ঢাকা: মানি লন্ডারিং মামলায় যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বাড়ি ক্রোকের জন্য শিগগিরই পারস্পরিক আইনগত সহায়তা অনুরোধ (মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট-এমএলএআর) পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মাহবুব হোসেন।
বুধবার (১৫ মার্চ) দুদক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
দুদক সচিব জানান, এস কে সিনহা তার ছোট ভাই অনন্ত কুমার সিনহার নামে আমেরিকার প্যাটারসন এলাকায় ২০১৮ সালের ১২ জুন দুই লাখ ৮০ হাজার ডলারে তিনতলা বিশিষ্ট একটি বাড়ি কেনেন। বাড়ি কেনার অর্থ ইন্দোনেশিয়া ও কানাডার রয় এ গ্রুপের কাছ থেকে প্রাপ্ত, যা প্রকৃতপক্ষে একটি অস্তিত্বহীন কোম্পানি।
তিনি জানান, অনন্ত কুমার সিনহা এক লাখ ৫৭ হাজার ৯০ ডলারের চেকে ক্যাশ সংগ্রহের জন্য তার বড় ভাই এস কে সিনহাকে নিয়ে আমেরিকার ড্যালি ন্যাশনাল ব্যাংকে আসেন। এস কে সিনহা উক্ত ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানান, আমেরিকার প্যাটারসন এলাকায় বাড়ি কেনার জন্য বন্ধুর কাছ থেকে তিনি ফান্ড পেয়েছেন।
তিনি আরও জানান, প্রকৃতপক্ষে এস কে সিনহা বাংলাদেশে প্রধান বিচারপতি থাকাকালে বিভিন্নভাবে অবৈধ টাকা অর্জন করে তা হুন্ডিসহ বিভিন্ন কায়দায় আমেরিকায় তার ছোট ভাইয়ের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেন এবং তা দিয়েই প্যাটারসনে একটি বাড়ি কেনেন, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২), (৩) ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শান্তিযোগ্য অপরাধ।
দুদক সচিব জানান, এস কে সিনহার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন দুদক উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার
প্রধান। তদন্তকালে এস কে সিনহার বাড়ি ক্রোকসহ আমেরিকার ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের জন্য আদালতে আবেদন করা হলে বিজ্ঞ আদালত বাড়িটি ক্রোকসহ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ দেন। বাড়িটি ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাব ফ্রিজসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রে শিগগিরই এমএলএআর পাঠাবেন।
তিনি আরও জানান, ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে চার কোটি টাকার ভুয়া ঋণ সৃষ্টি করে তা পে-অর্ডারের মাধ্যমে ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর এবং মানি লন্ডারিং করার কারণে ঢাকার বিশেষ আদালত-৪ এস কে সিনহাসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে ১১ বছরের সাজা ও অর্থদণ্ড প্রদানের আদেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৩
এসএমএকে/আরএইচ