নোয়াখালী: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা মডেল মসজিদের একটি কক্ষে বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরকের কোনো উপস্থিতি পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে র্যাবের বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ দল।
তবে এ ঘটনায় মসজিদের দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার আবদুল হালিমকে (৩০) আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) মসজিদের দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ওই ফিল্ড সুপারভাইজারকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে। তার গ্রামের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলায় বলে জানা যায়।
অপরদিকে, বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না মাহমুদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির অপর চার সদস্য হলেন- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আবুল কাশেম, বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়াসির আরাফাত, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যরা অত্যাধুনিক স্ক্যানার যন্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তাদের ভাষ্যমতে, বিস্ফোরণস্থলে কোনো বিস্ফোরকের উপস্থিতি মেলেনি। তবে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থল থেকে কিছু আলামত সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন। ঢাকায় নিয়ে সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর একটি প্রতিবেদন দেবেন।
এসপি আরও জানান, বিস্ফোরণটি ওই কক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার আবদুল হালিমের ব্যাগ থেকে হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি দাবি করেছেন, তার ব্যাগের ভেতর বডি স্প্রের একটি বোতল ছিল। এছাড়া অন্য কিছু ব্যাগে ছিল না। বডি স্প্রের বোতল থেকে এ ধরনের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ জন্য ফিল্ড সুপারভাইজারকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক দেখিয়ে ৫৪ ধারায় আদালতে সোপর্দ করা হবে।
** নোয়াখালীতে মডেল মসজিদে বিস্ফোরণ
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৩
আরএ