ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এক্সপ্রেসওয়ের ট্রমা সেন্টারটি এখনই চালু প্রয়োজন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২৩
এক্সপ্রেসওয়ের ট্রমা সেন্টারটি এখনই চালু প্রয়োজন

মাদারীপুর: বিভিন্ন সময়ে এক্সপ্রেসওয়েতে ঘটে ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় আহতদের অতি জরুরি চিকিৎসা সেবা দিতে জেলার শিবচরে এক্সপ্রেসওয়ের পাশে নির্মাণ করা হয়েছে একটি ট্রমা সেন্টার।

কিন্তু উদ্বোধনের চার মাস অতিবাহিত হলেও এখনও চালু হয় এ জরুরি চিকিৎসা সেবা দেওয়ার সেন্টারটি।

ফলে মহাসড়কে দুর্ঘটনার শিকার যাত্রীদের চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক ঢাকায় পাঠানো ছাড়া কোনো উপায় থাকছে না। এতে করে সময় মতো চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছেন দুর্ঘটনার শিকার অনেকেই। এমতাবস্থায়, নির্মিত ট্রমা সেন্টারটি জনস্বার্থে দ্রুত চালুর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ ও মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের সন্যাসীরচর এলাকায় নির্মিত হয়েছে ট্রমা সেন্টার। প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ট্রমা সেন্টারটি গত বছরের নভেম্বরে উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, ঝকঝকে তিনতলা ট্রমা সেন্টারটি ঠায় দাঁড়িয়ে আছে এক্সপ্রেসওয়ের পাশেই।

মহাসড়কে দুর্ঘটনায় আহতদের আশপাশে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে, তাদের নিয়ে যাওয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কিংবা ঢাকা মেডিকেলে। এতে মাঝপথে অনেক রোগীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ স্থানীয় ও স্বজনদের।

স্থানীয়রা জানান, গত ১৯ মার্চ সকালে এক্সপ্রেসওয়ের কুতুবপুরে যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় ১৯ জনের প্রাণহানি হয়। আহত হয় অনেকেই। ট্রমা সেন্টারটি চালু থাকলে দ্রুত আহতদের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হতো। হয়তো আহতদের কেউ কেউ বেঁচেও যেতেন।

স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাল মোড়ল বলেন, কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে সুন্দর একটি স্বাস্থ্য সেবা দান কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে, এমনকি উদ্বোধনও করা হয়েছে। কিন্তু এটি চালু করা হচ্ছে না। এটি দ্রুত চালুর দাবি জানাচ্ছি।

ঢাকাগামী যাত্রীরা বলেন, প্রতিনিয়ত এ মহাসড়ক দিয়ে রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করি। কিন্তু দুর্ঘটনায় কেউ আহত হলে, তাৎক্ষনিক চিকিৎসা দেওয়ার স্থান নেই। দ্রুত ট্রমা সেন্টার চালু হলে অনেক প্রাণহানি কম হবে। স্বাস্থ্য বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিৎ এটি জনস্বার্থে দ্রুত চালু করা।

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাজিবুল ইসলাম বলেন, যতটুকু জানি ট্রমা সেন্টারটি দ্রুত চালু হবে। তবে সিভিল সার্জন ভালো বলতে পারবেন।

এ বিষয়ে কথা হয় জেলার সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহম্মেদ খানের সঙ্গে। তিনি জানান, ১১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ট্রমা সেন্টারটিতে দুইজন আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তাসহ ১৪ জন চিকিৎসক, ১০ জন নার্স ও ফার্মাসিস্ট-টেকনিশিয়ানসহ ৩৪টি পদে জনবল থাকার কথা থাকলেও এখনও কোনো পদে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তবে, এটি চালুর জন্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট শাখায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই চালু হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২৩
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।