ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ কার্তিক ১৪৩১, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নদী বাঁচলে দেশ বাঁচবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৬ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৩
নদী বাঁচলে দেশ বাঁচবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী

খুলনা: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নদী হলো আমাদের প্রাণ। নদীকে ঘিরেই আমাদের সভ্যতা গড়ে উঠেছে।

প্রকৃতিকে বাঁচাতে হলে নদী ভরাট বন্ধ ও দূষণমুক্ত রাখতে হবে। এজন্য আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। নদী বাঁচলে দেশ বাঁচবে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। নদীর প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে।

শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকেলে খুলনার রূপসা সেতুর নিচে টোলঘাটে শিশু সংগঠন ইকরিমিকরি কর্তৃক আয়োজিত ফটো সাংবাদিক কাকলী প্রধানের তিন দিনব্যাপী একশত নদী উন্মুক্ত আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার কোনো নদী অবৈধ দখলদারদের হাতে থাকবে না। নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে সারাদেশে ৮০টি ড্রেজারের মাধ্যমে ড্রেজিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। ডেল্টাপ্ল্যান প্রকল্পের মাধ্যমে খাল, বিল, হাওড় ও বাওড়ের খননকাজ করা হচ্ছে। নদী রক্ষার জন্য বর্তমান সরকারের নিদের্শনা মোতাবেক ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের লক্ষ্যে এ পর্যন্ত সাড়ে সাত হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের মাধ্যমে নদীর প্রবাহ নিশ্চিত করা হয়েছে।  

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। নদী রক্ষার জন্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিশন ১৭৮টি নদী নিয়ে কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে শুষ্ক মৌসুমে পানি ঘাটতির অন্যতম কারণ হলো নদীর নাব্যতা হারানো। নদীর প্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। নদী মানুষের প্রাণ। ময়ূর নদের সঙ্গে রূপসা নদীর সংযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে ২২টি খাল উদ্ধার করে জলাবদ্ধতা নিরসনে খননের কাজ চলমান রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দৈনিক কালের কণ্ঠ খুলনার ব্যুরো চীফ গৌরাঙ্গ নন্দী ও ফটো সাংবাদিক কাকলী প্রধান বক্তব্য দেন।

সকালে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খুলনার বয়রাস্থ বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জমি, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের রুজভেল্ট জেটি ও বিআইডব্লিউটিএ’র জেটি পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফিংকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা নদীর প্রাণ কেড়ে নিতে চায় তারা দেশের শত্রু। এ শত্রুদের চিহিৃত করে নদীকে প্রবাহমান করতে হবে। নদীর দুই পাশ দখলমুক্ত করতে আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মোংলা থেকে খুলনা পর্যন্ত ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণ করা হবে।

এ সময় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, খুলনা বন্দর ও পরিবহন বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুদ পারভেজসহ বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৩
এমআরএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।