ঢাকা: চোখে আঘাত পাওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) তিন শিক্ষার্থীর দৃষ্টিশক্তি ফেরার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
বুধবার (১৫ মার্চ) জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে এ কথা জানা যায়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়ে ৯০ জন শিক্ষার্থী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। চোখে গুরুতর আঘাত পাওয়া তিন শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল পাঠানো হয়।
চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে পাঠানো শিক্ষার্থীরা হলেন ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী মেসবাউল ইসলাম সায়েম, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আল আমিন এবং মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আলিমুল সাকিব।
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এখানে ভর্তি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর চোখের অবস্থা খুবই গুরুতর, তাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি ফেরার সম্ভাবনা একেবারেই কম।
তিন শিক্ষার্থীর চোখের বর্তমান অবস্থা প্রসঙ্গে বাংলানিউজকে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. মো. আখতারুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, তিন জনেরই চোখের অবস্থা খারাপ। চোখ ভালো হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তিনজনের চোখেই ছিদ্র হয়ে গেছে। ভীষণ একদম নাই বললেই চলে। ডাক্তারি ভাষায় এটাকে আমরা বলি পারসেফশন অব লাইট (পিএল)।
আলামিনের চোখের পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, আলামিনের ডান চোখের একদম সামনে টর্চের আলো ফেললে সে কিছুটা আন্দাজ করতে পারে। আমাদের এখানে আসার পর আমরা দেখি, তার চোখে রক্ত জমে আছে। ফলে চোখের পেছনের অংশ দেখতে পাচ্ছি না। যা মেডিকেশন প্রয়োজন, সেটা আমরা দিয়েছি। দুই তিন পর তার চোখ যখন কিছুটা ঠাণ্ডা হবে, তখন আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবো। এক্সরে করা হয়েছে এখন নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না, তবে অনুমান করছি ছড়রা গুলির আঘাতে এমন হয়েছে। এক্সরে রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত বলতে পারবো। আলামিনের দেখার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
মেছবার চোখের পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, তার অবস্থাও প্রায় একই। তবে মেছবা আধা ফুট দূর থেকে আলো দেখতে পারে। তারও চোখের মধ্যে রক্তপাত আছে। খারাপ দিক হচ্ছে তার চোখের রেটিনা ছিড়ে গেছে, মিরাকল কিছু না ঘটলে দেখার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
আলিমুল সাকিব প্রসঙ্গে তিনি জানান, তার চোখের অবস্থাও খারাপ, আলো বুঝতে পারে না। ভেতরে রক্তপাত রয়েছে।
তিনি আরও জানান, তাদের চোখে এখন ঝড় চলছে। তাদের প্রত্যেকের চোখে রক্তপাত রয়েছে। ঝড় থামলে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৩
আরকেআর/এসএ