিশেষ করে সবজি বাজারের পাশে ফুটপাতে বসা ফলের খুচরা দোকানগুলোতেও সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে রসালো ফল তরমুজ।

খুলনার কদমতলা আড়তে তরমুজ এখন যে দাম বিক্রি হচ্ছে, বিভিন্ন খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে তার প্রায় দ্বিগুণ দামে। শুধু তাই না আড়তে পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি হলেও খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন কেজি হিসেবে। এতে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা মোটা অঙ্কের মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছেন, অন্যদিকে ঠকছেন সাধারণ ক্রেতারা।

নগরীর ময়লাপোতা এলাকার ফল ব্যবসায়ী হারুন জানান, তরমুজ ৫০ টাকা কেজি, পাকা পেঁপে ৭০ টাকা কেজি, ছফেদা ১২০ টাকা কেজি, আনারস জোড়া ১২০ টাকা ও পেয়ারা ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।

বাজারে ভালো মানের সব তরমুজই কুয়াকাটা এলাকার। খুলনার তরমুজ এখনও বাজারে ওঠেনি বলে জানান তিনি।

শহীদুল নামের একই এলাকার ফল ব্যবসায়ী বলেন, খুলনার বাজারে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যাচ্ছে কুয়াকাটার তরমুজ। অন্য এলাকা থেকেও তরমুজ আসছে। তবে সেগুলোর চেয়ে গুণে, মানে ও স্বাদে কুয়াকাটার তরমুজ অনন্য। যার কারণে কুয়াকাটার তরমুজে সয়লাব হয়ে গেছে বাজার। ক্রেতাদের কাছে চাহিদাও বেশি।

মামুন আলী নামের এক ক্রেতা বলেন, এক তরমুজের কেজি সর্বোচ্চ ৩০-৩৫ টাকা হওয়া উচিত। কিন্তু ৫০ টাকা করে কেজি বিক্রি করছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা আড়ত থেকে পিস মূল্যে কিনলেও বিক্রি করছে কেজি দরে। দেখার কেউ নেই বলে ক্ষোভ ঝারেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা,  মার্চ ১০ , ২০২৩
এমআরএম/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।