ঢাকা: দীর্ঘ নয় বছর পর আগামী ১৩ মে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচন।
বুধবার (১৪ মার্চ) মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. মাহবুব হোসেন এই তফসিল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ ১৯ মার্চ; খসড়া ভোটার তালিকার ওপর দাবি, আপত্তি ও সংশোধনী গ্রহণের শেষ তারিখ ২২ মার্চ; দাবি-আপত্তি ও সংশোধনী নিষ্পত্তি ২৮ মার্চ; চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ২ এপ্রিল; মনোনয়নপত্র দাখিল ৫ এপ্রিল; মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ এপ্রিল; সত্যতা বাতিলের আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের তারিখ ১১ এপ্রিল; আপিল নিষ্পত্তি ১৩ এপ্রিল; মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সব শেষ তারিখ ১৬ এপ্রিল; চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ১৭ এপ্রিল; প্রতীক বরাদ্দ ১৮ এপ্রিল; সব শেষ ১৩ মে সকাল ৯টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
তফসিল ঘোষণার সময় মো. মাহবুব হোসেন বলেন, মোট চার ক্যাটাগরিতে সারা দেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো হলো—মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল, জেলা/মহানগর ও উপজেলা কমান্ডের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, প্রতিটি ইউনিটে পৃথক রিটার্নিং অফিসার থাকবে। সারা দেশে এক সঙ্গে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে। এখন পর্যন্ত সারা দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা ৯২ হাজার ১২২। চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় এর সামান্য কম বেশি হবে। স্থানীয় পর্যায়ে কেন্দ্র ভোটার তালিকা অনুযায়ী ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনার এ এফ এম ইয়াহিয়া চৌধুরী, উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত, আনসার আলী খান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৩
টিএ/এমজেএফ