নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্বামীর বাড়িতে রহস্যজনক আগুনে দগ্ধ গৃহবধূ ফাতেমা আক্তার চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ দিন পর মারা গেছেন।
রোববার (২৬ মার্চ) রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ফাতেমার মৃত্যু হয়।
অভিযোগ উঠেছে, রহস্যজনক এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে বখাটে স্বামী আরিফ হোসেন ওই ১৭ দিনের মধ্যে ফাতেমার বাবার বাড়ির কাউকে কিছুই জানায়নি।
সোমবার (২৭ মার্চ) বিকেলে ফামেতার বড় ভাই মুন্না বিষয়টি জানতে পেরে থানায় অভিযোগ করে মরদেহ ময়নাতদন্ত করিয়েছেন। নিহত ফাতেমা আক্তার (৩২) ফতুল্লার দাপা ইদ্রাতপুর সর্দার বাড়ির মৃত মোসলে উদ্দিনের মেয়ে।
মুন্না বলেন, মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়ার আলী আহম্মদের ছেলে আরিফ হোসেনের (৩৫) কাছে ১৫ বছর আগে ফাতেমাকে বিয়ে দিই। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য নানাভাবে তাকে নির্যাতন করতো। তাদের সংসারের এক ছেলে এক মেয়ে শিশু সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি ইজিবাইক কেনার জন্য এক লাখ টাকা তার কাছে দাবি করে আরিফ। সেই টাকা ফাতেমা দিতে পারেনি বলে তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায় আরিফ। বিষয়টি তাদের বাড়ির আশপাশের অনেকেই জানে।
তিনি বলেন, যৌতুকের টাকা না পেয়ে কেরোসিন তেল ঢেলে ফাতেমার শরীরে আগুন ধরিয়ে হত্যার চেষ্টা করে আরিফ ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। বিষয়টি আশপাশের লোকজন দেখে ফেলায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু আমাদের কাউকে কিছু জানায়নি। খবর পেয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করে ময়নাতদন্ত করিয়েছি। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রিজাউল হক জানান, অভিযোগ পেয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৩
এমআরপি/আরবি