মাদারীপুর: মাদারীপুর জেলার শিবচরে এক নিকাহ রেজিস্ট্রার গৃহবধুর নামে জাল তালাক তৈরি করে সংসার নষ্ট করার অভিযোগে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (১৩ মার্চ) মাদারীপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক অভিজিৎ চৌধুরি শিবচরের বন্দরখোলা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার মো. মনিরুজ্জামানের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠায়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, শিবচরের দ্বিতীয়খণ্ড ইউনিয়নের মাদবরকান্দি গ্রামের সাইফুল মাদবরের মেয়ে আসমা আক্তারের সঙ্গে ৭ বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তী মালেরকান্দি গ্রামের শাহীন মাদবরের বিয়ে হয়। স্বামী জীবিকার প্রয়োজনে সৌদি আরবে অবস্থান করছে। এদিকে, শাশুড়ী আয়শা বেগমের সঙ্গে গৃহবধূ আসমা আক্তারের পারিবারিক বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরপর শ্বাশুড়ী বন্দরখোলা কাজী অফিসে গিয়ে ২০২১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বিবাহ রেজিস্ট্রার মো. মনিরুজ্জামানের সঙ্গে যোগসাজসে একটি জাল তালাক তৈরি করে পুত্রবধু আসমা আক্তারকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
এরপর জাল তালাকের বিষয়টি জানতে পেরে আসমা বাদী হয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জালিয়াতির অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করে। যার সিআর মামলা নং-৪১৫/২০২১।
মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে পিবিআই গোপালগঞ্জ প্রতিবেদন দাখিলের পর আদালত আসমার শাশুড়ী আয়শা বেগমসহ বিবাহ রেজিস্ট্রাররের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দেন।
সোমবার মাদারীপুর জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি ওবাইদুর রহমান খান আসামি মো. মনিরুজ্জামানকে স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির করে জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত নিকাহ রেজিষ্টার মনিরুজ্জামানকে জেল হাজতে পাঠায়।
এ বিষয়ে মামলার সহকারী আইনজীবি আবুল হাসান বলেন, বিজ্ঞ আদালত শুনানি শেষে জাল তালাক নামা সৃষ্টির অভিযোগে নিকাহ রেজিষ্টারকে জামিনের পরিবর্তে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৩
এসএম