বরগুনা: আগামীকাল শনিবার (১৮ মার্চ) বরগুনা জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাচন। এটিকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মীদের ওপর হামলা ও ভোটার তালিকায় মৃত ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করায় অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে।
জানা গেছে, ৯৩৪ জন আজীবন সদস্যদের নিয়ে তৈরি ভোটার তালিকায় ছয়মাস থেকে চার বছর আগের মৃত ব্যক্তির নাম বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা করার দাবি জানান সদস্যরা। কিন্তু বর্তমান কমিটি মৃত ব্যক্তিদের নাম রেখেই ভোটার তালিকা প্রকাশ করে।
এ ছাড়া ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বাৎসরিক সদস্যের মেয়াদোত্তীর্ণ ছয় শতাধিক ব্যক্তির নাম গোপনে ভোটার তালিকায় নতুন করে যোগ করা হয়। এ লক্ষ্যে গত বুধবার (১৫ মার্চ) হাইকোর্ট থেকেও একতরফা একটি আদেশ আনে কমিটি। এতে নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে যায়।
পরে গত বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাতে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কার্যালয়ের পাশে বর্তমান ইউনিটের নেতৃত্বে থাকা সেক্রেটারি আ. মোতালেবের নেতৃত্বে প্রতিদ্বন্ধি সেক্রেটারি প্রার্থী হুমাউন কবিরের কর্মীরা ফেস্টুন, পোস্টার লাগাতে গেলে তাদের উপর দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করা হয়। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণও করা হয়। এ ঘটনায় আহত হন ৫ জন।
সেক্রেটারি প্রার্থী হুমাউন কবির বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আমরা প্রচারণা চালিয়ে আসছিলাম। পরাজয় নিশ্চিত ভেবে প্রতিদ্বন্দ্বী আ. মোতালেব গং বাতিল করা মৃত ভোটার নাম যোগ করতে আদালত থেকে একতরফা আদেশ এনে রেড ক্রিসেন্ট ভবন দখল করে নেয়। আমার কর্মীদের মারধর করে, ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে। ভোটার ও প্রার্থী সবাই আতঙ্কিত। এ অবস্থা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে রক্তাক্ত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
ইউনিটের ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী সিপিপি উপজেলা টিম লিডার জাকির হোসেন মিরাজ বলেন, মানবিক প্রতিষ্ঠানটিকে একদল দুর্বৃত্ত দখল করেছে। হাইকোর্টের মাথায় বন্দুক রেখে হঠাৎ করে ৬ শতাধিক বাতিল করা ভোটারদের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির আদেশ এনে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে ফেলেছে। বৃহস্পতিবার রাতে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে এতে আমরা সবাই আতঙ্কিত।
মৃতদের নাম ভোটার তালিকাভুক্ত হওয়ার প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের প্রধান অ্যাডভোকেট আ. জলিল বলেন, প্রার্থীদের দেওয়া তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, ভুলবশত কোনো মৃত ব্যক্তির নাম তালিকায় যোগ হলে তা ভোটার হিসেবে গণ্য হবে না। রেড ক্রিসেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় সাধারণ ভোটাররা প্রশাসনের কাছে নির্বাচন স্থগিতের দাবি জানিয়েছেন।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আহমদ এ ব্যাপারে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোনো ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২৩
এমজে