ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ কার্তিক ১৪৩১, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জমি দখল নিতে বিএনপি নেতার হামলা, পুলিশসহ আহত ৫

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৯ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৩
জমি দখল নিতে বিএনপি নেতার হামলা, পুলিশসহ আহত ৫

কক্সবাজার: পেকুয়া উপজেলায় জমি দখল নিতে বাবা-ছেলেকে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য (ইউপি) মোহাম্মদ মানিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশসহ মোট ৫ জন।

শুক্রবার (১০ মার্চ) ভোরে পেকুয়া বাজারের পূর্ব পাশে এ ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। তাদের ওয়াকিটকি ভাংচুর করা হয়েছে।

তবে, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপি সদস্য মোহাম্মদ মানিক। তার দাবি, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের পূর্ব বাইম্ম্যাখালীর রিদুয়ানুল হক ও তার ছেলে শরিফুল ইসলাম মনিরের কাছ থেকে তারা নিজেদের জমিই দখল করেছেন। কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। তারা পুলিশের গাড়িতে মাথা ঠেকিয়ে আহত হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ তাদের বিষয়।

মানিক হামলার অভিযোগ অস্বীকার করলেও রিদুয়ানুল হক ও শরিফুল ইসলাম মনিরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে কথা হলে রিদুয়ানুল হক জানান, শুক্রবার ভোরে বিএনপি নেতা ও ইউপি সদস্য মানিক, মেহের আলী, শের আলী, ওমর আলী, মনছুর আলীর নেতৃত্বে ৮০ থেকে ১০০ জন অস্ত্রধারী মিনিট্রাকের মাধ্যমে তার জমিতে আসে। এ সময় তারা জমি ঘেরা বেড়া ভাংচুর শুরু করে। সেখানে থাকা জমির কেয়ারটেকার আমির হোসেনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মিও করে সন্ত্রাসীরা।

পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সহায়তা চান রিদুয়ানুল। ঘটনা শুনে পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ ফরিদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় রিদুয়ানুল ও তার ছেলে মনিরও উপস্থিত হন।

পুলিশ জবরদখলকারীদের বে-আইনি কর্মকাণ্ডে নিষেধ করলে তারা রিদুয়ানুল ও মনিরের ওপর হামলা করে। বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে আহত করা হয়। এ সময় তাদের রক্ষা করতে গিয়ে আহত হন পুলিশের তিন সদস্য। এ সময় তাদের ওয়াকিটকি ভাংচুর করা হয়। পরে রিদুয়ানুল ও মনিরকে পুলিশ উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এসআই শেখ ফরিদ জানান, ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে ফোর্স নিয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। মানিকের লোকজনকে শান্ত থাকতে বলেন তিনি। কিন্তু কথা না শুনে তারা হামলা চালায়। তাকেও আঘাত করা হয়।

ফরিদ বলেন, আমার সামনেই শরিফুলকে কোপ দেয়। এতে আমার ইউনিফর্ম রক্তাক্ত হয়ে যায়। আমার হাতের জয়েন্টে আঘাত লাগে। তারা ওয়াকিটকি ভেঙে ফেলে। এসব বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কতৃৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পেকুয়া সদরের ইউপি সদস্য ও উপজেলা বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মানিক বলেন, তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর হায়দার বলেন, জমি সংক্রান্ত ঘটনায় হামলার বিষয়টি আমি শুনেছি। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশকে আহত করা ও ওয়াকিটকি ভাঙার ঘটনায় ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলাপ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৩
এসবি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।