ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ কার্তিক ১৪৩১, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পত্রিকার এজেন্টপূত্রকে মারধর, এমপি মমিনের সমর্থকের নামে ওয়ারেন্ট

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫১ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৩
পত্রিকার এজেন্টপূত্রকে মারধর, এমপি মমিনের সমর্থকের নামে ওয়ারেন্ট

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে আলোচিত পত্রিকার এজেন্টপূত্রকে মারধরের মামলার প্রধান আসামি এমপি মমিন মণ্ডলের দুই সমর্থকের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেছেন আদালত।  

রোববার (১২ মার্চ) বিকেলে বিচারক বেলকুচি আমলী আদালতের বিচারক হাকি শাহরিয়ার হোসনে বাপ্পী এ আদেশ দেন।

 

আসামিরা হলেন- এমপি আব্দুল মমিন মণ্ডলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের জিএম ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম ও কাউন্সিলর পূত্র শাহাদত হোসেন মুন্না।  

মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাছিম সরকার হাকিম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রোববার মামলায় আসামিদের হাজির হওয়ার তারিখ ছিল। প্রধান আসামিসহ দুজন হাজির না হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেছেন।  

প্রসঙ্গত, গত বছর ১০ জুন বেলকুচির চালা এলাকায় একটি কনফেকশনারিতে বসে থাকা অবস্থায় সন্ত্রাসীদের হামলার স্বীকার হন পত্রিকার এজেন্ট দৌলত মণ্ডলের  ছেলে নাবিন মণ্ডল। এ ঘটনায় স্থানীয় এমপি মমিন মণ্ডলের সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা নিতে গরিমসি করেন বেলকুচি থানার ওসি। সাংবাদিকদের অনুরোধে মামলাটি নিলেও পরে মূল আসামিদের নাম বাদ দিয়ে প্রতিবেদন জমা দেন ওসি গোলাম মোস্তফা। বাদী নারাজি দিলে মামলাটি ডিবিতে পাঠিয়ে দেন আদালত। এক সপ্তাহ পরে ডিবি মামলাটি ফেরত দিলে আদালত গত বছরের ৮ আগস্ট পিবিআইকে তদন্তের দ্বায়িত্ব দেন। পিবিআই তদন্ত শেষে গত ২০ জানুয়ারি এমপি মমিন মণ্ডলের ১৩ সমর্থকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। রোববার হাজিরার দিনে দুজন উপস্থিত না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্টের আদেশ দেন আদালত।  

মামলার বাদী নাবিন মণ্ডল বলেন, ফেসবুকে শেয়ার দেওয়াকে কেন্দ্র করে মণ্ডল গ্রুপের জিএম ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলামসহ এমপি মোমিন মণ্ডলের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলা ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আমি গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে প্রথমে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। কিন্তু এমপির নিষেধের কারণে চিকিৎসকরা আমাকে চিকিৎসা দিতে অপারগতা জানান। পরে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করান। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে ওসি সাহেব মামলা নেননি। কয়েকদিন পর সাংবাদিকদের অনুরোধে তিনি মামলা নিলেও মূল আসামিদের নাম প্রতিবেদন থেকে বাদ দেন। আমি নারাজি দিলে আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের দ্বায়িত্ব দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।