সাভার (ঢাকা): রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১০ বছর পূর্তিতে সাভারে মাসব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী, প্রতিবাদ সভা ও আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজন করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) দুপুরে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।
মৃতদের স্মরণ করো, জীবিতদের জন্য লড়াই করো; দোষীদের শাস্তি দাও, জীবন বাঁচাতে ২৫ হাজার টাকা মজুরি করো, এসব দাবিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনদিনব্যাপী এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করেন রানা প্লাজার আহত শ্রমিক রূপালী আক্তার। প্রদর্শনীটি ২৬ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলবে। এরপর থেকে প্রতিবাদসহ নানা আয়োজন করবে সংগঠনটি।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে আলোচনা করেন নিহত গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রানা প্লাজায় নিহতদের স্বজন ও শ্রমিক সংগঠকেরা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাস্তবে পোশাকখাত ও মালিকদের উন্নয়ন হলেও উন্নতি হয়নি শ্রমিকের জীবন মানের। বাজারে ঊর্ধ্বগতি ও মুদ্রাস্ফীতির কারণে মাত্র আট হাজার টাকায় সস্তা মজুর হিসেবে পোশাক শ্রমিকেরা নিদারুণ সময় পার করছেন।
নেতারা এ সময় অবিলম্বে রানা প্লাজার দোষীদের শাস্তি, ক্ষতিপূরণ আইন বদল ও বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার দাবি জানান।
গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার বলেন, রানা প্লাজার ঘটনা পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। সারা দুনিয়ার কারখানার ইতিহাসে এটি বিরল ঘটনা। এ দুঃসহ স্মৃতি আমরা কখনও ভুলতে পারবো না। আমরা রানা প্লাজায় হতাহতের শারীরিক ও মানসিক ক্ষত পোশাক শ্রমিকসহ দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। ভয়াবহ এ স্মৃতি থেকে শক্তি নিয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদ ও জীবিত শ্রমিকদের জন্য লড়াই করে যেতে চাই।
প্রদর্শনী শেষে নিহত শ্রমিকদের স্মৃতির প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
উল্লেখ্য, দেশের ইতিহাসে ভয়াবহ ভবন ধসের ঘটনা এ রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল নয় তলার এ ভবনের পুরোটাই ধসে পড়েছিল। এ ঘটনায় ইট-কংক্রিটের নিচে চাপা পড়ে মারা যান এক হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৩
এসএফ/এসআইএ